কানাডা যাওয়ার এজেন্সি-কানাডা যাওয়ার খরচ কত

কানাডা যাওয়ার এজেন্সি ও কানাডা যাওয়ার খরচ ইত্যাদি নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এই সকল প্রশ্নগুলো অনেকেই করে থাকেন যে কানাডা যাওয়ার সহজ উপায় কি। তারপর কানাডা যাওয়ার এজেন্সি, সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়, কানাডা যাওয়ার খরচ কত, কানাডা যাওয়ার আবেদন ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। আজকে এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমরা আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কানাডা যাওয়ার সহজ উপায়

কানাডা যাওয়ার সহজ উপায় হল অনলাইনের মাধ্যমে কানাডার জব খুঁজে তার মাধ্যমে বা সেই কোম্পানির মাধ্যমে যাওয়া। আপনি যদি ভাল স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি স্কলারশিপের মাধ্যমেও খুব সহজেই কানাডা যেতে পারবেন। আপনি চাইলে কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এবং টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ইত্যাদি ভাবে কানাডা যেতে পারেন।

কানাডা যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো স্কলারশিপ নিয়ে অথবা কানাডা কোম্পানিতে জব সংগ্রহ করে তার মাধ্যমে। আরেকটি মাধ্যম হলো আপনি ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব সহজেই কানাডা যেতে পারবেন। আপনার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে তার মাধ্যমে যদি আপনি কানাডায় গিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি কারারা যেতে পারবেন সে ক্ষেত্রে সহজ হবে।

কানাডা যাওয়ার এজেন্সি

কানাডা যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে তবে সরকারি মাধ্যমে যদি আপনারা যেতে চান তাহলে বিএমইটি অথবা বুয়েসেলের মাধ্যমে যেতে পারবেন। বোয়েসেলের মাধ্যমে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাদের নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কানাডায় জব ভিসা নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা যদি অন্যান্য এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের সরকার নিবন্ধিত কোন লাইসেন্স আছে কিনা জেনে তারপরেই তাদের মাধ্যমে কানাডায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।

তাছাড়া অন্যান্য যে সমস্ত এজেন্সিগুলো রয়েছে সে সমস্ত এজেন্সির ফিডব্যাক এবং তারা বর্তমানে কিভাবে কানাডাতে মানুষ পাঠাচ্ছে এবং কি ধরনের জব দিয়ে তারা কানাডাতে পাঠাচ্ছে এই বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করবেন এবং সেই সাথে আপনারা ওই সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যারা গিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনে তারপরেই ওই সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৩

সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে চাকুরীজীবী বা কৃষি শ্রমিক অথবা হোটেল শ্রমিক, ফ্যাশন ডিজাইনার ইত্যাদি ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে কানাডার জব অ্যারেঞ্জ করে খুব সহজে কানাডা যেতে পারবেন। আপনি যদি ভালো স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে স্কলারশিপের মাধ্যমে আপনি কম খরচে কানাডা যেতে পারবেন। আর স্কলারশিপের মাধ্যমে গেলে অনেক রকম সুযোগ সুবিধা থাকে। এটা সরকারিভাবে যাওয়া যায়।

সরকারিভাবে কানাডাতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেতে হবে। কানাডাতে বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সিকে বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে যেতে হলে নির্দিষ্ট একটি এক্সপেরিয়েন্স এর দক্ষতা দেখতে চাই অথবা বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আপনারা আবেদন করার জন্য অবশ্যই উল্লেখিত স্কেলের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে আপনারা কানাডায় সরকারিভাবে যেতে পারবেন। ওয়েট

কানাডা যাওয়ার খরচ কত

কানাডা যাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাই অনেকেই জানতে চান কানাডা যাবার খরচ কত সে সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি কানাডা যাওয়ার খরচ কত সে সম্পর্কে কিছু তথ্য নিজে উল্লেখ করা হলো।

মূলত যে কোন ভিসায় কানাডা যেতে এমন খরচ হয়ে থাকে। তবে আমরা যেটা বলেছি সম্পূর্ণ যে এত টাকায় লাগবে তেমন টা না। আমরা যেটা বলছি এটা অনুমান করে বলেছে সুতরাং একটু কম অথবা একটু বেশি টাকা লাগতে পারে তবে এর আশে পাশে থাকবে।

কানাডা ইমিগ্রেশন খরচ

কানাডা ইমিগ্রেশন খরচের জন্য আপনার খরচ হতে পারে প্রায় দুই লাখ টাকার মত। এটা মূলত টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে যদি আপনার তিনজন ফ্যামিলি মেম্বার ও যান একই খরচ হবে সেই হিসেবে ২ লাখ ধরা হয়েছে। তবে আপনাদের সম্পূর্ণ প্রসেসটা নিজে নিজে করতে হবে কোন দালাল ধরা যাবে না। নিজে নিজে সম্পূর্ণ প্রসেসটি করলে আপনারা তিনজন কানাডা টুরিস্ট ভিসে যেতে পারবেন মাত্র দুই লক্ষ টাকায়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কানাডা ইমিগ্রেশন খরচ কত সে সম্পর্কে।

কানাডা যাওয়ার প্রসেসিং

কানাডা যাওয়ার প্রসেস এক এক ক্ষেত্রে একেক রকম হয়ে থাকে। যেমন, আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরী। আপনি যদি কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার কাজের দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আপনি যদি বিজনেস ভিজে যেতে চান তাহলে আপনার সেই সম্পর্কে জ্ঞান এবং অর্থ থাকা প্রয়োজন। আপনি যে ক্যাটাগরিতে কানাডা যেতে চান সেই অনুযায়ী ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। তারপরে আপনি কানাডা যাওয়ার প্রসেসিং শুরু করতে পারবেন।

কানাডা যাওয়ার আবেদন

কানাডা যাওয়ার জন্য আপনারা আবেদন করতে পারেন নিকটস্থ কোন এম্বাসিতে গিয়ে অথবা আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে ও আবেদন করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে আপনাকে সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন কানাডা এই ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আবেদন করার পূর্বে আপনারা অবশ্যই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে নেবেন এবং তারপরে আবেদন করবেন।

কানাডা যাওয়ার উপায় কি

কানাডাতে বর্তমান সময়ে আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে যেতে পারবেন। যেমন, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কারো কাছে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে আপনি বিজনেস ভিসার মাধ্যমে কানাডা যে বিজনেস করতে পারবেন। আরো অন্যান্য ভিসা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।

কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার দাম কত

কানাডা যাওয়ার জন্য এক খরচ হয়ে থাকে প্রায় মোট ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্লাস। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা এর মত খরচ হয়। কাজের ভিসার জন্য অন্যান্য ভিসার চেয়ে একটু বেশি খরচ হয়ে থাকে। টুরিস্ট ভিসার জন্য তুলনামূলক ভাবে অনেক কম খরচ হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমান সময়কাল রাতে বিভিন্ন রকম ভিসায় যাওয়া যায়। আমরা কয়েকটি ভিসায় যেতে কেমন খরচ হয় সেটি নিয়ে আলোচনা করলাম।

কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি

কানাডায় একটি উন্নত দেশ সুতরাং অনেকেরই স্বপ্নের দেশ এটা। সকলেই কানাডা যেতে চাই কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব হয় না কানাডা যাওয়া। কানাডায় যে সকল মানুষ যায় তারা হল কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করে অথবা যোগ্যতা দিয়ে। তো চলুন জেনে আসি কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে।

আপনি যদি কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন যেমন, কৃষি কাজ, হোটেলের কাজ, টাইলস এর কাজ ইত্যাদি কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই সকল ভিসা গুলোতে কানাডা যেতে পারবেন। আপনি যদি ড্রাইভিং ভালো পারেন বা ড্রাইভিং বিষয়ে অভিজ্ঞ তাহলে আপনি ড্রাইভিং ভিসায় কানাডা যেতে পারবেন। এক কথায় আমরা বলতে পারি আপনি যদি কাজে বা অন্যান্য যে কোন ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।

কানাডা যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা

কানাডা যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় আই এল টি এস ৭ স্কোর। কানাডা যাবার ক্ষেত্রে আই এল টি এস এর স্কোর বেশি প্রয়োজন হয়। কানাডা যাবার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেশি সে কারণে স্কোর ও বেশি দরকার হয়। আই এল টি এস এ আপনার স্কোর যদি সাড়ে পাঁচ এর ওপর হয় তাহলে আপনি বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। তবে কানাডার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬। ৬ দিয়ে সর্বসময়ে আপনি যেতে পারবেন না। যদি প্রতিযোগিতা কম থাকে তাহলে আপনি ৬ স্কোর পেয়ে যেতে পারবেন।

কানাডা যাওয়ার ভিসা

কানাডা যাওয়ার ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাছাড়া আপনি কানাডা যেতে পারবেন না। প্রথমত আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি থাকতে হবে এবং আপনি যে কাজে যাবেন তার ওপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।

মূলত কয়েক ধরনের ভিসা নিয়ে কানাডায় যাওয়া যায় তবে আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে আপনাকে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেস সম্পর্কে ভালোমতো জেনে নিতে হবে তাছাড়া আপনি যদি অন্যান্য কৃষি বা বিভিন্ন লেবার ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে সেই বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে তারপরে কানাডাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কানাডা যাওয়ার ভিসা সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। কানাডা একটি উন্নত দেশ। এখানে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন দেশের মানুষ এসে থাকেন। তেমনি, বাংলাদেশের মানুষ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কানাডাতে যেয়ে থাকেন। যেমন, কাজ করার জন্য জেগে থাকেন, পড়াশোনা করার জন্য যদি থাকেন, ব্যবসা করার জন্য যান ইত্যাদি।