মাসিক হওয়ার জন্য ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ানো হয় না। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্যই মূলত ইমার্জেন্সি পিল খেতে হয়। ইমারজেন্সি পিল খাবার কারণে মাসিক এর ডেট আগে পরে হতে পারে। একেক ধরনের ইমার্জেন্সি পিলের এক এক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হবে এই বিষয়ে যদি সরাসরি বলা যায় তাহলে মাসিকের নির্ধারিত ডেট থেকে অথবা মাসিকের ডেট পার হওয়ার পরবর্তী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই মাসিক হবে।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরেই যে মাসিক হবে এটার কোন নিশ্চয়তা নেই অনেক সময় যদি আপনার ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরে মাসিকের ডেট থাকে তাহলে মাসিক হবে। তাছাড়া যে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরের দিন থেকেই মাসিক শুরু হবে তা কিন্তু না। মাসিকের নির্ধারিত ডেটের পাঁচ দিনের মধ্যে অথবা সাত দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হয়।
যদি এই সময়ের মধ্যেও মাসিক শুরু না হয় তাহলে পরবর্তী ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একেক ধরনের পিলে এক এক রকম ভূমিকা পালন করে থাকে এক্ষেত্রে কোন কোন পিল খাওয়ার কারণে পাঁচ থেকে সাত দিন অথবা দশ দিন মাসিকের ডেট পিছিয়ে যেতে পারে তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্ত করার কোন প্রয়োজন নেই।
ইমারজেন্সি পিল | বর্ণনা |
মাসিকের সময় | মাসিকের ডেট অনুযায়ী |
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার সময় | ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টা |
কখন খেতে হয় | ১২০ ঘন্টার মধ্যে |
সাইড ইফেক্ট | আছে |
যদি মাসিকের সময় পার হওয়ার পরে দ্বিগুণ সময় হওয়ার পরেও মাসিক হচ্ছে না এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসককে পুরো বিষয়টি জানাতে হবে কবে নাগাদ মাসিক হচ্ছে না এবং কতদিন যাবৎ মাসিক হচ্ছে না এ বিষয়টি চিকিৎসককে অবগত করতে হবে। এবং ইমার্জেন্সি পিলকখন সেবন করেছেন এই বিষয়েও চিকিৎসককে অবগত করবেন।
ইমারজেন্সি পিল ৭২ ঘন্টা থেকে শুরু করে ১২০ ঘন্টার মধ্যেই খেতে হয়। এই সময়ের মধ্যে যদি আপনি ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকেন তাহলে মাসিকের ডেট অনুযায়ী মাসিক হবে। এক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেই যে মাসিক হবে তা কিন্তু না যদি সঠিক সময় মাসিক না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ইমারজেন্সি পিল যদি যথাসময়ে না খাওয়া হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু এর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে না তাই অবশ্যই ১২০ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় খেয়ে নিতে হবে। যদি ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার ফলে তেমন বড় কোন সমস্যা দেখা দেয় অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা নিন তা না হলে কিন্তু সমস্যাটা বেড়ে যেতে পারে। প্রতিটা ইমারজেন্সি পিলারি সাইড ইফেক্ট রয়েছে তাই অবশ্যই তাই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর কত দিন পর্যন্ত মাসিক থাকে
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর যথা সময় যদি মাসিক হয়ে থাকে তাহলে তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই মাসিক ভালো হয়ে যায়। আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে ইমারজেন্সি পিল মাসিক হওয়ার জন্য খাওয়া হয় না এটি শুধুমাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্যই মূলত ইমারজেন্সি পিল খাওয়া হয়।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরে যদি মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। কোন কোন সময় মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মূলত মাসিক হতে দেরি হয় এক্ষেত্রে আট দিন অথবা 12 দিন পর্যন্ত দেরি হতে পারে।
মাসিক শুরু হওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিন অথবা সাত দিনের মধ্যেই মাসিক ভালো হয়ে যায় যদি এর মধ্যেও ভালো না হয়। এর থেকে যদি বেশি সময় লেগে যায় তাহলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কেননা এটি একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে যেতে পারে এই কারণে।
অনেকের শরীরে ইমার্জেন্সি পিল সেবন করলে তার সাইড ইফেক্ট দেখা দেয় তাই অবশ্যই অতিরিক্ত মাথা ব্যথা শরীর ব্যথা দেখা দিলে অথবা শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং কোন ইমারজেন্সি পিল খেয়েছেন এবং কতদিন যাবত ইমার্জেন্সি পিল খাচ্ছেন এই বিষয়গুলো ডাক্তারকে অবগত করুন।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর দিন থেকেই যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে মূলত ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার ফলে অনেক সময় অনেকের জটিল কোন সমস্যা দেখা দেয় আবার রক্ত স্রাব সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার এ ক্ষেত্রে অধিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।