আজকে আমরা কথা বলব দাউদের ওষুধের নাম নিয়ে। কোন ওষুধ গুলো খেলে খুব সহজেই স্থায়ীভাবে দাউদ দূর হবে এবং আজীবনের জন্য দাউদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ছেলেমেয়ে উভয় পক্ষেরই দাওয়াত হয়ে থাকে। দাউদ হওয়ার পরে অস্বস্তি ফিল করে মানুষ। শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা এবং অনেক ধরনের প্যারার মধ্যেই থাকে।
তাই আজকে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়েই কথা বলব কিভাবে আপনারা স্থায়ীভাবে দাউদ দূর করবেন এবং দাউদের এন্টিভাইটিক ওষুধ এবং তাদের স্থায়ীভাবে চিকিৎসা কিভাবে করা যায় তা এই কনটেন্ট এর মধ্যেই জানতে পারবেন।
দাউদ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য আমাদের এই কনটেন্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের মাঝেও শেয়ার করতে পারেন যাতে করে আপনার বন্ধু এই কন্টেন্টের দ্বারা উপকৃত হতে পারে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক দাউদের ওষুধ এবং দাওয়াতের স্থায়ী চিকিৎসা গুলো কি কি রয়েছে।
দাউদ কেন হয়
শরীরের যে সমস্ত জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস পৌছাই না। এ ধরনের জায়গা গুলো তো ছত্রাক জনিত সমস্যা দেখা দেয়। অথবা একই কাপড় দীর্ঘতম ব্যবহার করার কারণে যে নোংরা বা অপরিষ্কার হয়ে থাকে সেটার কারণে মূলত দাউদ তৈরি হয়। দাউদ হওয়ার জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। আর তা হলো:
- শরীরের কোন জায়গা ভেজা বা অপরিষ্কার থাকা
- একই কাপড় বারবার ব্যবহার করা
- ময়লা কাপড় ব্যবহার করা
- শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে আলো বাতাস পর্যাপ্ত না পৌঁছানো
- দাউদে আক্রান্ত রোগীর জামা কাপড় পড়া
- অটোসাটা কাপড় পরিধান করা
- পুরনো মৌজা ব্যবহার করা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে দাউদ হয়
- বেশি ঘামে গেলে দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- পশু পাখির মাধ্যমেও দাউদ ছড়ায়
- নিয়মিত শরীর পরিষ্কার না রাখা
এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণে কিন্তু দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম অবস্থায় সাবান দিয়ে সমস্ত শরীর ভালো মতো গোসল করে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা উচিত। অন্যের কাপড় একেবারে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত পারলে পারে যদি গামছা ও আলাদা আলাদা ব্যবহার করতে হয়।
দাউদের অ্যান্টিবায়োটিক
বাজারে অনেক দাউদের অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় তার মধ্যে দাউদের এই ফ্লুগাল, অমোস্টিন এন্টিবায়োটিক দুটি খুবই কার্য করে ভূমিকা পালন করে দাউদ থেকে মুক্তির জন্য। তাছাড়া বাজারে আরো অনেক ধরনের ক্রিম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা স্থায়ীভাবে দাউদ দূর করতে পারবেন।
পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য ক্রিম এবং ট্যাবলেটের নাম নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। এক্ষেত্রে আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে দাউদের এন্টিবায়টিক এবং দাউদের সাবানের নাম কি এবং কোন সাবান দাউদের জন্য ভালো এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আরো বিস্তারিত।
দাউদের জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দাউদের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন। কারণ দাউদের মাত্রা কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রকমের হতে পারে।
দাউদ মূলত অপরিষ্কার থাকার কারণে হয়ে থাকে আর এই অপরিষ্কার হওয়ার কারণে যখন আপনার ইনফেকশন জনিত সমস্যা দেখা দেয় তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই উপযুক্ত চিকিৎসা না নিলে কিন্তু আস্তে আস্তে এটি বাড়তে থাকবে।
দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা
যাদের দাউদ রয়েছে তারা স্থায়ীভাবে চিকিৎসার জন্য অক্সিফান লোশন, ফাঙ্গিট্যাক ক্রিম, লিউলিজল ক্রিম,ক্লোট্রিমেজোল ক্রিম, ফাঙ্গিডাল ক্রিম, বাজারে নতুন ইবারকোনাজল ক্রিম প্রেম পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের ক্রিম যদি আপনি চার মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই স্থায়ীভাবে দাউদ দূর করা সম্ভব।
আপনার আশেপাশে যারা বসবাস করে অথবা কেউ যদি আপনার কাপড় পরিধান করে থাকে তাহলেও কিন্তু দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে যখন আপনি এই সমস্ত ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন তখন কিন্তু অন্যান্য কাপড় পরিধান না করার চেষ্টা করবেন এক্ষেত্রে পার্সোনাল নিজের কাপড় গুলোই ব্যবহার করা উচিত।
বিনা খরচে জাপানি যাওয়ার উপায় দেখে নিন
এমন কি আপনার কাপড়-চোপড় যদি অন্য কেউ পরিধান করে তারও কিন্তু হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় অথবা তার যদি এই দাউদ রোগ থাকে তাহলে কিন্তু আপনারও হয়ে যেতে পারে এমনকি আপনার আরো বাড়িয়ে দিতেও পারে তাই অবশ্যই কারো পরিধান করা কাপড় পরিধান করবেন না।
দাউদের ক্রিম এর নাম ও দাম
দাউদের ক্রিমের নাম | দাউদের ওষুধের দাম |
ইকোনাজল | ৩২ টাকা |
মাইকোনাজল | ৫৫ টাকা |
ফ্লুকোনাজল ক্রিম | ৫৫ টাকা |
afun | ৩৫ টাকা |
xfin 1 | ৮০ টাকা |
mycofin 5 10 mg cream sk f | ৫০ ও ৭০ টাকা |
টারবিনাফি | ৫৫ টাকা |
ফাঙ্গিসন ক্রিম | ৩৫ টাকা |
favisone | ৫৫ টাকা |
নরমাল দাউদের থেকে যদি আপনার ভিন্নমাত্রার তাও দেখা যায় তাহলে অবশ্যই এই ওষুধগুলো ছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তা না হলে কিন্তু আস্তে আস্তেই দাউদের মাত্রা বাড়তে থাকবে এমন কি আপনার রক্তে যখন অতিরিক্ত মাত্রা ইনফেকশন জনিত সমস্যা হয়ে যাবে তখন কিন্তু সেখান থেকে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দাউদের ট্যাবলেটের নাম
দাউদের ট্যাবলেট এর নাম | খাওয়ার সময় |
ক্যাপসুল — ফ্লুগাল/ডাইফ্লু ৫০ > | ০-০-১ |
ক্যাপসুল — ইন্ট্রাকন > | ১+০+০ |
ট্যাবলেট — রাইনিল > | ০+০+১ |
অয়েন্টমেন্ট — Lulider | — |
Lucan-R | — |
অমোস্টিন | — |
এই ওষুধগুলো নিয়মিত ব্যবহার খেলে দাওয়াত দিয়ে স্থায়ীভাবে সমাধান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও বাজারে আরও নানা ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমেও কিন্তু স্থায়ীভাবে দাউদ নিরাময় করতে সাহায্য করে। পর্যায়ক্রমে আমরা কিছু মলম এবং কিছু ওষুধ আরো বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরলাম।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
দাউদের জন্য সবচেয়ে ভালো মলম হলো- অক্সিফান লোশন, ফাঙ্গিট্যাক ক্রিম, লিউলিজল ক্রিম ক্লোট্রিমেজোল ক্রিম, ফাঙ্গিডাল ক্রিম। বাজারে আরও একটি নতুন দাউদের মলম এসেছে ইবারকোনাজল ক্রিম । এই ক্রিম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ক্রিম চার মাস পর্যন্ত ব্যবহার করলে সব থেকে ভালো কার্যকরী ভূমিকা পাওয়া যায়।
দীর্ঘদিন যাবত যারা দাউদের যন্ত্র আছেন অথবা দাউদ কোনরকম ভালো হচ্ছে না তারা এই ক্রিম গুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন এতে করে স্থায়ীভাবে দাউদ দূর করতে সাহায্য করবে। দাউদের স্থানে কিন্তু সাবান ব্যবহার করলে এটার মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে কিছু কিছু সাবান ব্যবহার করলে কোন ধরনের সমস্যা হয় না তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আরো তথ্য।
দাউদের সাবানের নাম
দাউদের সাবানের নাম হল Assure Soap এটি। Assure Soap এই সাবানটি দাউদের জন্য সবথেকে ভালো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দাউদের এই Assure Soap সাবান এর দাম ১০০ টাকা। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে দাউদের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমনকি পরবর্তীতে দাউদ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়া আরো অনেক ধরনের লোশন বা ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে তা থেকে পর্যায়ক্রমে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে উপরে আলোচনা করেছি এখানে আপনারা জানতে পারবেন দাউদের লোশন দাউদের ক্রিম এবং দাউদের এন্টিভাইটিক এর নাম।
দাউদ নিরাময় করার জন্য অবশ্যই দাওয়াতের স্থান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং শুকন রাখতে হবে। অতিরিক্ত দাউদের ক্ষতস্থানে চুলকানো যাবে না এবং কি চুলকানোর সময় হাত ব্যবহার করবেন না।
দাউদ নিয়ে সতর্কতা
আরো আমাদের এই সমস্ত বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করতে পারেন অথবা আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ করতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে আমরা দাউদের আরো অন্যান্য ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো।
দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশ
দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশেই করা যায় এক্ষেত্রে দেশের বাহিরে যাওয়া লাগে না। আপনার যদি দাউদ হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের স্কিন বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত শীত গরম দুই মৌসুমে কিন্তু অনেকের দাউদ হয়ে থাকে। এটার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে হবে।
তারা ইনজেকশনের মাধ্যমে অথবা অ্যান্টিবায়োটিক অথবা বিভিন্ন ক্রিমের মাধ্যমে আপনার দাউদ ভালো করে দেবে। তাই আপনার যদি দাউদ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের যে কোন স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি একটি সমাধান পেয়ে যাবেন।
দাউদ কিভাবে ভালো হয়
ভালো হওয়ার জন্য স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক এবং বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। অথবা ঘরোয়া পদ্ধতিতেও কিন্তু আপনারা দাউদ নিরাময় করতে পারবেন। এজন্য আপনাদেরকে সিমের কথা সহ আরো বেলের পাতা কুচি করে রস করে দাউদের স্থানে লাগাতে হবে।
এভাবে যদি আপনারা কয়েকদিন যাবত লাগাতে থাকেন তাহলে ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে যদি ভালো না হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশ স্কিন বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন। তাহলে আপনার দাউদ খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।
পর্যায়ক্রমে ঘরোয়া উপায় কিভাবে দাউদের ওষুধ বানাবেন এবং কিভাবে দাউদ সারাবেন এই বিষয়গুলো নিয়েও আমরা আরো নিচে আলোচনা করব। আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে অন্যান্য আরো কনটেন্ট এর মধ্যে বিস্তারিত ভাবে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
For the reason that the admin of this site is working, no uncertainty very quickly it will be renowned, due to its quality contents.
smm panel