জাপান যেতে কত টাকা লাগে এবং জাপানে যেতে বয়স কত লাগে এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিয়ে আমরা আজকের কনটেন্ট এর মধ্যে আলোচনা করেছি। অনেকেই আমাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে চেয়েছে জাপানি যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয় এই বিষয় নিয়ে। এবং সর্বনিম্ন কত বয়স হলে সে জাপানে যেতে পারবে তা আমরা এখানে তুলে ধরেছি।
মূলত জাপান হচ্ছে অর্থনৈতিক দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম একটি দেশ সেখানে যাওয়ার জন্য নতুন কিছু নিয়ম এবং কত টাকা খরচ এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো আমাদের এই কন্টেন্টে তুলে ধরা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জাপান যাওয়ার সমস্ত প্রসেস এবং খরচ এবং কি কি রিকোয়ারমেন্ট আছে তা জানতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অথবা জব ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সরকারি মাধ্যমে একেবারেই ফ্রিতে যাতে পারবেন এক্ষেত্রে কোন ধরনের টাকা পয়সা লাগবে না। আর আপনি যদি কোন এজেন্সি বা কোম্পানির মাধ্যমে যেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করা লাগবে।
এবং আপনি যদি দেশের বাহির থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে একেবারে কম খরচে এবং ভালো মানের কাজ নিয়ে জাপানের প্রবেশ করতে পারবেন। বর্তমানে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকেই কিন্তু জাপানের উদ্দেশ্যে কাজে আসছে।
তবে অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত একটি কাজের উপর আসতে হবে সেখান থেকে এসে পুনরায় আবার জাপানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে আরো তুলে ধরেছি।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা যেতে কত টাকা লাগে
জাপানে স্টুডেন্ট ভিসাতে যাওয়ার জন্য খরচ পড়বে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত। বাংলাদেশের যে সমস্ত এজেন্সিগুলো রয়েছে এই এজেন্সিগুলোতে সাধারণত জাপান ভাষার উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং জাপানে বিমান ভাড়া সহ ইনস্টিটিউট আনুষঙ্গিক সমস্ত বিষয়গুলো ধরেই মূলত ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মধ্যেই জাপানে স্টুডেন্ট ভিসাতে যাওয়া যাচ্ছে।
এক এক এজেন্সি কিন্তু এক এক রকম ভাবে জাপানের স্টুডেন্ট ভিসার দাম নির্ধারিত করে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা আপনাকে বিমান ভাড়া সহ institute ফি আনুষঙ্গিক সমস্ত খরচ ধরেই কিন্তু 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা নির্ধারিত করে। আবার অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে বিমান ভাড়া বাদ দিয়েই নিয়ে যায়।
তবে আপনাকে অবশ্যই বিষয়গুলো ভালো মতো জেনে তারপরে জাপানের স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত তথ্যগুলোর জন্য টাকা আদান প্রদান করবেন। প্রথম অবস্থায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করা লাগে। পরবর্তীতে COE বের হওয়ার পরেই কিন্তু আপনাকে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা লাগবে।
এইভাবে স্টুডেন্ট ভিসায়ী পর্যায়ক্রমে টাকা প্রদান করতে হয় এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নিজেই ইনস্টিটিউটে যাচ্ছেন সেই ইনস্টিটিউট ফি এবং সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা এর জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে টাকা প্রদান করা লাগে তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে তারপরে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনারা টাকা খরচ করবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে কত টাকা লাগে
জাপানি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য খরচ পড়ে তিন লক্ষ টাকা থেকে 5 লক্ষ টাকা। বাংলাদেশের যে সমস্ত ট্রাভেল এজেন্সি গুলো আছে মূলত সমস্ত খরচ এবং যাতায়াত বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক সকল বিষয়গুলো ধরেই এই টাকা খরচ হয়। তবে আপনি যদি নিজের খরচে যেতে চান তাহলে তিন লক্ষ টাকার মধ্যেই এক মাস পর্যন্ত আপনি জাপানে অবস্থান করতে পারবেন।
মূলত জাপানে টুরিস্ট ভিসা নেওয়ার জন্য যে সমস্ত ট্রাভেল এজেন্সি গুলো রয়েছে সেগুলোতে নির্দিষ্ট একটি প্যাকেজ অনুযায়ী আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে এক মাস থেকে তিন মাস মেয়াদী পর্যন্ত জাপান টুরিস্ট ভিসা নেওয়া যায় এক্ষেত্রে আপনাকে ওই প্যাকেজ অনুযায়ী টাকা প্রদান করা লাগবে।
জাপান বিজনেস ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি জাপানে বিজনেস করার জন্য ভিসা নিতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভিসা করতে হবে। জাপান বিজনেস ভিসার জন্য খরচ হবে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মত। আপনি যখন বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আবেদনে নির্বাচিত হওয়ার পরেই এই টাকা খরচ করা লাগবে।
কোন ব্যক্তি বা দালালের মাধ্যমে যদি আপনারা বিজনেস ভিসা নিতে চান তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে সমস্যা হবে। কেননা শুধুমাত্র দূতাবাসের মাধ্যমেই বিজনেস ভিসা নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে গুরুত্ব বিষয়গুলো ভালোমতো লক্ষ্য করে তারপরে আপনাকে বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
জাপানি বিজনেস ভিসায় যাওয়ার জন্য একমাত্র মাধ্যম হলো জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে। সাধারণত আপনি নরমালি সরকারি নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে কিন্তু জাপান বিজনেস ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন না। এখন পর্যন্ত জাপান সরকার এরকম কোন নিয়ম চালু করেনি।
জাপান কোন ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ
জাপান ভিসা ক্যাটাগরি | জাপানি ভিসা খরচ |
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | ৮ লক্ষ টাকা থেকে 12 লক্ষ টাকা |
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা | ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা |
জাপান বিজনেস ভিসা | ৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা |
জাপান টুরিস্ট ভিসা | ৩ লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা |
জাপান জব ভিসা | ৫ লক্ষ্য থেকে ১০ লক্ষ টাকা |
জাপান ড্রাইভিং ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
জাপান ড্রাইভিং যেতে হলে মিনিমাম ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে এবং অবশ্যই ড্রাইভিং ভিসাই যাওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল মানের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা লাগবে। তারপরে আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন আবেদন করার জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণ বাবদ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের জন্য এই টাকা খরচ করতে হয়।
জাপান কাজের ভিসায় যেতে বয়স কত লাগে
জাপানে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য বয়স ২১ বছর হতে হবে। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসাই সেখানে গিয়ে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ১৮ বছরের উপরে হলেই আপনি কাজে যোগ দিতে পারবেন। তাছাড়া ১৮ বছরের নিচে জাপানে কোন ধরনের কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয় না।
জাপানি কিন্তু ভিসা অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হয় আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে চাচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করেই আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং বয়স সীমার মধ্যেই সেটি করতে হবে।
সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা অন্যান্য যে সমস্ত বিজনেস টাইপের ভিসা রয়েছে সেখানে সাধারণত আপনাকে অবশ্যই ২১ বছরের বেশি হতে হবে তা না হলে আপনি এ ভিসা নিতে পারবেন না।
জাপানে কোন ভিসাতে যেতে কত বয়স লাগে
জাপান ভিসার নাম | বয়স সীমা |
জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | ২১ বছর |
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা | ১৮ বছর থেকে ৩৫ |
জাপান বিজনেস ভিসা | ১৮ বছরের উর্ধ্বে |
জাপান টুরিস্ট ভিসা | ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে |
জাপান জব ভিসা | ২২ বছরের উর্ধ্বে |
জাপান স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে বয়স কত লাগে
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা তে যাওয়ার জন্য বয়স হতে হবে ১৮ বছর। এক্ষেত্রে আপনি যদি মাস্টার্স বা অনার্স শেষ করে যেতে চান তাহলে সর্বোচ্চ 35 বছর পর্যন্ত স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। 18 থেকে 35 বছরের মধ্যেই জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া যায় তাছাড়া বয়সের থেকে বেশি অথবা কম হলে কখনোই আপনি জাপানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না।
জাপানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে নানা ধরনের নানা প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো লাগে সেই সমস্ত বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে জেনে তারপরে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। একবার স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল হয়ে গেলে কিন্তু পরবর্তীতে ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই গুরুত্ব সহকারী গুলো দেখে তারপরে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসায় যেতে বয়স কত লাগে
জাপানি টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স 18 হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়সের জন্য নির্ধারিত কোন লিমিট নাই যে কোন বয়সের ব্যক্তি 18 বছরের মধ্যে জাপানি টুরিস্ট ভিসা নিতে পারবে। জাপানি টুরিস্ট ভিসা নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং সে আবেদন ফরম জাপান দূতাবাসে জমা দিয়ে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আমরা অন্যান্য কনটেন্ট এর মধ্যে জাপানি যাবতীয় ভিসা রিলেটেড বিষয়গুলো তুলে ধরেছি পর্যায়ক্রমে এখানে আমরা কিছু কনটেন্ট তুলে ধরলাম সেখান থেকে আপনারা জাপানের যাবতীয় ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো দেখে নিতে পারেন।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় নিয়ে জানুন বিস্তারিত