আজকে আমরা কথা বলবো দুবাই লেবার ভিসা কিভাবে করবেন এবং দুবাই লেবার ভিসা করার জন্য কত টাকা খরচ পড়তে পারে এবং লেবার ভিসা তে গিয়ে আপনারা কি কি সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনার ভিসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক দুবাই ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।
দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা রয়েছে তার মধ্যে দুবাই লেবার ভিসা পাওয়া যায় তাই আপনি যদি লেবার ভিসা দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে দুবাই লেবার ভিসা তে যেতে কত টাকা খরচ লাগে এবং এবং কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন কারণ অন্যান্য কাজের ভিসার মত কিন্তু দুবাই লেবার ভিসা দিয়ে তেমন কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। তাই দুবাইতে যাওয়ার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে লেবার ভিসা তে কত টাকা বেতন এবং সুযোগ সুবিধা কি থাকে।
দুবাই লেবার ভিসাতে কেন যাবেন
দুবাইয়ে অন্যান্য ভিসা পাওয়ার তুলনায় দুবাই লেবার ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যায়। তাই যারা দুবাইয়ে কম খরচে এবং খুব সহজেই যেতে চাই তাদের জন্যই দুবাই লেবার ভিসা। এবং এই লেবার ভিসা নিতে হলে আপনাকে তেমন কোনো প্রশিক্ষণ নেওয়া লাগবে না শুধুমাত্র বেসিক কাজের ধারণা থাকলেই আপনি দুবাই লেবার ভিসা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা কিন্তু অন্যান্য ভিসার তুলনায় কম না। অন্যান্য ভিসার তুলনায় কিছুটা কম হলেও কিন্তু বেতন ঠিকঠাক মত পাওয়া যায় এবং কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে।
তাই যারা চিন্তাভাবনা করছেন যে দুবাইয়ের ভিসা নিয়ে সেখানে যাবেন তাহলে আপনি একটি সঠিক ডিসিশন নিচ্ছে এবং অন্যান্য যেতে হলে আপনাকে খরচ বহন করা লাগবে এবং ভিসা পাওয়ার একটি জটিলতা থাকে কিন্তু সাধারণ শ্রমিক হিসাবে সেখানে প্রবেশ করা যায় এবং অন্যান্য কাজের মত এখানে ভালো বেতন তোলা সম্ভব হয়।
দুবাই লেবার ভিসার খরচ কত
দুবাই লেবার ভিসা তে যাওয়ার জন্য তিন লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশের যে সমস্ত বেসরকারি অথবা সরকারি এজেন্সি গুলোতে এই খরচের মধ্যে নিয়ে যায় তবে আপনি যদি দুবাইয়ে লেবার ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে খরচ কিন্তু আরো কম হবে তবে এক্ষেত্রে বলা যাচ্ছে যে সরকারি ভিসা কিন্তু যে কোন সময় পাওয়া যায় না তাই যে সমস্ত সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো রয়েছে সেই সমস্ত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে গেলে আপনাকে এরকম খরচ বহন করা লাগতে পারে।
দুবাই লেবার ভিসাতে যাওয়ার জন্য আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন এবং সেই এজেন্সি থেকে যদি ভাল কোন লেবার ভিসা পেয়ে থাকে তাহলে কিন্তু খরচ বেড়ে যেতে পারে তাই আপনাকে আনুমানিক 5 লক্ষ টাকার মধ্যে একটি বাজেট তৈরি করে রাখতে হবে কারণ কাজের কোয়ালিটি এবং বেতন ভালো যদি হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু ভিসার দাম আনুমানিকভাবে একটু বেশি হয়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভালো কোন ভিসা নেওয়ার এবং বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে।
দুবাই লেবার ভিসাতে বেতন কত
দুবাই লেবার ভিসা তে বেতন ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬৫হাজার ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে প্রথম অবস্থায় ৩৫ হাজার টাকা থেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন লেবার হিসাবে। তবে পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন বাড়ানো হয় এবং ভালো কোন কোম্পানি হয়ে থাকলে প্রত্যেক বছর লেবার দের বেতন বৃদ্ধি করে থাকে। সেইসাথে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা লেবার দের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং ঈদের বোনাস প্রদান করে থাকে।
সাধারণত লেবার ভিসা দিয়ে কাজ করা একটু কঠিন তবে আপনি যদি ভালো পরিমাণ সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন এবং ওভারটাইম সহ এই সমস্ত ডিউটি যদি আপনারা করতে পারেন। তাহলে অন্যান্য ভালো কাজের মত আপনারা দুবাইতে লেবার ভিসা বেতন তুলতে পারবেন ভালো পরিমাণে। তবে বিদেশের সব কাজগুলোই আনুমানিকভাবে একটু কঠিন হয়ে থাকে তাই আপনি যদি ভাল পরিশ্রম করতে পারেন এবং আপনার যদি ধৈর্য থাকে তাহলে যেকোনো ভিসা তেই ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
দুবাই লেবার ভিসা তে যাওয়ার উপায়
দুবাই যাওয়ার জন্য আপনাকে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এবং সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সিগুলো রয়েছে সেগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশে অবস্থিত বিএমইটি অথবা বোয়েসেল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনারা দুবাইয়ের লেবার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন যে অবশ্যই সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমে আপনাদেরকে দুবাইয়ের লেবার ভিসা সংগ্রহ করা লাগবে তা না হলে আপনার বড় অঙ্কের টাকা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকতে পারে। কেননা সাধারণত যারা মূর্খ এবং পড়ালেখা অনেকটাই কম জানে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্ত দুই নম্বরি ভিসা কার্যক্রম হয়ে থাকে।
তাই চেষ্টা করবেন আপনি যেই এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন সেই এজেন্সি কতটা নির্ভরযোগ্য এবং তারা পূর্বে কতটা লোক পাঠিয়েছে এবং তারা ভালো পরিমাণ বেতন পাচ্ছে কিনা এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে ভালোমতো জেনে নিবেন এবং সরকারের নিবন্ধিত দুটি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনারা আপনার এজেন্সী সম্পর্কেও জেনে নিতে পারবেন।
আবার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি আপনার দুবাইতে লেবার ভিসা তে কাজ করে তাহলে জেনে নিতে পারবেন যে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে এবং কত টাকা খরচ হয়েছে এবং সেখানে গেলে কি ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব এই বিষয়টি ভালোমতো জেনে নিবেন।
দুবাই লেবার ভিসাতে যাওয়ার আগে সর্তকতা
আপনারা যদি দুবাই লেবার ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ভালোমতো জেনে নিতে হবে অথবা দুবাইয়ের লেবার ভিসা হাতে পাওয়ার পরে অনলাইনের মাধ্যমে সেটা যাচাই-বাছাই করে নিবেন আপনার বিষয়টি সঠিক আছে কিনা। এক্ষেত্রে দুবাইয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই আপনার ভিসা নাম্বার দিয়ে যাচাই বাছাই করে নিতে পারবেন। অনলাইনে চেক করার মাধ্যমে দেখতে পাবেন আপনার এটি কি দুবাই লেবার ভিসা নাকি অন্য কোন ভিসা দিয়েছে।
এবং ভিসা আদান-প্রদান করার আগ মুহূর্তে কখনোই আপনারা টাকা প্রদান করবেন না আপনি যখন ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন তখন আপনার কোম্পানিকে টাকা বহন করবেন তার আগে কোনো ধরনের টাকাপয়সা আদান প্রদান করবেন না। সেইসাথে মেডিকেল রিপোর্ট সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য যে সমস্ত কার্যক্রম সম্পাদনা করা লাগে তা অবশ্যই কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী আপনারা করবেন তার আগে কখনোই করবেন না।