জন্ম বিরতি করন ইনজেকশন দুই রকমের পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন একটি ইনজেকশন নিতে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী অথবা যদি আপনি কম সময়ের জন্য নিতে চান সেই সুবিধাও রয়েছে তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জন্মবিরতীকরণ ইনজেকশন ব্যবহার করা উচিত চলুন এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১/ ডিপো-প্রোভেরা
২/নোরিস্টেরেট
দুটি ইনজেকশনই প্রোজেস্টেরন হরমোন ধারণ করে, যা গর্ভধারণকে রোধ করতে কাজ করে। প্রোজেস্টেরন ঘন হওয়ার মাধ্যমে কাজ করে জরায়ুর গর্ত, যা শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়। এটি গর্ভাশয়ের আস্তরণকে পাতলা করে তোলে, যা ভ্রূণের প্রোথাপনকে আরও কঠিন করে তোলে।
এটি দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আপনি কি ধরনের সুবিধা নিতে যাচ্ছেন সে অনুযায়ী মূলত ব্যবহার করতে পারবেন এ দুটি ইনজেকশনের পর্যায়ক্রমে বিবরণ সহ বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
ডিপো-প্রোভেরা এবং নরিস্টেরেট উভয়ই প্রতি ৩ মাস অন্তর ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এগুলি ৯৯% কার্যকর গর্ভধারণ রোধে। ইনজেকশনগুলি একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দ্বারা দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মেডিকেল এবং বাহিরে আপনারা এই সমস্ত ইনজেকশন গুলো কিনতে পারবেন তবে অবশ্যই ডাক্তার কোনটি সাজেস্ট করে সে অনুযায়ী কেনা উচিত।
জন্ম বিরতিকরণ ইনজেকশনের কিছু সুবিধা রয়েছে
- ব্যবহার করা খুব কার্যকর এবং সহজ।
- দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাই আপনাকে প্রায়ই সেগুলি সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না।
- আপনার মাসিকের সময়কাল এবং প্রবাহকে হালকা করতে সহায়তা করতে পারে।
- প্রদাহজনিত অবস্থা যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস এবং পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ এর ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
- যৌনাঙ্গের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
জন্ম বিরতিকরণ ইনজেকশনের কিছু অসুবিধাও রয়েছে
- অনিয়মিত রক্তপাত এবং স্পটিং হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
- হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে।
- মেজাজের পরিবর্তন এবং বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে।
- যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলুন।
- মাথা ব্যথা হতে পারে
- দীর্ঘদিন নিলে ওজন বৃদ্ধি পাবে
- তলপেটে হতে পারে
তাছাড়া আরো নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যদিও অতিরিক্ত মারাত্মকভাবে কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ মেডিকেলে গিয়ে এবং ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তা না হলে কিন্তু এই সমস্যা গুলো আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।