তিউনিসিয়া কাজের ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আজকে আমরা এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরবো আশা করি তিউনিসিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনারা জানতে পারবেন। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশের কাজের যাবতীয় তথ্যগুলো এবং নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো প্রকাশ করে থাকি।
তাই বরাবরের মতো এবারেও আজকে আমরা তুলে ধরব তিউনিশিয়া কাজের ভিসা এবং বর্তমানে তিউনিসিয়ার ভিসা কার্যক্রম কোথা থেকে করা হচ্ছে এবং কত টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে তা বিস্তারিতভাবে এই কন্টেন্টের মধ্যে জানতে পারবেন।
মূলত বিগত কয়েক বছর যাবত তিউনিসিয়ার সকল ভিসা কার্যক্রম চালু আছে এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ভাবেই যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে তবে কিভাবে আপনারা যেতে পারবেন এবং যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ তা বিস্তারিতভাবে এখানে তুলে ধরব।
অনেকেই আছে প্রথম অবস্থায় তিউনিসিয়া প্রবেশ করে পরবর্তীতে সেখান থেকে ইতালিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে নেয়। আবার অনেকেই আছে যারা কিনা তিউনেশিয়াতেই কাজে নিয়োজিত থাকে এক্ষেত্রে সেখানে কত টাকা বেতন পাওয়া যায় এবং উপায় কি এই সমস্ত সংক্রান্ত তথ্যগুলো এখানে তুলে ধরেছি।
তিউনিসিয়া কাজের ভিসা ২০২৩
২০২৩ সালে তিউনিসিয়া কাজের ভিসা ঢাকায় অবস্থিত তিউনিসিয়া কাউন্সিল অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিয়েই ভিসা প্রসেসিং করা যাচ্ছে। মূলত বিগত কয়েক বছর আগ পর্যন্ত ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের মাধ্যমে তিউনিসিয়া ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ করা হতো।
কিন্তু এখন থেকে সরাসরি ঢাকা থেকেই তিউনিসিয়া কাজের ভিসা প্রসেস করা যাচ্ছে এ ক্ষেত্রে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলো অথবা অনেক বেসরকারি এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা তিউনিসিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের ভিসা দিয়ে সুযোগ করে দিচ্ছে।
তাই বর্তমান সময়ে যারা বাংলাদেশ থেকেই তিউনিসিয়া কাজের ভিসা নিতে চাচ্ছেন তারা চাইলে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি খোলার মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনি তিউনিশিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
তিউনিসিয়া কাজের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য
বিগত বছরগুলো পর্যন্ত তিউনিশিয়াতে যেতে হলে সরাসরি ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু বর্তমানে এখন তিউনিসিয়ান এম্বাসি বাংলাদেশের মাধ্যমেই এখন তিউনিসিয়ার কাজের ভিসা করা যাচ্ছে। আগে পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি ভিসা ব্যবস্থা করা হতো কিন্তু এখন সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তাই বর্তমান সময়ে কোন দালাল চক্র যদি আপনাকে ইন্ডিয়া অথবা পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার ব্যবস্থা করে দিতে চাই কখনোই তাদের কথাই এই মাধ্যমে ভিসা করবেন না সরাসরি বাংলাদেশে অবস্থিত টিউনেশিয়া এম্বাসের মাধ্যমেই তিউনিশিয়া কাজের ভিসা করে নিবেন।
সরাসরি ঢাকা অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দেন এবং কাউন্সিল অফিসে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঠিকভাবে জমা দিয়ে আবেদন করতে পারলেই তিউনিসিয়া কাজের ভিসা আপনারা পেয়ে যাবেন।
তিউনিসিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমান সময়ে তিউনিসিয়া টুরিস্টদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। প্রতিনিয়ত এখানে নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট এবং বিনোদনের জায়গা গড়ে উঠেছে তাই সেখানে কর্মীর চাহিদা দিন দিন সংকট দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে রেস্টুরেন্ট কর্মী, এবং ড্রাইভিং এর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বোঝাই যাচ্ছে যে বর্তমানে তিউনিসিয়া ড্রাইভিং এবং রেস্টুরেন্ট কাজে চাহিদা বেশি।
তাই বর্তমানে যারা তিউনিসিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলেই উপরোক্ত কাজগুলোর উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে খুব সহজে যেতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তা না হলে তিউনিসিয়ার ভিসা আপনি পাবেন না।
তিউনিসিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই কোন দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন না এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদের প্রতারণার মত বড় ধরনের শিকার হতে পারেন তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিজ অবস্থায় নিজ উদ্যোগে দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তিউনিসিয়া যাওয়ার।
বর্তমানে তিউনিশিয়া দূতাবাস হতে ঢাকা থেকেই তিউনিশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম প্রসেস করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে বেশ কিছু কর্মী তিউনিসিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল তাদেরকে ভূমধ্যসাগর থেকে ফেরত পাঠানো হয় এবং পরবর্তী তাদেরকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এ বিষয় নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। তাই অবশ্যই অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বন না করে সরাসরি নিজ উদ্যোগে বৈধ উপায় অবলম্বন করে বৈধ উপায় যাওয়া উচিত।
তিউনিসিয়া ভিসা কি চালু আছে
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তিউনিসিয়াতে যাওয়ার ভিসা চালু আছে এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং কাজের ভিসা নিয়ে যে কেউ তিউনিসিয়া যেতে পারবে। এখন ঢাকা থেকে তিউনিসিয়া ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়া অথবা পাকিস্তানের মাধ্যমে আরো ভিসা করা লাগবে না বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়া দূতাবাস।
বর্তমানে যারা তিউনিশিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসা করতে চাচ্ছেন তারা সরাসরি ঢাকা অফিসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে সরাসরি সেখান থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরেছি।
তিউনিসিয়া কাজের ভিসার দাম কত
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তিউনিসিয়া কাজের ভিসার দাম পড়বে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত। ২০২২ থেকে ২০ সালের দিকে এই খরচ ৮ লক্ষ টাকার মধ্যেই হয়ে যেত কিন্তু বর্তমানে যাবতীয় খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত 12 লক্ষ টাকার মত খরচ করতে পারে। এর আগে ইন্ডিয়ার মাধ্যমে অথবা পাকিস্তানি দূতাবাসের মাধ্যমে যদি আপনারা তিউনিসিয়া যেতে কম খরচ হলেও এখন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যেতে হলেও বেশি পরিমাণ খরচ করা লাগছে।
তবে বাংলাদেশ থেকে যারা দালালের মাধ্যমে এই সমস্ত জায়গায় যেয়ে থাকে তাদের অনেক রিস্ক নিয়ে যেতে হয় এবং খুবই কম টাকার মধ্যেই তারা নিয়ে যে থাকে। তবে অবশ্যই এই কম টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আপনারা কখনোই অবৈধ পথে যাবেন না। তা না হলে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হবে।
তিউনিসিয়া কোন কাজের বেতন বেশি
বর্তমান সময়ে তিউনিসিয়াতে সব থেকে কাজের বেতন বেশি হল ইলেকট্রিক কাজের। কনস্ট্রাকশন কোম্পানি সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ানদের। তাই কর্মী হিসেবে কেউ যদি তিউনিসিয়াতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজে নিয়োজিত থাকে তাহলে তার বেতন মাসে দেড় লক্ষ টাকা থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
তাছাড়াও অন্যান্য কাজগুলোতে চাহিদা বেশি এবং বেতন ও আনুমানিক ভালো পরিমাণ পাওয়া যায়। অন্যান্য দেশের মতো এখানেও 8 থেকে 12 ঘন্টা পরিমাণ কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে কোম্পানি সহ অন্যান্য কাজগুলোতে এখানে 8 থেকে 10 ঘণ্টার মধ্যেই করার সুযোগ থাকে পরবর্তীতে ওভারটাইমসহ 12 ঘন্টাও কাজ করতে পারবেন।
তিউনিসিয়ান কাজের ভিসা আবেদন
তিউনিসিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য সরাসরি ঢাকায় অবস্থিত তিউনিসিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা ফর্ম উঠিয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা সহ কাজের ভিসা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
আবেদন করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি কাজের ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যদি আপনি আবেদন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তিউনিসিয়া বিভিন্ন কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি ইনভার্টেশন লেটার দেখানো লাগবে।
এখন থেকে আর ইন্ডিয়া অথবা পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে তিউনিশিয়া ভিসা কার্যক্রম করা লাগবে না সরাসরি ঢাকা দূতাবাসের মাধ্যমে আপনারা তিউনিসিয়ার যাবতীয় ভিসা প্রসেস সম্পন্ন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনারা সরাসরি যদি কোন এজেন্সি অথবা কোন ভাল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভিসার ব্যবস্থা করতে চান তাহলে খুব সহজেই এবং কম খরচের মধ্যে এবং কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই করে নিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে পরে আমরা এই বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জানাবো তাহলে চলুন অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
তিউনিসিয়া কাজের ভিসা | প্রথম পাতা |
কাজের স্থান | তিউনিশিয়া |
কোম্পানি | কনস্ট্রাকশন |
কাজের মেয়াদ | ৩ বছর মেয়াদী |
বেতন | ১ লক্ষ ২০ হাজার |
কাজের সময় | দৈনিক 8 ঘন্টা |
তিউনিসিয়া টুরিস্ট ভিসা
বর্তমানে যারা তিউনিসিয়া টুরিস্ট ভিসা নিতে চাচ্ছেন তারা আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ ভাবেই এখন তিউনিসিয়া টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেই আপনারা খুব সহজেই তিউনিশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিমানের ফিরতে টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর একটি কপি দেখাতে হবে তাহলে আপনারা খুব সহজেই টেউনিশিয়া টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
আপনাদের আরো একটু বিষয় জেনে রাখা উচিত যে আগের থেকে এখন কিন্তু তিউনিশিয়া ভিসা কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে করা যাচ্ছে এক্ষেত্রে সরাসরি যদি আপনারা এমব্যাসির মাধ্যমে তিউনিশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে এখান থেকে ভিসা আবেদন করে যেতে পারবেন।
তিউনিসিয়াতে টুরিস্ট ভিসা তে যাওয়ার জন্য খরচ পড়বে প্রায় তিন লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত এক্ষেত্রে আপনারা ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ পাবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনারা দেশের বাহিরে থেকে যেতে চান তাহলে আরো কম খরচের মধ্যেই তিউনিশিয়া ঘুরে আসতে পারবেন।
গার্মেন্টসের ভিসা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
তবে অনেকেই অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমেও সেখানে চেয়ে থাকি এবং পরবর্তীতে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় তাই আপনারা যদি অরিজিনালি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সেই ভাবে প্রসেস করা উচিত। কেননা বর্তমানে এই সুযোগ রয়েছে তাই অবশ্যই বৈধ পথে যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।