পিল খাওয়া বন্ধ করার ৭ দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হয়। সাধারণ পিল মূলত ১ মাস যাবত সেবন করতে হয়। এক মাস যাবত এই সাধারণ পিল খাওয়ার পরেই পরবর্তীতে ৭ দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হবে। এক সপ্তাহের বেশি সময় যদি ১০ দিন অথবা ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে তাহলে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে যদি মাসিক না শুরু হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে। এক মাস যাবত যদি সাধারণ পিল সেবন করা হয়ে থাকে পিল শেষ হওয়ার পরেও যদি মাসিক না হয় তাহলে কিন্তু প্রেগন্যান্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। আবার অনেক সময় কিছু কিছু দিন দেরি হয়ে থাকে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ দিন অথবা ১২ দিন পর্যন্ত দেরি হতে পারে।
তাই সাধারণ পিল সেবন করার পরে সর্বোচ্চ ৭ থেকে দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এর মধ্যে যদি না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেগনেন্সি টেস্ট করে ফেলুন। সাধারণ পিল ছাড়া যদি ইমারজেন্সি পিল সেবন করে থাকেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু ভিন্ন রকম ভূমিকা থাকবে তাই যদি সাধারণ পিল খেয়ে থাকেন তাহলে সাতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
পিলের বিবরণ | বর্ণনা |
মাসিকের সময় | ডোজ শেষে ১ সপ্তাহের মধ্যে |
খাওয়ার সময় | রাত্রে |
পিল খাওয়ার সময় কাল | ১ মাস যাবত |
মাসিক চলমান | ১ থেকে ৫ দিন |
সাধারণ পিল খাওয়া অবস্থায় যদি কোন কারণে ভুল করে না খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি ডোজ কমপ্লিট হওয়ার মধ্যে যদি আপনি কোনদিন ভুল করে থাকেন এবং মাসিক যদি দেরিতে হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত করুন এর মধ্যে যদি না হয় তাহলে কিন্তু অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় দেখুন
সাধারণ পিল খাওয়ার পরে মূলত সাত দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হয়ে যায়। তাই অনেকেই আবার আছে যারা কিনা এক থেকে দুই দিনের পিল সেবন করেন না এই ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি কোন ধরনের ভুল না করে থাকেন তাহলে সাতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আর যদি ভুল করে থাকেন তাহলে তৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন।
যে কোন সাধারণ মানের পিল খাওয়ার সাত দিনের মধ্যেই মাসিক শুরু হয়। সাত দিনের মধ্যে যদি মাসিক না হয় তাহলে শারীরিক কোন সমস্যার কারণে অথবা শরীর দুর্বলসহ বিভিন্ন কারণে কিন্তু কিছুটা দেরি হতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১২ দিন পর্যন্ত আপনাদেরকে সময় দিয়ে দেখতে হবে যদি এর মধ্যে নাই হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো মেনে চলুন।
যদি সাত দিনের মধ্যে মাসিক শুরু হয়ে যায় এবং পরবর্তী পাঁচ দিন অথবা সাত দিনের মধ্যে যদি এটা শেষ হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে আবার পুনরায় সাধারণ পিল সেবন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন সাধারণ পিল সেবন করার সময় কোন ধরনের ভুল করা যাবে না যদি এক থেকে দুই দিনের ভুল করে ফেলেন তাহলে আগের ওষুধগুলো একদিনে খেয়ে নিতে হবে এক্ষেত্রে সেই দিনের ওষুধটাও সেই দিনই খেয়ে ফেলবেন।
পিলের কার্যকরী ক্ষমতা কত ঘন্টা তাই দেখুন
এক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না যদি সমস্যা দেখায় দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আজকে আমরা কথা বলছি যে সাধারণ পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক শুরু হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী আমরা আরো বিস্তারিত ভাবে তথ্যগুলো তুলে ধরব তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে আমরা আরো কিছু বিষয় নিয়ে জেনে নেওয়া যাক।
অনেক সময় যদি শরীর দুর্বল থাকে তাহলে কিন্তু মাসিক দেরিতে শুরু হয়ে থাকে তাই আপনারা সর্বোচ্চ ১২ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং দেখুন পরবর্তী ফলাফল কি আসে যদি কোন ধরনের ফলাফল না পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন কেননা তা না হলে কিন্তু প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
আয়রন যদি কোন ঘাটতি থাকলে কিন্তু মাসিক দেরিতে শুরু হয়ে থাকে অথবা মাসিকের নির্ধারিত সময় বা ডেট থাকে না। কারো যদি মাসিক দেরিতে শুরু হয়ে থাকে তাহলে টেনশনের কোন বিষয় নাই এক্ষেত্রে আপনারা সর্বোচ্চ ১২ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই ছিল আজকে আমাদের পিল খাওয়ার বন্ধ করার কতদিন পর মাসিক হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ
পিল খাওয়ার পরেও যদি মাসিক না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সাধারণ পিল খাওয়ার পরে সাত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক সময় দেরিতে মাসিক শুরু হয়। তাই এক্ষেত্রে টেনশন করার কোন দরকার নেই যদি সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেও না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শরীর দুর্বলের কারণে আর যদি এর আগেও মাসিক এর ডেট এবং সময় ঠিক না থাকলে টেনশন করার কোন দরকার নেই কেননা এর আগেও যদি আপনার মাসিক প্রক্রিয়া দিতে শুরু হয়ে থাকে তাহলে কিছুটা সময়ই লাগতে পারে তাই সাতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এর মধ্যে যদি না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।