আজকে আমরা কথা বলবো দুবাই ফ্রি ভিসা কিভাবে পাবেন এবং দুবাই ফ্রি ভিসা তে গেলে কি কি কাজ করতে পারবেন এবং কত টাকা পর্যন্ত বেতন তোলা সম্ভব এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছি আশা করি সম্পূর্ণ কন্ঠে যদি আপনারা পড়তে পারেন তাহলে বিস্তারিতভাবে দুবাই ফ্রী ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। দুবাই ফ্রি ভিসা নিয়ে অনেক ধরনের অনেকের মতবাদ রয়েছে। সেই বিষয়টিও নিয়ে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো।
দুবাই ফ্রি ভিসা বলতে কোন ধরনের ভিসা সার্ভিস এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তবে বাংলাদেশ থেকে অথবা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যারা দুবাইতে ফ্রি ভিসা নামে যাচ্ছে তারা সাধারণত দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েই ফ্রি ভিসা নিয়ে সেখানে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশে কোন ধরনের ফ্রী ভিসা সার্ভিস চালু হয়নি।
সাধারণত যারা দুবাইতে বিভিন্ন ধরনের কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিসা তৈরি করে কিন্তু ওই কাজ করার পরে অন্যকোন কাজে যাওয়ার জন্য অনুমতি না থাকলে ফ্রি ভিসার খোঁজ করে থাকে। কিন্তু এমন কোন সিস্টেম এখন পর্যন্ত দুবাই সরকার চালু করে নিজে ফ্রি ভিসা নামের কোন ভিসা সার্ভিস।
কিন্তু দালালরা যেভাবে ফ্রি ভিসা নামে বিক্রি করে থাকে সেটি কিভাবে বিক্রি করে এবং তারা কি কি কাজ করতে পারে এবং বর্তমানে এই সিস্টেমে যাওয়া যায় কিনা এবং আপনার নিজের ইচ্ছা মত কাজ করতে পারবেন কিনা সে বিষয়টি আজকে আমরা এই ফ্রি ভিসা নামো কনটেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিব।
কেন ফ্রি ভিসাতে দুবাই যাবেন
আগেই বলে রাখা উচিত যে দুবাইতে এখন পর্যন্ত কোনো ফ্রি ভিসা নামে ভিসা চালু হয়নি তবে যারা দালালদের মাধ্যমে দুবাইতে প্রবেশ করে তারা কিন্তু নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারে এক্ষেত্রে দালালের শুধুমাত্র কাজ থাকে এখান থেকে দুবাইতে প্রবেশ করানো তারপরে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন একটি কোম্পানিতে কাজে নিয়োজিত হতে পারবে।
দেখা যাচ্ছে অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে সেই কোম্পানির নামে তারা ভিসা তৈরি করে সেখানে যখন কোন ধরনের কাজ থাকেনা তখন ঐ সমস্ত শ্রমিক গুলো অন্যান্য কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারে অথবা নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী তারা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হতে পারে।
কিন্তু এই পদ্ধতি ছাড়া কোনভাবেই সাথে যাওয়া যায়না। এককথায় বলা যায় আপনি যদি দুবাইতে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে চান তাহলে দালালের মাধ্যমে আপনাকে দুবাইতে প্রবেশ করতে হবে তাহলে আপনার নিজের ইচ্ছামত কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন।
দুবাই ফ্রী ভিসা কি পাওয়া যায়
দুবাই কোন ধরনের ভিসা চালু করেনি। তবে আপনি যদি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে চান তাহলে দালালের দ্বারপ্রান্ত হওয়া লাগবে দালালরা যখন আপনাকে বাংলাদেশ থেকে বা অন্যান্য দেশ থেকে দুবাইতে পাঠাবে তখন কিন্তু আপনি নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির অধীনে কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন না কেননা আপনাকে যে ভিসা দেওয়া হয়েছে সেই কোম্পানি কিন্তু বন্ধ আছে বা সেই কোম্পানির নাম করে আপনার ভিসা তৈরি করা হয়েছে।
এইভাবে তারা ফ্রী ভিসা তৈরি করে থাকে তাই আপনি ওই কোম্পানিতে গিয়ে কাজ করার কোন সুযোগ পাবেন না এবং সেখানে কাজও পাবেন না তাই আপনাকে অন্যান্য কোম্পানির মাধ্যমে কাজ খুঁজে নিতে হবে এই ভাবেই মূলত ফ্রি ভিসা নামক সিস্টেমটি চালু হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক ধরনের রিস্ক আছে নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো।
দুবাই ফ্রি ভিসা কিভাবে পাবেন
আপনারা যদি সরকারি মাধ্যমে অথবা সরকারি যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে এই সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনারা দুবাই ফ্রি ভিসা চেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু কখনোই পাবেন না এই ধরনের কোন ভিসা সার্ভিস এখন পর্যন্ত তারা চালু করেনি। তাই আপনাকে যে সমস্ত পরিচিত কোন ব্যক্তি অথবা পরিচিত কোন দালাল যদি আপনার থাকে তাহলে কিন্তু আপনি এই ধরনের ভিসা পেতে পারেন তবে অবশ্যই এই ধরনের ভিসা হতে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।
আপনাকে যে দুবাই ফ্রি ভিসা দেবে বলে নিশ্চিত করেছে তার কাছ থেকে অবশ্যই আপনি ভালোমতো জেনে নিবেন যে আপনি সেই ভিসা তে গিয়ে কি কি কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন এবং তাকে পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করে নিবেন। তাছাড়াও আপনি যখন ফ্রি ভিসা তে অন্যান্য জায়গায় কাজ করবেন তখন কি আপনার বেতন কার হাতে দেওয়া হবে সেটিও নিশ্চিত করে নিবেন।
কারণ যারা এসমস্ত ভিসা নিয়ে দুবাই যায় তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু বেতন সরাসরি দালালের হাতে দেওয়া হয় দালালরা কিছু টাকা সেখান থেকে কেটে রাখে তার পরে আপনাকে বেতন আপনার হাতে দিতে পারে। এই পদ্ধতিতে সাধারণত দুবাই ফ্রি ভিসা সার্ভিস চালু থাকে তাই অবশ্যই আপনি তাদের কাছ থেকে নিশ্চিত হবেন যে আপনি নিজের হাতে বেতন নেবেন এ বিষয়টি ভালোমতো তাদেরকে জানিয়ে তারপরেই দুবাই ভিসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
দুবাই ফ্রি ভিসার দাম কত
আমরা আগেই বলেছি দুবাই ভিসা নির্ধারিত কোন দাম নেই কেননা যারা এই ধরনের ভিসা সার্ভিস দিয়ে থাকে তারা সাধারণত অন্যান্য বন্ধ কোম্পানির নামে ভিসা তৈরি করে এবং সেই সমস্ত কোম্পানির লোক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই ভিসা তৈরি করা হয়। তাই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর ভিসা তৈরি করার পরে সে দেশে পাঠানোর পরে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানে কাজ করতে পারে। আর এই ভিসা অন্যান্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম হয়ে থাকে। যেমন দুবাইয়ের ফ্রী ভিসার মাধ্যমে যে ভিসা সার্ভিস দিয়ে থাকে তার দাম ধরা হয়ে থাকে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
তবে এতটুকু নিশ্চিত থাকবেন যে আপনার ভিসা কিন্তু কখনোই বৈধভাবে হবে না এবং আপনি এখান থেকে কিন্তু কখনই নিশ্চিত করে কোন কাজ সিলেক্ট করে যাতে পারবেন না। তবে ওখানে গেলেও যে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন তা কিন্তু না আপনাকে সময় সুযোগ বুঝে নির্দিষ্ট কাজ খুঁজে তারপরে আপনাকে কাজে নিয়োজিত লাগবে। এবং সেখানে যাওয়ার পরে যদি আপনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কোম্পানি চেঞ্জ করবেন তাও কিন্তু সম্ভব হবে না।
দুবাই ফ্রী ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনার আর দুবাইয়ের ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে যেকোনো ধরনের দুবাইয়ের ভিসা পাবেন তবে আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে দুবাই এখন পর্যন্ত কোনো ফ্রি ভিসা নামক ভিসা তৈরি হয়নি। তাই আপনি এই নামে যদি কোন ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে কখনোই ভিসা হবে না। আপনি নির্ধারিত একটু কাজ শিখে তারপরে আপ্নারা সরকারি মাধ্যমে দুবাই ভিসার জন্য আবেদন করে দুবাইয়ে কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন।
তবে যদি আপনারা ফ্রি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনারা সেদেশে পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে যদি আপনারা ভিসা তৈরি করে নিতে পারেন দেখা যাচ্ছে অনেক বাসাবাড়ি নামে অথবা অনেক কোম্পানি আছে যেগুলো অনেকদিন অবস্থায় বন্ধ রয়েছে সেই সমস্ত বাসাবাড়ির আন্ডারে অথবা ঐ সমস্ত কোম্পানির আন্ডারে কিন্তু ভিসা তৈরি করে আপনাকে দেশ থেকে নিয়ে যেতে পারে। এইভাবে আপনারা দুবাইয়ের ভিসা পেতে পারেন।
দুবাই ফ্রি ভিসা তে কাজ কিভাবে খুঁজবেন
আপনি যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দুবাইতে প্রবেশ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন এবং যে কাজগুলোতে ডিমান্ডেবল অনেক বেতন এই সমস্ত কাজগুলোতে নিয়োজিত হতে পারবেন। তবে জেনে রাখবেন যে আপনাকে যদি সে দেশের পুলিশ কোন ধরনের সমস্যা করে তাহলে কিন্তু এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে সহায়তা কম দেওয়া হবে। আপনার ভ্যালিড কোন কাজের তথ্য সেখানে থাকবে না। সেজন্য আপনি কোন কাজে আসেন এবং কোন কোম্পানি আছে সেই বিষয়টাতে তাদের কাছে নিশ্চিত থাকবে না।
তবে আপনি যদি এই ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে যেতে পারেন তাহলে যে সমস্ত কাজ গুলোর চাহিদা বেশি এবং ভালো বেতন পাওয়া যায় এই কাজগুলো নিতে পারবেন পাশাপাশি আপনি যদি ওভারটাইম হিসেবে অন্যান্য জায়গায় কাজ করতে চান সেই সুযোগ সুবিধাও কিন্তু পাওয়া যায় এই ভিসার মাধ্যমে গেলে তবে অবশ্যই দুবাই ফ্রী ভিসা নিতে হলে আপনাকে অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করা লাগবে তাছাড়া কিন্তু কখনোই সম্ভব না আর এটা কিন্তু রিস্কি একটা ব্যাপার।
দুবাই ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা
বর্তমানে দুবাই ভিসা নামে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করছে দালালরা তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো ভালোমতো দেখেশুনে তারপরেই দুবাই ভিসা করার সিদ্ধান্ত নিবেন। অনেকেই আছে যারা কিনা বোঝেনা কি ধরনের ভিসা দিচ্ছে এবং কত দিন মেয়াদে ভিসা দিচ্ছে আপনাকে কোন কোম্পানিতে নিয়োগ দিচ্ছে এবং কত টাকা বেতন দিবে তা এই বিষয়টি ভালোমতো জেনে নিবেন এবং দুবাইয়ের যেকোনো ধরনের ভিসা কিন্তু অনলাইনে আপনারা চেক করে নিতে পারবেন আপনার ভিসা টি সঠিক কিনা।
যেকোনো ধরনের ভিসা দেওয়ার পরে আপনারা ভিসা অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে ভিসা সংক্রান্ত তথ্য দেখে নিতে পারবেন অথবা আপনি যদি আপনার পরিচিত কোন ব্যাক্তি যদি থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনারা দুবাইয়ের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন এবং আপনি যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানির নাম ঠিকানা এড্রেস সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা যাচাই বাছাই করে নিতে পারবেন।