আজকে আমরা কথা বলব জাপান ভিজিট ভিসা ২০২৩-এ কিভাবে করবেন এবং কি কি রিকোয়ারমেন্ট লাগে এ বিষয়গুলো নিয়ে। অনেকেই জাপানে কাজের জন্য টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাই আবার অনেকেই শুধুমাত্র ভ্রমণ করার জন্য বা অন্যান্য উদ্দেশ্যের জন্য কিন্তু টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসা নিয়ে জাপানে যেয়ে থাকে।
তবে আপনি যদি জাপানের টুরিস্ট ভিসা অথবা ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। এবং আগের তুলনায় ২০২৩ সালের বেশ নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে এ বিষয়গুলো আপনাকে জেনে নিতে হবে। তা না হলে জাপানে যাওয়ার পরে আপনাকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।
তাই আজকে যদি আমাদের এই কনটেন্ট আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে কিন্তু জাপান টুরিস্ট ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপনারা জেনে নিতে পারবেন। তাই আপনাদের উচিত হবে আমাদের এই কনটেন্টটি স্টেপ বাই স্টেপ সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়া।
জাপান ভিজিট ভিসা ২০২৩
২০২৩ সালে আপনারা যদি জাপান যেতে চান তাহলে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো লাগবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকে ট্রানজেকশন থাকতে হবে পাশাপাশি আপনার ব্যাংকে আমার কাছে আছে এমন কিছু টাকা আপনাকে দেখানো লাগবে। তারপরে আপনি জাপান টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন। এবং কি উদ্দেশ্যে আপনি জাপানে যেতে চাচ্ছেন কতদিন অবস্থান করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়েই দেখাতে হবে।
২০২৩ সালে আপনি যদি জাপান টুরিস্ট ভিসা করতে চান তাহলে আপনাকে আগে থেকেই হোটেল বুকিং এর একটি কপি ভিজিট ভিসা আবেদন করার সময় দেখাতে হবে পাশাপাশি আপনার ফিরতি বিমান টিকিটের কপি দেখিয়ে কিন্তু ভিজিট ভিসার আবেদন করতে হবে।
বিগত বছর থেকে কিন্তু জাপানের টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে যারা বাহির দেশ থেকে আসবেন তাদের নিয়ম কিন্তু ভিন্ন রকম হবে। অনেকে আছে ইউরোপ বা দুবাই মালয়েশিয়ার, সিঙ্গাপুর অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে যারা আসবেন তাদের নিয়ম কিছুটা ভিন্ন এক্ষেত্রে তেমন কঠিন কোন নিয়ম নেই। শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে একটু নিয়ম কঠিন।
জাপান টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
জাপান টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য সরাসরি দূতাবাস থেকেও করতে পারবেন অথবা বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমেও করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে টুরিস্ট ভিসা নির্দিষ্ট একটি প্যাকেজ অনুযায়ী কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ট্রাভেল এজেন্সি গুলো দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে নির্দিষ্ট একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন যে সমস্ত কাগজপত্রগুলো চাওয়া হবে তা প্রত্যেকে এজেন্সি একই রকম এবং একই ধরনেরই প্রায় খরচ পড়ে থাকে। তাই আপনারা যখন নির্দিষ্ট কোন এজেন্সির মাধ্যমে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়গুলো এর জন্য কাগজপত্র রেডি করবেন তখন আগে থেকেই কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে খরচ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিবেন।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
জাপান টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন
২০২৩ সালে টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে কিন্তু আপনাকে বেশ কিছু ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে। এর মধ্যে প্রথম কাজ হল আপনি কি জন্য জাপানে যাবেন এবং কতদিন পর্যন্ত থাকবেন এবং আপনার জাপানে যাওয়ার মেইন উদ্দেশ্য কি এই বিষয়গুলো কিন্তু আপনাকে দূতাবাসের মাধ্যমে জানানো লাগবে। এক্ষেত্রে জাপানে যদি আপনার কোন পরিচিত ব্যক্তি থাকে তাহলে তাদের সাহায্য নিয়ে কিন্তু আপনারা খুব সহজে জাপান টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন।
অথবা আপনি যদি চেষ্টা করেন দেশের বাহির থেকেও কিন্তু খুব সহজে জাপান টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন। আপনি যদি দেশের বাহিরে থেকে জাপান টুরিস্ট ভিসা করেন তাহলে খুব কম খরচের মধ্যে করতে পারবেন এবং কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই দেশের বাইরে থেকে খুব সহজেই করা যায়।
জাপানের টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ভাবে চেষ্টা করে থাকে। সাধারণত জাপানে যারা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে তাদের মূল উদ্দেশ্য হয় যে কোন মূল্যে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে জাপানে প্রবেশ করা। এরপর জাপানি গিয়ে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হওয়া পরবর্তীতে যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ ধরবে ততদিন পর্যন্ত নিজেকে হাইট রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়া।
যারা এরকম চিন্তা ভাবনা করছেন তারা কিন্তু আগের তুলনায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারেন। কেননা আগের তুলনায় ২০২৩ সালে বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তাই আপনারা যদি এরকম চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে এ বিষয়টা নিয়ে সজাগ থাকা উচিত।
বর্তমানে যারা জাপানের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা চাইলে যেতে পারবেন কিন্তু ধরা পড়লে কিন্তু আপনাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এটা সুনিশ্চিত।
জাপানে বর্তমানে এইভাবে অনেক মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে এবং কাজে নিয়োজিত আছে। তবে আপনি যেদিন ধরা পড়বেন সেদিন কিন্তু ঠিকই আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাই আপনারা যদি চিন্তাভাবনা করে থাকেন শুধুমাত্র কাজ করার উদ্দেশ্যে যাবেন তাহলে এই প্রসেসে যেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ধরা মাত্রই কিন্তু দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
জাপানের বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি
জাপান টুরিস্ট ভিসা খরচ কত
যখন টুরিস্ট ভিসা নেওয়ার জন্য আপনাকে মিনিমাম 5 লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। জাপান টুরিস্ট ভিসাতে র্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা যাবে। বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যদি জান তাহলে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। এই প্যাকেজগুলোর মধ্যে আপনারা জাপান টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি দেশের বাইরে থেকে জাপানের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আড়াই লক্ষ টাকা থেকে 5 লক্ষ টাকার মধ্যেও কিন্তু জাপান টুরিস্ট ভিসা দিতে পারবেন। যারা দেশের বাহির থেকে জাপানের টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তাদের খরচ কম এবং খুব সহজেই টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
জাপান টুরিস্ট ভিসা নেওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত যে সমস্ত সরকার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন। তবে টুরিস্ট ভিসা নেওয়ার জন্য কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
তবে আপনি যদি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে জাপান যেতে চান তাহলে কিন্তু তারা সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে দিবে। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র একটি প্যাকেজ সিলেক্ট করে পাসপোর্ট সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলো প্রদান করলেই আপনাকে জাপান ভিসার জন্য আবেদন সম্পন্ন করে দিবে। নিচে আমরা কিছু ট্রাভেল এজেন্সি লিস্ট তুলে ধরেছি এই মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে আপনারা জাপানের টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এম্বাসি৬ মাস মেয়াদের ভ্যালির পাসপোর্ট |
এনআইডি কার্ডের ফটোকপি |
পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি |
ছয় মাসে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি |
চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ |
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট |
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো এম্বাসি কর্তৃক সত্যায়িত |
বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি |
এছাড়াও পূর্বে আপনি কোথাও ভ্রমণ করেছেন কিনা এবং কি উদ্দেশ্যে ভ্রমন করতে চাচ্ছেন এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো এম্বাসি থেকে দেখতে যাওয়া হয়। তাই আপনি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন যে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং ভাইবার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়।
তাছাড়া অবশ্যই কাগজপত্র গুলো যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে আগে থেকে সংশোধন করে নিতে হবে। তা না হলে কিন্তু আপনার জাপান টুরিস্ট ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন আইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট এর স্বাক্ষর অনুযায়ী স্বাক্ষর করতে হবে।
জাপান টুরিস্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে জাপান টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করার আগে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা ট্রানজেকশন করেছেন এবং একাউন্টে কত টাকা আছে এ বিষয়টি দেখা হয়ে থাকে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকলে এবং ট্রানজেকশন না থাকলে কিন্তু আপনার টুরিস্ট ভিসা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। কেননা জাপান কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি খুব ভালো মতোই নজর দিয়ে থাকি আপনি সেখানে গিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ খরচ করতে পারবেন কিনা এবং খরচ করার মতো সামর্থ্য আছে কিনা এই বিষয়টি তারা দেখে থাকে।
তাই আপনার ব্যাংক একাউন্টে অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকা লাগবে এবং আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ট্রানজেকশন করে থাকেন এই বিষয়টি তারা দেখবে তারপরে আপনি জাপানের ভিসা হাতে পাবেন।
জাপান ভাষা কোথায় শিখবেন দেখে নিন
দেশের বাহির থেকে জাপান টুরিস্ট ভিসা
আপনি যদি দেশের বাহির থেকে জাপান টুরিস্ট ভিসা নিতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে ওই দেশে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দেশের বাহির থেকে করলে কিন্তু টুরিস্ট ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং কম খরচের মধ্যেই পাওয়া যায়। আড়াই লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে জাপানের টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের তুলনায় বাহির থেকে কিন্তু জাপানের টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করা যায় এক্ষেত্রে দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরসহ ভিসার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই জাপানের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে অনেকেই সে দেশে প্রবেশ করছে।
জাপান টুরিস্ট ভিসা | প্রথম পাতা |
জাপান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ | ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন |
জাপান টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া | জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে |
জাপান টুরির ভিসা খরচ | 2 লক্ষ টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা |
জাপান টুরিস্ট ভিসায় কি কাজ করা যায় | জাপান টুরিস্ট ভিসায় কাজ করা যায় না তবে অনেকেই করে |
জাপান টুরিস্ট ভিসায় কি কি করা যায়
আপনি যদি জাপানের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে শুধুমাত্র ভ্রমন করার পারমিশন পাবেন। তবে যারা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাই তারা কিন্তু চাইলে কাজও করতে পারবে কিন্তু এটি জাপানের আইনে বৈধ কোন উপায় নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই আছে যারা কিনা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে জাপানে যাওয়ার পরে পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে এবং যখন পুলিশ ধরে ফেলে তখন কিন্তু রিফিউজি ভিসা করে নাই।
আর এই রিফিউজি ভিসা মূলত জাপানে সাময়িক সময়ে থাকার জন্য। তবে এই ভিসাতেও কিন্তু আপনি কাজ করতে পারবেন না। এটি জাপানের আইনে একেবারে বৈধ নয়। তারপরেও অনেকেই আছে যারা এই ধরনের ভিসা নিয়ে জাপানের বিভিন্ন কোম্পানিতে বা ফ্যাক্টরিতে কাজ করছে এ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কিন্তু তাদের পুলিশ ধরে ফেললে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে এবং তার ভিসাটি বাতিল করে দিতে পারে।
তাই বলা যাচ্ছে জাপানি আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে টুরিস্ট ভিসা নিতে চান তাহলে কিন্তু ভিসা পাবেন না আর যদিও পেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনারা এ বিষয়টি মাথায় রেখে তারপরে জাপানের টুরিস্ট ভিসা নিবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসাতে কতদিন থাকতে পারবেন
জাপান টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে আপনি ৩০ দিন থেকে 90 দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার দেশে ফেরত আসলে কোন ধরনের প্রবলেম যদি থাকে তাহলে জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। তবে উল্লেখযোগ্য আপনার কোন কারণ সেখানে উল্লেখ করতে হবে এবং পরবর্তীতে কতদিন পর্যন্ত থাকবেন এবং নিয়মিত এজেন্সিতে যোগাযোগ রাখতে হবে তাহলে আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসাই সুযোগ সুবিধা
জাপান পুলিশ ভিসার মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ জাপান ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। জাপানের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে এটা মনে রাখবেন যে জাপানে গিয়ে কিন্তু আপনি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন না। তবে এই নিয়ম অনেকেই মানে না অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত হয়ে যায়।
তবে এই নিয়ম যে একেবারে কঠিন ভাবে জাপানে চালু আছে তা কিন্তু নাই তবে আপনার জন্য কিন্তু সমস্যা বয়ে আনতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন জাপানে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কোন ধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত না হওয়া তা না হলে আপনার পরবর্তীতে জাপান ভিসা পাওয়ার জন্য কিন্তু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মূলত যারা যেখানে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে তারা কিন্তু শুধুমাত্র কাজ করার জন্য টাকা ইনকাম করার জন্যই যাই। তাই এরকম যদি চিন্তাভাবনা থাকে তাহলে অনায়াসেই জাপানে যেতে পারেন এবং নিয়মিত কাজ করতে পারেন তবে আপনি যদি বাহির হন তাহলে কিন্তু পুলিশ ধরে ফেলতে পারে সেক্ষেত্রে আপনাকে পাঠিয়ে দেবে।
জাপান টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সতর্কতা
অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ভিস বলে জাপানের টুরিস্ট ভিসা ধরিয়ে দিতে পারে। তাই অবশ্যই বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে আপনারা টুরিস্ট ভিসাতে জানতে চাচ্ছেন নাকি। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন এই বিষয়টি ভালোমতো লক্ষ্য করে দেখবেন।
এবং আপনারা কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। অন্যান্য এজেন্সি কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন দামে জাপানি পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এক এক এজেন্সির এক এক রকম কিন্তু খরচ বহন করে এবং সুবিধাবন করে তাই অবশ্যই কয়েকটি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে তারপরে আপনারা জাপান টুরিস্ট ভিসা করার সিদ্ধান্ত নিবেন।
জাপানে কোন কাজে কত বেতন দেখে নিন
ধন্যবাদ