আলবেনিয়া দেশটি মধ্যবিত্তদের জন্য অন্যরকম এক স্বপ্নের নাম।এদেশে হাজারো যুবক কাজ করার সন্ধানে অধিবেশন করে। দিনশেষে সফল হয়ে দেশের জন্য বৃহৎ এক রেমিটেন্স পাঠায়। যা দিয়ে দেশের অর্থনীতি বেশ সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। আজকে আমাদের আর্টিকেলটির মূল লক্ষ্য হলো আলবেনিয়া বিশ্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আপনি আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। আজকের কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আলবেনিয়া কি আপনি কোন ধরনের কাজগুলো করলে আপনার জন্য বেশি সুবিধা হবে, এছাড়াও সেখানে কোন কাজের কেমন বেতন এবং কোন কাজগুলো সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে।
আলবেনিয়াতে কেন কাজে যাবেন
আমাদের অফিসে প্রায় সময় কিছু সাধারণ মানুষ এসে প্রশ্ন করে স্যার পৃথিবীতে কাজের জন্য এত দেশ থাকতে আলবিনিয়াতেই কেন যেতে হবে।আমরা তাদেরকে বলি আলবেনিয়ার মত দেশ থাকতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কেন কাজের জন্য যেতে হবে। কারণ আলবেনিয়া দেশটিতে মধ্যবিত্তের জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা খুবই বিরল। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা অন্যান্য দেশে নেই বললেই চলে। তাই যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য আলবেনিয়া দেশটি সত্যিই চমৎকার। আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়াঅনেক সহজ একটা বিষয়। যদিও এর আগে আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে অনেক জটিল প্রসেস পার হতে হতো কিন্তু বর্তমান সময়ে আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া একেবারেই সহজ বিষয়।
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আলবেনিয়াতে যে কাজগুলো সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অন্যতম। তাই আজকে আমরা আমাদের কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করব।আলবেনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশের যেকোন এজেন্সি থেকে আবেদন করা যায়। তবে আলবেনিয়া তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করত তাদেরকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মাধ্যমে আবেদন করতে হতো।এক্ষেত্রে প্রতিটা মানুষের খরচ যেমন কমেছে ঠিক সেই সাথে আগেকার মত এত ভোগান্তি নেই ভিসা করতে। পূর্বের দিনে আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে অনেক রকম ভোগান্তির শিকার হতে হতো।তাই বর্তমান সময়ে খুব সহজেই আপনি আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারবেন।
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং
বর্তমানে আলবানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেস করার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাবার কোন প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসেই বাংলাদেশ অনলাইন কিংবা অফলাইন যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্মে আপনি খুব সহজেই আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সম্পূর্ণ প্রসেস শেষ করতে পারবেন। আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেস করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে একটি ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার পর পর্যায়ক্রমে আপনাকে মাধ্যমে ভিসা প্রদান করা হবে। আপনি যে এজেন্সি থেকে ভিসা আবেদন করবেন আপনার সম্পূর্ণ প্রসেসিং সেই এজেন্সি থেকে করা হবে। অনেকে একটি ভুল করে থাকে সেটা হল ভিত্তিতে থেকে আবেদন করে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী কাজগুলোর জন্য। যা একেবারেই সঠিক কাজ নয়।
আলবেনিয়া ভিসার দাম কত
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার। তবে ৯০ হাজার টাকা শুনে অনেকের মাথা চমকে ওঠে। সবাই মনে করে এত কম টাকায় কিভাবে নেওয়া যায়? কিভাবে সম্ভব এত কম টাকায় আলবেনিয়া ভিসা পাওয়া? আসলে এটা শুধু ভিসার দাম।আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেস সম্পন্ন করতে আরো অনেক বেশি টাকা খরচ হবে।
তবে আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনেক মানুষ অনেক রকম ভাবে নিয়ে থাকে আলাদা আলাদা সিস্টেমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খরচ বহন করতে হয় অনেক মানুষ আছে যারা সরকারি নিবন্ধিত যে এজেন্সি গুলো আছে সেখান থেকে আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর ভিসা সংগ্রহ করে যদি সরকারি নিবন্ধিত এজেন্সি গুলো থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করেন সেক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কম হবে তাই প্রথমত চেষ্টা করবেন সরকারি এজেন্সিগুলো থেকেই আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করার
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া টা ততটা ও জটিল নয়, অনেকেই মনে করে এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য অনেক কঠিন প্রসেস পার করতে হয় যেটা ভুল ধারণা। আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন একেবারে সহজ বিষয়। আপনি যদি অনলাইন সম্পর্কে একটু বোঝেন তাহলে ঘরে বসেই আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে যদি আপনার অনলাইনের প্রতি অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে বাংলাদেশের যেকোনো এজেন্সি থেকে আপনি আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করে নিতে পারবেন।
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট কিভাবে পাবেন
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সে দেশের প্রবাসী মন্ত্রণালয় সহ আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশের প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের নানারকম ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। যদি কখনো আপনি দেখেন আলবেনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট কাজের ভিসার সার্কুলার দিয়েছে, তখন আপনি খুব সহজেই যে কোন একটি এজেন্সি থেকে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারিভাবে আবেদন করেন তাহলে খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
আলবেনিয়া বেতন কত
আলবেনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বেতন দেওয়া হয় ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে আলবেনিয়াতে শুধুমাত্র ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় শ্রমিক নেয়া হয় সেটা কিন্তু নয়। আলবেনিয়াতে অনেক ক্যাটাগরিতে শ্রমিক নেওয়া হয় যাদের বেতন দেওয়া হয় ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী। মনে করে আমি একজন আইটি সেক্টরে কাজ করি তাহলে আমার বেতনের সঙ্গে একজন সাধারণ লেবারের বেতন তো এক হবে না। একজন সাধারণ মানুষের মনে অবশ্যই ধারণাটি রয়েছে।
তবে আপনি আলবিনেতে গিয়ে যে কাজটি করবেন সেই কাজটিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন নিজস্ব দক্ষতা অর্জন করার। আপনি যদি একটি কাজে নিজস্ব দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে খুব শীঘ্রই আপনার প্রমোশন চলে আসবে। ফলে আপনার সাধারণ বেতনের অধিক বেতন সহজে উঠাতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি অল্প সময়ে দ্রুত নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারে তাহলে একটি কোম্পানি থেকে অন্য একটি কোম্পানির জন্য আপনার কাছে কাজের অফার চলে আসবে।
আলবেনিয়া কি সেনজেন ভুক্ত দেশ
হ্যাঁ বন্ধুরা, আলবেনিয়া সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকায় রয়েছে। অনেক আগেই ইউরোপের এই দেশটির সেনজেনভুক্ত হয়। ২০১৪ সালে ইউরোপের এই দেশটি সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। যার কারণে ২০১৪ সালের আগে এই দেশটিতে মানুষের অধিবেশন একটু কম ছিল, কিন্তু যখন থেকে আলবেনিয়া দেশটি হয় তারপর থেকেই ব্যাপক পরিমাণে প্রবাসীদের ঢল নামে এই দেশে। কারণ অল্প খরচে আলবেনিয়া এসে সেনজেনভুক্ত দেশগুলো খুব সহজেই ঘুরতে পারে প্রবাসীরা।
সরকারিভাবে আলবেনিয়াতে যাওয়ার উপায়
যারা সরকারিভাবে আলবেনিয়াতে যেতে চান তাদের জন্য ব্যাপক সুবিধা দিচ্ছে প্রবাসী মন্ত্রণালয়। প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সম্প্রীতি বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে আলবেনিয়াতে যদি সরকারি ভাবে যেতে চান তাহলে খুবই কম খরচের মধ্যে যেতে পারবেন। বিশেষ করে আলবেনিয়াতে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান তারা অবশ্যই সরকারি ভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সরকার এভাবে যেতে হলে প্রথমত আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল বোয়েসেল নিবন্ধিত একটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি কোন ধরনের ভিসায় যেতে চান সেটা তাদেরকে জানাতে হবে। আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করে তারা আপনাকে বেশ কিছু রিক্রুটমেন্ট প্রদান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে সাবমিট করার পর আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।
আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য এজেন্সি থেকে একটি ভিসা আবেদন ফরম
- বৈধ পাসপোর্ট এর পাশাপাশি পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের বেশ কিছু ছবি লাগবে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে এবং তিন মাসের অধিক পুরনো হওয়া যাবে না।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- এজেন্সি থেকে যে রিক্রুটমেন্টগুলো দিবে সেগুলো সত্যায়িত করতে
- কোন ডকুমেন্টস যদি বাংলায় থাকে সেগুলোই ইংরেজিতে করতে হবে
- একটি বৈধ ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে
- কোভিড 19 ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে
উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো ছাড়াও আরো নানান রকম ডকুমেন্টস প্রয়োজনে হতে পারে। সময়ের পরিপেক্ষিতে ভিসায় রিকোয়ারমেন্ট গুলো পরিবর্তন হতে থাকে তাই অবশ্যই। তাই অবশ্যই সব সময় এজেন্সি থেকে আপডেট তথ্য নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন।
আলবেনিয়াতে দশটি কাজের লিস্ট
ইলেকট্রনিক, , |
আইটি সেক্টর, |
কোম্পানি |
কনস্ট্রাকশন |
ডেলিভারি, |
বাসা বাড়ি, |
চা বাগান, |
কৃষিকাজ, |
লোডার |
রেস্টুরেন্ট |
উক্ত কাজগুলো ছাড়া আরো অনেক ধরনের কাজ আলবেনিয়াতে রয়েছে। তবে বিশেষভাবে কাজগুলোর চাহিদা সবথেকে বেশি।
আলবেনিয়াতে কিভাবে কাজ পাবেন
আলবেনিয়াতে কিভাবে কাজ পাবেন এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে আলবেনিয়াতে কাজ পেতে হলে আপনাকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম বলতে গেলে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে আলবেনিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে হবে। এছাড়াও আপনি যে দেশ থেকে আলবেনিয়াতে গিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই দেশের সরকারি প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলো নিয়মিত ভিজিট করতে হবে। এ সকল ওয়েবসাইট গুলো নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আপডেট তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন। এবং খুব সহজেই আপনি আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন।
আলবিনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিটের সুযোগ সুবিধা
আলবেনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তবে অসাধারণ কোন সুবিধা নেই আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি যদি চান সেখানে তাহলে সর্বোচ্চ আপনি টাকাটা একটু বেশি পাবেন তাছাড়া পরিবেশের দিক থেকে খুব একটা বেশি সুবিধা পাবেন না। তবে আপনি যদি আপনার নিজস্ব এলাকার কারো সঙ্গে সেখানে গিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য খুবই বোনাস পয়েন্ট থাকবে। কারণ হলো একই অঞ্চলের একই রকম পরিবেশের মানুষ যখন একসঙ্গে থাকবেন তখন সবকিছু শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে পরিবেশটি গুছিয়ে নিতে পারবেন। তাই আলবেনিয়ার মত দেশে যেতে হলে অবশ্যই আশেপাশের কোন মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আলবেনিয়া টুরিস্ট ভিসা-আলবেনিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ( আবেদন প্রক্রিয়া )