উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ হলো কানাডা। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার মানুষ কানাডায় বিভিন্ন কাজের জন্য অধিবেশন করে থাকে। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় কাজের ক্যাটাগরে অনেক বেশি। কানাডা এই প্রায় ৫৫ ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায়। যার কারণে এশিয়ার মানুষদের মধ্যে কানাডায় কাজ করার আগ্রহ অনেক বেশি। আজকে আমরা এই কনটেন্টের মাধ্যমে কানাডা লেবার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার করব। আজকের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনারা কানাডা লেবার ভিসা কেন যাবেন, কানাডা লেবার ভিসার বেতন কত। সেখানে গিয়ে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করা যাবে ইনকামের পাশাপাশি ওভারটাইম করা যাবে কিনা এ সম্পর্কে তুলে ধরবো আজকের এই কন্টেন্টে।
কানাডা লেবার ভিসা ২০২৩
কানাডা লেবার ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো আগে বাংলাদেশের জন্য যেভাবে যাচ্ছিল তার থেকে অনেক সহজ ভাবে এখন কানাডায় লেবার ভিসার জন্য যেতে পারবেন। কেননা এর আগে কানাডা লেবার ভিসা পেতে হলে যতটা কষ্ট করতে হতো এবং যতটা কঠিন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে পার হতে হতো এখন ঠিক ততটা কঠিন প্রসেস নেই। ২০২৩ সালে কানাডা লেবার ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক কিছু নিয়ম আপডেট করেছে যে নিয়মগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটি বিষয়ের উপর বেশ ভালো দক্ষ হতে হবে।
কানাডা লেবার ভিসায় কেন যাবেন
কেন যাবেন কানাডা লেবার বিষয় এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে অন্য দেশের তুলনায় সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে হলো কানাডা, তাই আপনি যদি লেবার যেতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি দেশ হলো কানাডা। তরুণদের জন্য কানাডায় এসে লেখাপড়ার পাশাপাশি রয়েছে ওভারটাইম করে কিছু আয় করার সুযোগ তাই তরুণরাও কানাডায় লেবার ভিসাই আসতে পারেন।
এছাড়া অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় এবার ভিসা এসে অনেক টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে, আরও সুযোগ রয়েছে একটি কাজ ছেড়ে অন্য একটি কাজের জন্য এপ্লাই করার। কারণ কানাডায় একমাত্র দেশ যেখানে ৫৫ ক্যাটাগরিতে কাজ রয়েছে। আপনি একটি কাজ করতে না পারলেও অথবা একটি কাজ কঠিন লাগলো আপনি অন্য আরেকটি কাজ করার জন্য সুযোগ পাচ্ছেন। তাই অবশ্যই আপনি যদি লেবার ভিসায় বিদেশে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি দেশ।
কানাডা লেবার ভিসা খরচ
কানাডায় লেবার ভিসা খরচ মূলত চার থেকে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু কাজের জন্য টাকার কিছু পরিমাণ বেশি হতে পারে। তবে আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে আবেদন না করে নিজে নিজে আবেদন করেন তাহলে খুবই অল্প টাকার মধ্যে কানাডা লেবার ভিসা পেয়ে যাবেন। তাই অবশ্যই দালাল অথবা প্রতারক চক্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে নিজে নিজে সচেতন ভাবে অ্যাপ্লিকেশন করলে খরচ কম হবে। এক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে এবং লেবার ভিসা পাবার সম্ভাবনা আরও বেশি বেড়ে যায়।
কানাডা লেবার বেতন কত
কানাডা লেবার ভিসা মূলত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, তবে কানাডায় লেবার ভিসার মধ্যেও নানা রকম প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলোর বেতন আলাদা কাঠামোর হয়ে থাকে। তাই আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য সেখানে যাচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার বেতন। তবে সাধারণভাবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কানাডা লেবার হয়ে থাকে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডা লেবার ভিসা বেতন মূলত একটু কম। কেননা কানাডায় সবচাইতে বেশি সংখ্যক ক্যাটাগরিতে কাজ করা যায়। এবং দেশটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ এবং বেশ উন্নত দেশ। তাই এখানে সাধারণ লেবারের জন্য মানুষ অতিরিক্ত টাকা খরচ করে না। তবে যারা লেবার বিষয়ে কানাডায় আসেন তাদেরকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেয়া হয়। লেবারদের জন্য সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হল তার ওভারটাইম কাজ করতে পারে।
কানাডা লেবার ভিসা প্রসেসিং ফ্রি
কানাডা লেবার ভিসা পেতে হলে প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ দ্রুত বাস থেকে লেবার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। লেবার ভিসা আবেদন করার জন্য বেশ কিছু রিক্রুটমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। রিক্রেটমেন্ট গুলো সবগুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনাকে ৬ মাস পর একটি লেটার পাঠানো হবে। লেটারের মাধ্যমে আপনার কাজের প্রকারভেদ আপনার কাজের বেতন এবং কাজের বিস্তারিত কাঠামো উল্লেখ করা থাকবে।
কানাডা লেবার ভিসা কিভাবে পাবেন
কানাডা লেবার ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই এজেন্সি থেকে একটি অনলাইনে এপ্লিকেশন করতে হবে। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনটি অবশ্যই নির্ভুল হতে হবে এবং তাদের চাহিদা মত রিক্রুটমেন্টগুলো পূরণ করতে হবে। তাদের চাহিদা মত যদি রিক্রুটমেন্টগুলো পূরণ করতে না পারেন তাহলে অ্যাপ্লিকেশন করে কোন লাভ হবে না। কারণ তাদের চাহিদা মতো ডিপার্টমেন্ট পূরণ করতে না পারলে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি বাতিল করে দেওয়া হবে। অ্যাপ্লিকেশন করার সময় যে টাকা নেওয়া হয় সেটা আর আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে না।
কানাডা লেবার ভিসা আবেদন ফরম
কানাডা লেবার ভিসা ফর্ম আপনারা অনেকে কিভাবে পূরণ করতে হয় সেটা জানেন না, কারণটা লেবার ভিসা ফর্ম বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাওয়া যায় আবার আপনি যদি সচেতন হন তাহলে কানাডা লেবার ফ্রম অনলাইন থেকেই পূরণ করতে পারবেন। তবে যারা অনেকেই কিভাবে লেবারের ফরম পূরণ করতে হয় সে সম্পর্কে অবগত না তারা অবশ্যই ফ্রমটি সংগ্রহ করবেন। এক্ষেত্রে তাদের আপডেট রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে কারণ এপ্লিকেশন ফর্ম এ যদি ভুল হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
কানাডা লেবার ভিসায় কাজের লিস্ট
কনস্ট্রাকশন |
মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট |
মেডিকেল ক্লিনার |
গ্যারেজ ম্যান |
মেকানিক্যাল |
ড্রাইভিং |
অফিস ক্লিনার |
শপিংমল |
কেয়ারিং ম্যান |
গবাদি পশু পালন |
কৃষি কাজ |
সিকিউরিটি গার্ড |
বাসা বাড়ির কাজ |
কানাডা লেবার ভিসার সুযোগ সুবিধা
কানাডা লেবার ভিসার সুযোগ সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে ভালো সুযোগ-সুবিধা হলো সেখানে গিয়ে আপনি লেবার ভিসার পাশাপাশি অন্য ভিসায় কাজ করার সুযোগ পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিতে স্কিল ডেভলপ করতে হবে। এবং আপনি যেই কাজের জন্য এপ্লিকেশন করতে চান সেটার জন্য বেশ ভালোভাবে দক্ষ হতে হবে। কারণ বুঝতে পারছেন বানানোর মতো একটু উন্নত দেশে কাজ পাওয়ার জন্য কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে থাকে। তাই আপনি যদি দক্ষ না হন তাহলে কানাডা লেবার বিষয় এর পাশাপাশি অন্য ভিসা পাবেন না।
এছাড়া অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় মানুষ লেবার ভিসা কাজ করেও অন্য দেশের চেয়ে বেশি ভালো থাকে। কারণ এদেশের সরকার অধিবাসীদের জন্য বেশ ভালো ধরনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার স্বপ্নের দেশ হিসেবে কানাডাকে সিলেট করে থাকেন তাহলে আমি বলব আপনি একটি বুদ্ধিমান কাজ করেছেন। কানাডার আইন কানাডার মানুষ এবং কানাডার সংস্কৃতি খুবই সুন্দর এবং নিরাপদ। তাই কানাডা অধিবেশন করার ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় একটি দেশ।
কানাডা লেবার হয়েছে যাওয়ার এজেন্সি
কানাডা লেবার ভিসা যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এজেন্সি রয়েছে, তবে কানাডা লেবার ভিসা যাওয়ার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উভয়পক্ষে যাওয়া যায়। আপনি আপনার সুবিধামতো যে কোন একটি মাধ্যম বেছে নেবেন। এবং কানাডায় যাবার জন্য যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার নিকটস্থ বিশ্বস্ত এজেন্সি বেছে নেবেন।এসব আবার পর একটি ট্রেনিং করতে হয় এই ট্রেনিং করতে যেন দূরে না যেতে হয় সেজন্য আপনি নিকটে এজেন্সি থেকেই কাজ করবেন। তবে বাংলাদেশের যতগুলি এজেন্সি রয়েছে সবগুলোই বেশ সুন্দর এবং নিরাপদ। আপনি যে কোন এজেন্সি থেকে খুব সুন্দর এবং নিরাপদ ভাবে কানাডা লেবার ভিসা পেয়ে যাবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট সত্য হতে হবে।
কানাডা লেবার ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ফাঁকা পৃষ্ঠা সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- সকল ইনফরমেশন সত্যায়িত করতে হবে
- আপনি বর্তমানে যে কর্মস্থলে কর্মরত আছেন সেখান থেকে একটি চিঠি নিতে হবে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে
- মেডিকেল রিপোর্টের প্রয়োজন হবে
- আপনার একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে
- অনলাইনে আবেদনকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি বিশেষভাবে প্রয়োজন
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে যুক্ত পাসপোর্ট সাইজের কিছু ছবি
উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে একজন নাগরিক কানাডা লেবার ভিসা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট, তবে নানান রকম সময়ের নানান ভাবে কানাডা লেবার ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে এক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই এজেন্সি থেকে সকল প্রকার আপডেট রাখবেন যদি কোন আপডেট ডকুমেন্ট লেগে থাকে তাহলে আপনারা তৎক্ষণাৎ এজেন্সিকে সেই ডকুমেন্টগুলো প্রদান করবেন। এছাড়া আপনারা বাংলাদেশ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করেও আপডেট রাখতে পারেন।
কানাডা লেবার ভিসা নিয়ে সতর্কতা
কানাডা লেবার ভিসা জন্য সতর্ক করার তেমন কিছু নেই। কারন যারা কানাডায় বিভিন্ন প্রয়োজনে অধিবেশন করতে চায় তারা সকলে কানাডা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে সচেতন থাকে। কারন উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় এই দেশটিতে দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই। সাধারণ কোন ব্যবহারের যদি অশ্লীলতা প্রকাশ পায় এর পরেও আপনাকে জরিমানা হবে। কানাডা সরকার এ ব্যাপারে বেশ সচেতন।
যদিও কানাডায় অধিবাসীদের জন্য বেশ ভালোভাবে আইন তৈরি করা হয়েছে। তাই কানাডায় গিয়ে কোন রকমের দুর্নীতি করার সুযোগ নেবেন না। এক্ষেত্রে আপনার যাবজ্জীবন জেলেও হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন কানাডায় কোন ঘুষ দেওয়ার সিস্টেম নেই। তাই অবশ্যই অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া কানাডায় লেবার ভিসাই কাজ করতে গিয়ে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে স্কিল ডেভেলপ করার। কানাডা লেবার ভিসা কাজ করার পাশাপাশি যদি আপনি আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনি উন্নত কোন কর্মের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনার বেতন কাঠামো অনেক বৃদ্ধি পাবে।
Kitchen Helper and Labor Clinician
Sir, I want to go to Canada. How much will it cost to go to Canada? If you give me some ideas, I will be forever grateful.