পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে ভ্যাসেক্টোমি একটি স্থায়ী এবং ১০০% কার্য করে একটি পদ্ধতি। ভ্যাসেক্টোমি লিঙ্গের টিউবকে বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং শুক্রাণু বহন করা থেকে বিরত রাখে। এক্ষেত্রে পুরুষের শরীর থেকে শুক্রাণু বের হওয়ার সময় তার নিজের শরীরের মধ্যেই শুকিয়ে যায়। এই কারণে এটি ১০০% নিরাপদ পদ্ধতি।
পুরুষের জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার ফলে ভ্যাসেক্টোমি ব্যবহার করার কারণে কিন্তু পার্শ্বপ্রতিকরাও কাজ করতে পারে এই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পুরুষের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্ক থাকতে হবে তাছাড়াও বর্তমানে এনএস বি সবথেকে নিরাপদ বিহ হিসাবে ধরা হচ্ছে তাই এই দুইটি মাধ্যমেই পুরুষরা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবে।
১/ভ্যাসেক্টোমি
২/ এনএসবি
৩/জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
৪/জন্মনিয়ন্ত্রণ ইঞ্জেকশন
এই দুটি পদ্ধতি ছাড়াও আরো আরো কয়েকটি পদ্ধতি বর্তমানে প্রচলিত আছে। তবে সবথেকে নির্ভরযোগ্য এবং 100% নিরাপদ হিসাবেই ভ্যাসেক্টোমি ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরুষরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে বিভিন্ন ইনজেকশন অথবা বিল ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে তবে হানডেট পারসেন নিরাপদ হিসেবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হলে ভ্যাসেক্টোমি সবথেকে ভালো হয়।
বর্তমানে পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ১০০ পার্সেন্ট নিরাপদ হিসেবে দুইটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া সাধারণ ভাবে কোন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন না করলেও কনডম ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই সাথে ছয় মাস মেয়াদী অথবা এক বছর মেয়াদী বিভিন্ন ইনজেকশনের মাধ্যমে পুরুষরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
আরো পড়ুন: জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দাম
এ বিষয়ে সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাতা সহ আরো নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে পুরুষরা যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং ইনজেকশন এর মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে তাহলে সরকার কর্তৃক ফ্রিতেই এই সার্ভিসগুলো দেওয়া হচ্ছে এক্ষেত্রে জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে গুলোতে স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক এর মাধ্যমেই এই সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
পুরুষরা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার অসুবিধা
এটি সর্বদা সবসময় কিন্তু ১০০ পার্সেন্ট কার্যকরী ভূমিকা রাখেনা। অনেক সময় এর কার্যকরি ক্ষমতা আগেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করার পরেও যদি স্ত্রীর সঠিক সময়ে মাসিক না হয় এবং প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে অবশ্যই আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পদ্ধতি তৎকালীনভাবে কার্যকরী হয় না যেহেতু এটি লিঙ্গের মধ্যে কাজ করে থাকে তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং কয়েক মাস সময় নিয়ে এটি অন্য কোন পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবহার করা উচিত যেমন কনডম বা সাধারণ অন্য কোন নরমাল পিলের মাধ্যমেই তার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
তা না হলে অনেক সময় এটির কার্যকারিতা না হওয়ার ফলে কিন্তু প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই পুরুষরা যেকোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও যদি এমন কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে পরবর্তী সময় থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার খরচ
এটি ব্যবহার করার ফলে কিন্তু পুরুষরা দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্তান নেওয়ার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করেও কাজ হবে না এক্ষেত্রে ওষুধের ইফেক্ট শেষ হওয়ার পরই কিন্তু এর কার্যকারিতা আবার পুনরায় বৃদ্ধি পাবে তবে এক্ষেত্রে কিন্তু পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন দীর্ঘ সময়ের জন্য বাচ্চা নিতে পারবে না এবং তার কার্যকারিতা ক্ষমতাও অনেকটাই কমে থাকে।
পুরুষরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার সুবিধা
- দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাপদে মিলামিশা করা যায়
- অনিয়ন্ত্রিত পেগনেট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে
- পদ্ধতিটি বিপরীতমুখী হিসেবে কাজ করে
- খুবই সাধারণ ডাক্তারের কাছে গিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যেই ব্যবহার করা যায়
- এক্ষেত্রে কোন হরমোনের প্রভাব পড়ে না
- যে সমস্ত পুরুষ কখনোই কোনো সন্তান নেবে না তাদের জন্য পারফেক্ট
- অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য সবথেকে ভালো
তাছাড়া আরো অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কি ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো নিতে চাচ্ছেন আপনি যদি প্রথম সন্তান না নিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু এ সমস্ত পদ্ধতি একেবারেই না নেওয়া উচিত।
তাছাড়া আরো অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে ক্ষেত্রে অবশ্যই পুরুষদের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে নেওয়া উচিত তা না হলে কিন্তু পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা না হলে কিন্তু আরো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।