পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান নিয়ে বিস্তারিতভাবে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর এই কন্টাক্ট এর মধ্যে পেয়ে যাবেন। পরীক্ষায় যে সমস্ত প্রশ্নগুলো আসবে এই বিষয়গুলো নিয়েই মূলত আজকে আমরা এই কন্টেন্টটি সাজিয়েছি। এ প্রশ্নগুলো জানলে আপনারা যাবতীয় এক্সাম এর প্রিপারেশন নিতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেই।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক এবং চাকরির জন্য পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রশ্ন এসে থাকে। এই একটি কন্টেন্ট যদি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে পদ্মা সেতু সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারবেন তাই মনোযোগ সহকারে এটি পড়ার চেষ্টা করুন কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক পদ্মা সেতু সম্পর্কে A to Z উত্তর।
আপনাকে পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জানার আগে তার ইতিহাস সম্পর্কে আগে ভালোমতো জেনে নিতে হবে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই পদ্মা সেতুর ইতিহাস সম্পর্কে নীচে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছি সেটি প্রথম অবস্থায় জেনে নেওয়া যাক।
পদ্মা সেতুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের বড় নদী পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক এবং রেল যোগাযোগ সেতু হল পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল গুলোর সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সংযোগ ঘটিয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। আর এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের মতো স্বল্প উন্নতির এই দেশে পদ্মা সেতু হলো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। যা এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় কোন প্রজেক্ট নিজ থেকে করতে পারেনি। বিদেশী কোন বিনিয়োগ ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজের খরচেই বাংলাদেশ পদ্মা সেতু তৈরি করেছে।
দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল এবং কংক্রিট দ্বারা নির্মিত এই ব্রিজটি। পদ্মা সেতুর ওপরের স্তরে রয়েছে ছারলেন এর সড়ক পথ এবং তার নিচের স্তরে রয়েছে একটি রেলপথ। পদ্মা, বক্ষপুত্র, এবং মেঘনার আবহাওয়া ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্পেন বসানো হয়েছে পদ্মা নদীতে। পদ্মা সেতু ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮.১০ মিটার প্রস্থ এর মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের সব থেকে বড় সেতু পদ্মা সেতু।
অন্যের কল লিস্ট বের করার সফটওয়্যার
এ পদ্মা সেতু নির্মান অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের গুজবসহ আরো নানা ধরনের জালিয়াতি কার্যক্রম হয়েছে বলে অনেকেই অনেক ধরনের মতবাদ প্রকাশ করেছে। তবে দিনশেষে পদ্মা সেতু বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বড় মেগা প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করেছে বলে বিশ্ব মিডিয়ায় এই নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এর গুরুত্ব
আপনি যদি একজন জব হোল্ডার হয়ে থাকেন অথবা একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার লাইফে কোন চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা পদ্মা সেতু সম্পর্কে বাংলাদেশের বড় বড় চাকরি এবং কোম্পানির চাকরিসহ সাধারণ পরীক্ষায় অথবা স্টুডেন্টদের ক্লাসিক পরীক্ষাও কিন্তু পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে।
কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা হচ্ছে বিসিএস সহ অন্যান্য যে কোন চাকরি পরীক্ষায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। প্রাইমারি অথবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার জন্য অথবা বেসরকারি সহ সকল চাকরির পরীক্ষায় পদ্মা সেতুর সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে।
পদ্মা সেতু নিয়ে সকল প্রশ্ন নিচে আমরা তুলে ধরেছি সেখান থেকে আপনারা সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর দেখে নিন
এই কারণে আপনাকে অবশ্যই পদ্মা সেতুর সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান গুলো জানা থাকতে হবে। আর এই সুবিধা থেকে আজকে আমরা পদ্মা সেতুর সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এখানে উপস্থাপনা করেছি। আপনারা আজকে আমাদের প্রত্যেকটি প্রশ্ন যদি গুরুত্ব সহকারে পড়েন তাহলে আপনার সামনে পরীক্ষাগুলোর জন্য সঠিক উত্তর যাচাই করতে পারবেন। আর আজকের এই কন্টেন্টে আপনারা পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জেনে নিন।
পদ্মা সেতুর A to Z
নাম | পদ্মা সেতু |
প্রকল্পের নাম | পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প |
দৈর্ঘ্য | ৬.১৫ কি |
প্রস্থ | ১৮.১০ মিটার। |
পিলারের সংখ্যা | ৪২ টি। |
স্পানের সংখ্যা | ৪১ টি। |
প্রতিটি স্পানের দৈর্ঘ্য | ১৫০ মিটার। |
স্পানগুলোর মোট ওজন | ১১৬৩৮৮ টন। |
পাইলের সংখ্যা | ৬ টি। |
পাইলের ব্যাস | ৩ মিটার |
পাইলের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য | ১২৮ মিটার। |
মোট পাইলের সংখ্যা | ২৬৪ টি। |
নদী শাসন হয়েছে | দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার। |
সংযোগ সড়ক | মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। |
কাজ শুরু হয় | ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়। |
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান | চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। |
বাজেট | প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। |
অর্থায়ন করেছে | বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। |
নদীশাসন ব্যয় | ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। |
প্রথম স্প্যান বসে | ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। |
উচ্চতা | ৬০ ফুট। |
ভায়াডাক্ট পিলার | ৮১ টি। |
ভায়াডাক্ট | ৩.১৮ কিলোমিটার। |
জনবল | প্রায় ৪ হাজার। |
পাইলিং গভীরতা | ৩৮৩ ফুট। |
পানির স্তর থেকে উচ্চতা | ৬০ ফুট। |
চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম | চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড। |
প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং | ৬টি। |
প্রথম স্প্যান বসানো হয় | 37 ও 38 নম্বর খুটির পিলারের উপর। |
শেষ 41 নম্বর স্প্যান বসানো হয় | 12 ও 13 নম্বর খুটির উপর। |
41টি স্প্যান বসাতে সময় লাগে | তিন বছর দুই মাস দশ দিন সময় লাগে। |
বাংলাদেশের বর্তমানে দীর্ঘতম সেতুর নাম | পদ্মা সেতু। |
পদ্মা সেতুর পূর্বে বাংলাদেশে দীর্ঘতম সেতুর নাম | যমুনা সেতু। |
প্রতিটি স্প্যান এর ওজন | 3200 টন। |
ব্যবহৃত স্টিলের পরিমাণ | ১৪৬০০০ মেট্রিক টন। |
সক্ষমতা | দৈনিক 75 হাজার যানবাহন। |
আকৃতি | ইংরেজি S অক্ষরের মতো। |
ভূমিকম্প সহনশীলতা | রিকটার স্কেলে ৮ মাত্রার কম্পন। |
আয়ুষ্কাল | 100 বছর। । |
ভূমি অধিগ্রহণ | ৯১৮ হেক্টর। |
পদ্মা সেতুর যাবতীয় আপডেট তথ্য জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে পারেন এই ক্ষেত্রে আমরা পরবর্তীতে আপডেট তথ্য নিয়ে এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো। এছাড়াও আপনারা অন্যান্য তথ্য জানার জন্য আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদেরকে সহযোগিতা করার।
পদ্ধতি সেতু ছাড়া মেট্রো রেল এবং সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা লাগে এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি তাই চেষ্টা করুন আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করা। জেনে নিন আপনার মূল্যবান তথ্যগুলো।
পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট কি
পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট এটি এক ধরনের সেতু। এটি দু ভূখণ্ডের সমান উচ্চতা দুটি পয়েন্ট এর সাথে সংযোগ করে থাকে। সাধারণত এটি বেশিরভাগ সময় রেলও সড়ক যানবাহন বহন করার জন্য এটি মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ভূখণ্ড এবং পাহাড়ি এলাকাগুলোই জলভূমি অতিক্রম করার জন্য নির্মিত একটি ব্রিজ এটি কতগুলো পিলার এর সাহায্যে নির্মিত হয়ে থাকে।
এটির মাধ্যমে অধিক চাপ সহ্য করার মতো ক্ষমতা থাকে এবং বিশ্বস্ত মাধ্যমের মধ্যেই এটি একটি নির্ভরযোগ্য হিসাবে গণনা করা হয় যার কারণে মূলত পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু বাঁকা কেন
পদ্মা সেতুতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এটি একেবারে সোজা বা সমান নয়। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকের মনেই অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে। অনেকেই ভাবতে পারতো পদ্মা সেতুতো সরাসরি সোজা করে করতে পারতো কিন্তু পদ্মা সেতু বাঁকা কেন করল। পদ্মা সেতু বাঁকা করার অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
পদ্মা সেতু বাঁকা করা হয়েছে চালকদের কথা মাথায় রেখে। অনেক সময় সোজা রাস্তা হলে চালকরা সেতু বা রাস্তাতে উঠে একঘেয়েমিতা দেখা দেয়। এতে করে এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া পদ্মা নদী অনেক গভীর এবং স্রোতের কারণে সেতুটি সোজা হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিত।
পদ্মা সেতুর যাবতীয় প্রশ্ন এবং উত্তর করার জন্য আমাদের নিচের দেওয়া অপশন থেকে আপনারা প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো পড়ে নিতে পারবেন। নিচে পর্যায়ক্রমে প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
ক্লান্তি এবং জড়তার কারণে ড্রাইভিং থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলতে পারে গাড়ির চালকরা। অনেকে আবার স্টিয়ারিং একইভাবে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে ঘুম চলে আসতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তাই পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্যই মূলত বিশেষ কায়দা ব্যবহার করা হয়েছে যেটির কারণেই মূলত পদ্মা সেতু বাঁকা করে তৈরি করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর এই প্রশ্নগুলো কেন জানা উচিত
পদ্মা সেতুর এই প্রশ্নগুলো আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নির্মিত একটি সেতু। এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি সর্বপ্রথম নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে এই পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের সকল চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এ প্রশ্ন করা হতে পারে।
এ প্রশ্নগুলো বিভিন্ন ভাইবা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার খাতায় আসতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো আপনারা সুন্দর মতো উপস্থাপনা করার জন্য আজকের এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই পদ্মা সেতুর যাবতীয় প্রশ্নগুলো আপনাদের জেনে রাখলে পরবর্তীতে যে কোন স্টেপে আপনারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন খুব সহজেই এবং এতে করে আপনার সাধারণ জ্ঞান অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
পদ্মা সেতু খরচ কত
পদ্মা সেতুর মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। পরবর্তীতে নতুনভাবে সংশোধনের জন্য প্রায় আরো ৩২ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। অর্থাৎ টোটালি ব্যয় বাড়িয়ে ২,৪৪৫ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে যখন প্রথম প্রকল্পের অনুমোদন এবং সময় ধরা হয়েছিল তখন ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল।
পরবর্তীতে করোনা কালীন সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল আনার জন্য খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে সেই সাথে আরো অনেক কিছুর দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণেই মূলত পদ্মা সেতুর খরচ পরবর্তীতে বাড়ানো হয়। কাজটি ২০১০ সালের দিকে শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি শেষ হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।