জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত এবং কি কি খরচ করা লাগে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য তা সমস্ত এই কন্টেন্টের মধ্যে আমরা তুলে ধরেছি। এখানে আপনারা জানতে পারবেন ২০২৩ সালে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ করা লাগছে। এই খরচ গুলো কিভাবে করতে হয় এবং কি কি কাজে খরচ করা লাগে তা দেখতে পারবেন।
যারা জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা আজকে আমাদের এই কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ কনটেন্ট যদি পড়েন তাহলে জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এই কনটেন্ট এর মধ্যে পেয়ে যাবেন। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ কনটেন্টই মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।
কেন জাপান স্টুডেন্ট ভিসায় যাবেন
বর্তমান সময়ে জাপান হল অর্থনৈতিক দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম একটি দেশ। আর এখানে প্রতিনিয়ত কাজের উদ্দেশ্যে অথবা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্টুডেন্টরা পড়াশুনা এবং কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। মূলত জাপানে স্টুডেন্ট ভিসা কাজ করা যায় পাশাপাশি পড়াশোনা করারও সুযোগ আছে।
এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে অনেকটাই খরচ কম হওয়ার কারণেই মূলত জাপানে স্টুডেন্ট ভিসাতে পড়াশোনা করতে যায়। এবং পাশাপাশি ভালো ইনকাম করার একটি সুযোগ থাকে বিধায় স্টুডেন্ট ভিসাতে সেখানে মানুষ বাড়ি জমাচ্ছে।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসাতে গিয়ে যদি আপনি ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে চান এবং জাপানে পার্মানেন্ট বা স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ খুজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটিই হবে একটি সুবর্ণ সুযোগ। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক স্টুডেন্ট বিস্তারিত তথ্য গুলো।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ হবে ৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করার জন্য খরচ হবে ২০ হাজার টাকা এবং নাট টেস্ট খরচ হবে ৮,০০০ টাকা কাগজপত্র পাঠানোসহ টিউশন ফি এবং প্ল্যান ভাড়া হাত খরচসহ টোটালি খরচ পড়বে ৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি খরচ করা লাগে নিচে তা তুলে ধরা হলো।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৩ | |
---|---|
পাসপোর্ট: | ৫ হাজার টাকা |
ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স: | ২০ হাজার টাকা |
JLPT/NAT টেস্ট: | ৮ হাজার টাকা |
ডকুমেন্টেশন ফটোকপি: | ১ হাজার টাকা |
ল্যাংগুয়েজ স্কুল অ্যাপ্লিকেশন ফি: | ২০ হাজার টাকা |
কাগজপত্র পাঠানো খরচ: | ৮ হাজার টাকা |
টিউশন ফি এন্ড এডমিশন ফি: | ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা |
প্লেন টিকিট: | ৬৫ হাজার টাকা |
শপিং খরচ: | ১৫ হাজার টাকা |
হ্যান্ড ক্যাশ: | ৫০ হাজার টাকা |
টোটাল খরচ: | ৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা |
তবে সময়ের পরিবর্তনে এবং দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কিন্তু কম বেশি হতে পারে। তাছাড়া আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেই এজেন্সি খরচ বাবদ আবারও এক লক্ষ টাকা এক্সট্রা ভাবে খরচ করা লাগতে পারে।
তাই আপনি যে এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সি গুলোতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ দিচ্ছে এবং কি কি খরচ নিচ্ছে সেই বিষয়গুলো ভালো মতো জানবেন। আবার অনেক এজেন্সি আছে যারা কিনা আপনাকে আগে থেকেও বলে দিতে পারে অথবা আপনি যখন তাদের মাধ্যমে চুক্তিতে যাবেন পরবর্তীতে কিন্তু আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে যে প্লেন ভাড়া আপনাকেই দিতে হবে।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ২০২৩ ( নতুন নিয়োগ )
তাই অবশ্যই জাপান যাওয়ার আগে আপনি এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হবেন যে প্লেন ভাড়া কাকে দেওয়া লাগবে এবং আনুষঙ্গিক যে সমস্ত খরচ আছে এই সমস্ত খরচ গুলো কে বহন করবে। মনে রাখবেন জাপান যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ খরচ কিন্তু পর্যায়ক্রমে আপনাকেই বহন করা লাগবে এক্ষেত্রে অগ্রিম ভাবে কোন টাকা পয়সা লেনদেন করবেন না।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
২০২৩ সালে আগের তুলনায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়েছে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনাকে জাপান ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এইচএসসি অথবা অনার্স কমপ্লিট থাকলেই আপনি জাপান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। জাপান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বয়স সীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে জাপান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া কিন্তু অনেকটাই সহজ ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি সহজ আছে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথম অবস্থায় জাপান ভাষা সম্পর্কে আপনাকে খুব ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি দুইভাবে যেতে পারবেন একটি হচ্ছে জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ এর উপর কোর্স করে আর অন্যটি হলো আইএলটিএস করে।
পর্যায়ক্রমে আমরা জাপান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকা লাগবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে নিচে তুলে ধরেছি আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন এতে করে আপনারা সমস্ত বিষয়গুলো জানতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তুলে ধরেছি।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য সময় লাগতে পারে মিনিমাম এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত। এর মধ্যে আপনাকে ৬ মাস মেয়াদি জাপানি ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে পাশাপাশি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো এজেন্সির মাধ্যমে পাঠাতে হবে এবং আপনার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যে এডমিশন নিবেন সেই সমস্ত কাগজপত্র গুলো জাপান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো লাগবে।
এগুলো সাধারণত আপনার এজেন্সির মাধ্যমে করতে পারবেন এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং করার জন্য সমস্ত খরচ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সবগুলোই এজেন্সির মাধ্যমেই করা যায়। তাই সব থেকে বেটার অপশন হল আপনি যদি কোন কিছু না চিনে থাকেন না বুঝে থাকেন তাহলে ভালো কোন এজেন্সির ধারপ্রান্ত হয়ে এই কাজগুলো করে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে তেমন কোনো সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।

জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা তে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/ সমমান পাস। জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ N4 এবং N3 পাস থাকতে হবে। এছাড়া যদি আপনি জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স না করেন তাহলে আই এল টি এস করেই আপনি জাপানে যেতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন যে জাপানে যাওয়ার জন্য অবশ্যই জাপান ভাষার উপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যখন স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন কিন্তু জাপানি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আপনার ভাইবার ব্যবস্থা করবে। ভাইভাতে যদি আপনি সমস্ত উত্তরগুলো এবং আপনার ভাষা সম্পর্কে দক্ষতা দেখাতে পারেন তারপরেই কিন্তু আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
জাপানের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় ( নতুন নিয়ম )
এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হবে সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো আপনাকে ইংলিশে অথবা জাপান ল্যাঙ্গুয়েজে কিন্তু উত্তর দিতে হবে তাই অবশ্যই জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে প্রথম অবস্থায় আপনাকে ভালো মতো জ্ঞান অর্জন করে তারপরেই স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা সব থেকে উত্তম।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করতে হবে তারপরে আপনি নির্ধারিত কোন এজেন্সির মাধ্যমে অথবা দূতাবাসের মাধ্যমে জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র এবং খরচ প্রদান করা লাগে। এক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগবে নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে তা তুলে ধরেছি।
মনে রাখবেন স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্টে মিনিমাম ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত থাকা লাগবে। এক্ষেত্রে যখন আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্টসহ আপনার ডিটেলস একটি ভেরিফিকেশন করা হয়। সেখানে যদি দেখে আপনার জাপানে গিয়ে পড়াশোনা করার মতো টাকা অ্যাভেলেবল আছে তারপরেই কিন্তু আপনি জাপানের ভিসা পাবেন।
মনে রাখবেন জাপানে যাওয়ার জন্য কিন্তু এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এক্ষেত্রে যদি আপনার একবার ভিসা বাতিল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আরো কয়েকবার বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং সবকিছু লিগ্যাল রাখার চেষ্টা করবেন।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন খরচ
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার খরচ হলো ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এটি শুধুমাত্র টিউশন এন্ড এডমিশন ফি এর জন্য। তাছাড়াও অন্যান্য খরচ বাবদ আপনাকে আরো টাকা প্রদান করতে হবে। যেমন কাগজপত্র পাঠানো এবং ডকুমেন্টেশনের ফটোকপি গুলো করতে হলে আপনাকে আরো এক্সট্রা ভাবে খরচ করা লাগে।
তবে এই সমস্ত খরচ গুলো যদি আপনি এজেন্সির মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে কিন্তু খরচ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন যে তারা কত টাকা খরচ নিচ্ছে এবং আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেই এজেন্সি কত টাকা খরচ নিচ্ছে তা একটি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ৬ মাস মেয়াদে একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট।
- তারিখসহ একটি ভিসা আবেদন ফরম।
- স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র।
- জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- আবাসনের বিস্তারিত বিবরণ।
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- লিগাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টেশন।
- ম্যারেজ সার্টিফিকেটের কপি।
- বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- লাস্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জাপান তোতাপার সাথে স্বাক্ষর।
এই সমস্ত কাগজপত্রগুলো আপনাকে আগে থেকে সংগ্রহ করা লাগবে। এবং যদি কাগজপত্রে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে তার সংশোধন করে নিতে হবে তা না হলে আপনার জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকতে পারে।
তবে মনে রাখবেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কিন্তু জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ অথবা ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এ ট্রান্সলেট করা লাগবে। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে আলাদা ভাবে এক্সট্রা খরচ করা লাগে এক্ষেত্রে খুব একটা বেশি নাই এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যেই এই খরচ হয়ে যাবে।
তবে আপনার এজেন্সি যদি এই খরচ গুলো বেশি চেয়ে থাকে তাহলে আপনি তাদের মাধ্যমে না করে নিজেও করে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এজেন্সির মাধ্যমে যদি করেন তাহলে কিন্তু এজেন্সিরা সমস্ত খরচ বাবদ আলাদা ভাবে একটি আপনাকে ফিক্সড খরচ দেখিয়ে দিতে পারে।
জাপানে পড়াশোনা করতে খরচ কত টাকা লাগে
জাপানে পড়াশোনা করার জন্য প্রথমে অবস্থায় খরচ করা লাগবে আপনাকে ৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এবং জাপানে যাওয়ার পরে আপনাকে ৫০ হাজার টাকার মতো হাতে রাখতে হবে পাশাপাশি। প্রত্যেক বছর আপনার ইনস্টিটিউট একটি খরচ বহন করা লাগে।
তাছাড়া আর অন্যান্য খরচ রয়েছে এই সমস্ত খরচ দিয়ে টোটালি আপনার মোটামুটি ১২ লক্ষ টাকার মত খরচ পড়তে পারে। তবে এজেন্সি অনুযায়ী এবং দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী কিন্তু খরচ কম বেশি হতে পারে। যেমন বর্তমানে বিমান ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে কিন্তু খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
তবে আপনারা কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে চেষ্টা করে দেখতে পারেন অথবা আপনার পরিচিত কোন যদি প্রতিষ্ঠান অথবা ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার রয়েছে সেই সমস্ত ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার থেকে যদি কম বেশি কিছু খরচ করে নিতে পারেন যেমন ভাষা শেখার জন্য কিন্তু আপনাকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগে এ ক্ষেত্রে অনেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যেও কিন্তু জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পন্ন করে দেয়।
তাই এই বিষয়গুলো আপনাকে যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে যে কোথায় কিভাবে খরচ কম করা যায়। এভাবে যদি পর্যায়ক্রমে আপনারা অল্প অল্প ভাবে খরচ করতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেকাংশই কম খরচের মধ্যে আপনারা জাপানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসায় চলে যেতে পারবেন।
জাপানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
জাপানে সরকারি এবং বেসরকারি যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্কলারশিপ নিতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি স্কলারশিপ নিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু অনেকটাই কম খরচ হবে। এবং জাপানি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। নিচে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় লিস্ট তুলে ধরলাম এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য কি কি শর্ত থাকা লাগে তাও জানতে পারবেন।
জাপানের সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা | |
---|---|
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম | স্থান |
Toyo University Hakusan Campus | 5 Chome-28-20 Hakusan, Bunkyo City, |
Nihon University | 4 Chome-8-24 Kudanminami, Chiyoda City |
The University of Tokyo | 7 Chome-3-1 Hongo, Bunkyo City |
Waseda University | 1 Chome-104 Totsukamachi, Shinjuku City |
Kyoto University | Yoshidahonmachi, Sakyo Ward |
Tohoku University | 2 Chome-1-1 Katahira, Aoba Ward, Sendai |
University of Tsukuba | 1 Chome-1ー1 Tennodai, Tsukuba, Ibaraki |
Nagoya University | Furocho, Chikusa Ward, Nagoya, Aichi 464 |
Hokkaido University | 5 Chome Kita 8 Jonishi, Kita Ward |
Tokyo Institute of Technology | 2 Chome-12-1 Ookayama, Meguro City |
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার শর্ত
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আগে প্রথমে আপনাকে জাপানি ভাষা শিখতে হবে অথবা আই এল টি এস করতে হবে। সেই সাথে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে মিনিমাম ১৫ লাখ টাকা দেখাতে হবে। কেননা জাপান স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান করার আগে আপনি সেখানে পড়াশোনা করার মতো খরচ আছে কিনা এই বিষয়টা তারা গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকে।
তাই অবশ্যই আপনি যখন এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখবেন কেননা স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু জাপান এই বিষয়টা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকে। তবে অনেকেই আছে যারা কিনা স্টুডেন্ট ভিসাতে গুরুত্ব না দিয়ে কাজের গুরুত্ব দিয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিন্ন রকম উপায় আছে। এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু আপনার এজেন্সির সঙ্গে বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে জেনে নিতে পারবেন।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের আগে ভাষা শিক্ষা
জাপানি স্টুডেন্ট যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই জাপান ভাষা শিখে অ্যাম্বাসির মাধ্যমে আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যাকে বলা হয় নাট টেস্ট এই পরীক্ষা দিয়ে যদি আপনি উত্তীর্ণ হতে পারেন তারপরে আপনি জাপানে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন। জাপান স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার পূর্বে ভাইবা এবং লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই জাপান ভাষার উপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এই পরীক্ষাতে যদি আপনি ভালো ফলাফল করতে পারেন এবং ভাইবাতে যদি সবকিছু ঠিকঠাক মতো উত্তর দিতে পারেন তাহলেই কিন্তু আপনার জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে এবং আপনার তাড়াতাড়ি সিইওই চলে আসবে। এটা আসার পরে আপনি দূতাবাসের মাধ্যমে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে আপনি ভিসার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার বয়স কত
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য বয়স ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে আপনি কমার্শিয়াল কলেজগুলোতে পড়ার জন্য অবশ্যই এই বয়সসীমা থাকতে হবে। এবং কাজের বিচার জন্য কিন্তু আলাদা বয়স হয়ে থাকে তবে ১৮ বছর থেকে ৩৫ বছর এবং উর্ধ্বেও কাজের বয়সের জন্য নির্ধারিত থাকতে পারে।
মূলত ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জন্য এই বয়সের মধ্যেই হতে হবে এক্ষেত্রে আপনি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া ও জাপান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরনের থাকে এই রিকোয়ারমেন্ট গুলো অবশ্যই আপনাকে ভালো মতো ফলো করতে হবে।

কোথায় জাপানি ভাষা শিখবেন
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আপনি জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর কোর্স করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে অথবা বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিনা জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর কোর্স করায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর চালু আছে।
তবে স্টুডেন্ট যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র জাপানি ভাষা শিক্ষা লাগবে তা না যারা কিনা ইংলিশের উপর দক্ষতা অর্জন করে আইএলটিএস পরীক্ষা দিয়েও স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ইংলিশ আইএলটিএস স্কোর মিনিমাম ৫.৫০ থাকতে হবে। তবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করছেন এবং তাদের কি কি রিকোয়ারমেন্ট আছে এই সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ভাইবা প্রস্তুতি
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ভাইবা নেওয়া হয়ে থাকে এজেন্সির মাধ্যমে। তাই আপনি যখন জাপান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন কিন্তু জাপান ভাষা সম্পর্কে আপনার কতটা ধারণা আছে এবং আপনি সবকিছু ঠিকঠাক মতো পড়তে পারছেন কিনা এবং আপনার সাবলীল ভাবে জাপান ভাষা বলার দক্ষতা আছে কিনা এই বিষয়টা দেখে থাকে। তাই অবশ্যই জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার আগে। এই বিষয়টি আপনাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
তবে আপনি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনে নিতে পারবেন। কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে এবং বিগত বছরগুলোতে কি ধরনের ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বিষয়গুলো আপনি পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে অথবা জাপানে অবস্থানরত কোন স্টুডেন্ট এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন সর্বোপরি জাপান ভাষা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ভালো জ্ঞান থাকতেই হবে।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সতর্কতা
মূলত জাপান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি স্টেপে কাজ করা লাগে। তাই অবশ্যই অবৈধ কোন এজেন্সির মাধ্যমে অথবা অবৈধ কোন ব্যক্তির মাধ্যমে আপনারা জাপান স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন না। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নাও থাকতে পারে। কেননা অনেক দালাল রয়েছে যারা কিনা আপনার কাছ থেকে মোটামুটি টাকা নিবে কিন্তু ভিসা দিতে পারবে না।
তাই আপনি যেই এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সির বৈধ কোন লাইসেন্স আছে কিনা এবং বিগত বছরগুলোতে তারা ঠিকঠাক মত স্টুডেন্ট পাঠাতে পারছে কিনা এই বিষয়টি অবশ্যই দেখবেন। কেননা বাংলাদেশে দালালের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এক্ষেত্রে জাপান সহ অন্যান্য দেশগুলোতেও কিন্তু এই দালাল চক্রের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা তারা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।
পাসপোর্ট খরচ | ৫ হাজার টাকা |
ল্যাংগুয়েজ কোর্স ফি | ২০ হাজার টাকা |
জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ পরীক্ষা খরচ | ৮ হাজার টাকা |
ডকুমেন্ট সেন্ডিং | ৮ হাজার টাকা |
ডকুমেন্ট ফটোকপি | ৮ হাজার টাকা |
ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল application | ২০ হাজার টাকা |