বর্তমানে সব থেকে আলোচিত বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়া ফুড ব্লগারকে বাংলাদেশি এক দোভাষী নানারকমভাবে উত্তপ্ত করেছে। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান সময়ের একটি ভাইরাল টপিক। তাই কে সে এই লোক তা জানার প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এ ভাইরাল টপিকটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়ান ফুড ব্লগারকে কে সে ব্যক্তি উত্তপ্ত করল।
ঢাকার রাস্তায় অস্ট্রেলিয়ান ব্লগার তিনি ব্লগিং কাজের জন্য বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় বয়স্ক এক ব্যক্তি তার পিছু লাগে। এক পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ান ফুড ব্লগার রাস্তার পাশে একটি কেকের দোকানে কেক খাওয়ার জন্য দাঁড়ালে সে সেখানে হাজির হয়ে যায়। কেক খাওয়া শেষ করে যখন তাকে কেকের টাকা দিতে যাচ্ছিল। তখন ২০ টাকার পরিবর্তয়ে তাকে ৫০০ টাকার একটি নোট দেওয়া হয় কেকের বিল হিসাবে এবং তাকে টিপ হিসাবে।
কিন্তু পাশে থাকা দোভাষী ওই চাচা কেকের দোকানদারকে সে অর্ধেক টাকা রেখে তাকে অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে বলে মানে 500 টাকার মধ্যে তাকে আড়াইশো টাকা দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ব্লগার সে ইংলিশে বলে যে নো চেঞ্জ তুমি সম্পূর্ণটা রেখে দাও পাশে থাকা এক ব্যক্তি সে দোকানদারকে বুঝিয়ে বলে যে না এটা সম্পূর্ণটাই তোমার তারপরেও সেই ব্যক্তি সেখান থেকে টাকা আবদার করে বসে।
পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধ চাচাকে ২৫০ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে চাচা তারপরেও অস্ট্রেলিয়ান ফুড ব্লগার এর কিছু ছাড়েনি। এরপরে অস্ট্রেলিয়ান ব্লগার যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল সে তার পিছু পিছু ধাওয়া করে তাকে অনবরত বিভিন্ন ধরনের সাহায্য প্রার্থনা করছিল। সে এতটাই সাহায্যদা প্রার্থনা করছিল যে অস্ট্রেলিয়ান ওই ব্যক্তি তারপরে অনেকটাই বিরক্ত হয়েছিল।
সে বিরক্ত হওয়ার কারণে এক পর্যায়ে সে মোবাইলের মাধ্যমে কলের অভিনয় করে। সে তার বন্ধুকে কল দেওয়ার মতো বাহানা করে সে ফোনে কথা বলতে থাকে একপর্যায়ে বয়স্ক সেই দোভাষী ব্যাক্তি সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ান Luke Damant নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেই যে বাংলাদেশে এই ব্যক্তি খুবই আমাকে কে বিরক্ত করেছে।
পরবর্তীতে এই বিষয়টি একেবারে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায় এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে এই খবর চলে যাই। তখন নানাভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়া এ বিষয়টা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। পরবর্তীতে সেই চাচার সাক্ষাৎকারে জানা যায় যে। সে একজন দোভাষী হিসেবে হোটেল সোনারগাঁও সহ রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে বিদেশীদের সাহায্য করে থাকে।
লোকাল কিছু সাংবাদিকের মাধ্যমে জানা যায় যে তিনি দীর্ঘ 30 বছর যাবত এই কাজে নিয়োজিত আছে দোভাষী হিসেবে বিভিন্ন দেশের তিনি ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ান। বাঘের কেল্লা সহ বিভিন্ন ঢাকার রেস্টুরেন্ট পুরান ঢাকা সহ আরো অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে বিদেশি টুরিস্টদের ঘোরানোর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে।
বর্তমানে তার সময় একেবারে খারাপ যাচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন এই জন্যই মূলত টুরিস্টদের কাছে সে সাহায্য প্রার্থনা চেয়েছিল। সে মূলত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশের টুরিস্টদের সাথে তার ছবি প্রকাশ করেছে। সেই সাথে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ও তাদের আছে বলে তিনি জানিয়েছে। এমনকি বিদেশি কোন টুরিস্ট আসলে এই চাচার খোঁজ করে তবে অনেকেই জানেনা কে এই চাচা এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলো কি তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
এই চাচার শিক্ষাগত যোগ্যতা একেবারে নেই বললেই চলে তবে সে প্রায় ৩০ টি দেশের ভাষা জানে। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, সহ বিভিন্ন দেশের ভাষা তিনি আয়ত্ত করেছেন। ছোটকালে তিনি ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্যই মূলত ইংলিশ ভাষা শিখেছিলেন পরবর্তীতে সে ইংল্যান্ডে যাওয়া না হওয়ার কারণে সে দোভাষী হিসেবে বিভিন্ন বিদেশীদের সাথে ঘোরাফেরা করেন।
অস্ট্রেলিয়ান ব্লগারকে উত্তপ্ত করা ওই ব্যক্তির নাম হল আব্দুল কালু। তিনি ছোটকাল থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পর্টগুলোতে টুরিস্ট দের দোভাষী হিসেবে সাহায্য করে থাকে। ঢাকার অলিগলিতে তার বসবাস রয়েছে। বর্তমানে তার ওয়াইফ অসুস্থ বলে সে অস্ট্রেলিয়ান এই ব্লগার এর কাছেই মূলত সাহায্য প্রার্থনা চেয়েছিল।
পরবর্তীতে যখন সোশ্যাল Luke Damant ফেসবুকে পোস্ট করে তারপরে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তৎকালীনভাবেই বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পরবর্তীতে থানাতে নেওয়ার পরে ২০০ টাকা জরিমানা করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে অস্ট্রেলিয়ান ওই নাগরিক Luke Damant তার ফেসবুক পেজে পুনরায় আবার পোস্ট করে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এবং তার সাথে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করার জন্য তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন তার যদি এতটাই অসহায় হয় তাহলে তাকে আমি হেল্প করতে চাই।
কিন্তু বর্তমানে সাংবাদ মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপকভাবে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছে যে এই লোকদের কারণেই মূলত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মান একেবারেই কমে যাবে এবং টুরিস্টদের বাংলাদেশে আসা কমে যাবে। বর্তমানে বিদেশি ব্লগাররা বাংলাদেশ আসা শুরু করেছে এতে করে বাংলাদেশের সৌন্দর্য এবং খাবারের পরিবেশনার বিষয়টি তারা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করছে কিন্তু এই সমস্ত লোকদের কারণেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।