আজকে আমরা কথা বলবো দুবাই ভিজিট ভিসা প্রাইস নিয়ে তাছাড়াও আজকে আমাদের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে জানতে পারবেন দুবাই ভিজিট ভিসা করতে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কত দিন মেয়াদের ভিজিট ভিসা তৈরি করতে পারবেন এবং ভিজিট ভিসা তে গিয়ে আপনারা কি কি করতে পারবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছি।
বর্তমানে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন কাজে যেয়ে থাকে আবার অনেকেই আছে যারা বিজনেস প্ল্যান করার জন্য অথবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য দুবাই ভিজিট ভিসার মাধ্যমে যে থাকে। তবে সেই হিসেবে অনেকেই জানেনা ভিজিট ভিসার দাম কত এবং কত দিন পর্যন্ত এবং ভিজিট ভিসায় গিয়ে কি কি করতে পারবে তাদের জানা নেই তাই আজকে আমরা এ কনটেন্ট এর মধ্যে এটাই জানাবো।
দুবাই ভিজিট ভিসা এখন সম্পূর্ণভাবে খোলা আছে তাই যে কেউ চাইলে খুব সহজেই দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই ভ্রমণ করতে পারবে। তবে এটাই বলে রাখা উচিত যে দুবাইতে বর্তমানে ভিজিট ভিসা নিতে হলে আপনার প্রয়োজনীয় ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং করণা ভ্যাকসিন সহ অন্যান্য যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট চালু করেছে তা সম্পূর্ণ বাধ্যতামূলক থাকা লাগবে তা না হলে কিন্তু আপনি দুবাই ভিজিট ভিসা পাবেন না।
দুবাই ভিজিট ভিসা ২০২২
দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়েই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সরাসরি বাংলাদেশে অবস্থিত দুবাই দুবাইয়ের দূতাবাসের মাধ্যমে দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে ফরম পূরণ করে দূতাবাসে গিয়ে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র গুলো চাওয়া হবে সেগুলো এটাস্ট করে তারপরেই জমা দিবেন।
এছাড়াও বেসরকারি যে সমস্ত এজেন্সি গুলো রয়েছে সেগুলো আপনারা খুব সহজেই দুবাই ভিজিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে বেসরকারি এর মাধ্যমে যেতে হলে আপনাকে খরচ একটু বেশি করতে হতে পারে তবে এক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা কিন্তু সরকার থেকে বেসরকারিতে বেশি দিয়ে থাকে তবে অবশ্যই সরকার নিবন্ধিত সমস্ত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমেই দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রাইস
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রাইস 2 লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা খরচ পড়বে। তবে এক্ষেত্রে long-term ভিসার জন্য খরচ আরো বেশি। 90 দিন ভিজিট ভিসার জন্য খরচ পড়বে 2 লক্ষ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য খরচ বাবদ খরচ আরো বেশি হতে পারে। যারা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে সেখানে গিয়ে কাজে নিয়োজিত থাকতে চাই তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিসার দাম আরো বেশি ধরা হয়ে থাকে। সাধারণত যারা দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে কাজে নিয়োজিত থাকে তারা কিন্তু অবৈধভাবে সেখানে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে সে দেশের সরকার এখন একটু কঠিন করার কারণে বর্তমানে ভিজিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এবং সেইসাথে তাদের অন্যান্য ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন করার পরেই দুবাই ভিজিট ভিসা দেওয়া হয়। তাই বর্তমানে যারা একেবারেই নিরাপত্তায় তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ধরা হয়ে থাকে।
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২২
দুবাই ভিজিট ভিসা তে যাওয়ার জন্য বর্তমানে প্লেনের ভাড়া বেড়ে গিয়েছে সেই সাথে আরো এজেন্সি খরচ বাবদ এবং মেডিকেল খরচ সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বাবদ টাকা লাগতে পারে প্রায় 2 লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকার মতো। তবে এটা জেনে রাখা উচিত যে বর্তমানে বিমান ভাড়া অন্যান্যবারের মতো এবার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগের তুলনায় একটু বেশি হবে এ বছরে।
তবে কাজের ভিসা ক্ষেত্রেও কিন্তু এরকম সিস্টেম দেখা গিয়েছে কিন্তু বর্তমানে দুবাই ভিজিট ভিসা যাচ্ছে তারা সাধারণত কাজের উদ্দেশ্যে সেখানে যে থাকে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে যাচ্ছে তারা সাধারণত বেশি পরিমাণ টাকা দিয়ে ভিজিট ভিসা কিনে থাকে।
দুবাই ভিজিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে তা না হলে কিন্তু দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন করার জন্য এই সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে তারপরে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে অথবা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি
- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পূর্বে ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ
দুবাই ভিজিট ভিসা এপ্লাই কিভাবে করবেন
অনলাইনের মাধ্যমে দুবাই ভিজিট ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে অথবা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করার পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এটাস্ট করে দুবাই দূতাবাসের মাধ্যমে জমা দিয়ে এপ্লাই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে যদি কোনো ধরনের ভুল থাকে তাহলে কিন্তু আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই অবশ্যই সঠিকভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন।
দুবাই ভিজিট ভিসা ফর বাংলাদেশী
দীর্ঘদিন যাবৎ দুবাই ভিজিট ভিসা কি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল না স্বাভাবিক হওয়ার কারনে এবং অন্যান্য সবকিছু ঠিক থাকার কারণেই বর্তমানে দুবাই ভিজিট ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য খোলা আছে তাই চাইলে যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই তে প্রবেশ করতে পারবে। তবে অনেক বাঙালি দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাইতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে অবৈধভাবে। তাই আগের তুলনায় ভিজিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী তা না হলে সে দেশের পুলিশ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ফেলতে পারে।
দুবাই ভিজিট ভিসা ২০২২ আজকের খবর
2022 সালে সম্পূর্ণভাবে দুবাই ভিজিট ভিসা চালু আছে। তবে আগের তুলনায় দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ বেশি পড়বে। বর্তমানে দেওয়ার কারণেই দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাধারণত যারা কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই ভিজিট ভিসা তৈরি করে থাকে তাদের খরচ কিন্তু অন্যান্য ভিসার জন্য বেশি হবে।
দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে কেউ দুবাইতে প্রবেশ করবেন না তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন অথবা দালাল চক্রের হাতে আপনারা পড়ে যেতে পারেন। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন বৈধভাবে দুবাইতে ভিজিট করার এবং বৈধভাবে দুবাইতে অবস্থান করার তা না হলে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।
দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে সর্তকতা
দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে সতর্কতা জরুরি বর্তমানে দুবাই তে যাওয়ার জন্য অনেকেই ভিজিট ভিসা নিয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে কত দিনের ভিসা নিয়েছেন এবং আপনার ভিসা সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে দেখে নিবেন। বর্তমানে দুবাই ভিসা নিয়ে অনেক ধরনের প্রচারণামূলক কার্যকলাপ চলছে তাই অবশ্যই দেখেশুনে যাচাই-বাছাই করে তারপর এই দুবাই ভিজিট ভিসার টাকা প্রদান করবেন তার আগে কখনোই টাকা প্রদান করবেন না।
এবং সম্পূর্ণভাবে দালালের মাধ্যমে চলুন এবং বৈধভাবে দেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করুন বর্তমানে যারা অবৈধ পথে বিদেশ যাচ্ছে তাদের অনেকেই জীবনের রিস্ক নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাচ্ছে আবার ওখানে গিয়ে ও কিন্তু অনেকেই শান্তিতে থাকতে পারছিনা তাই অবশ্যই বৈধ ভাবে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় অবলম্বন করবেন না।