মূলত ফেমিকন পিল একটানা এক মাস সেবন করতে হয় তাই মূলত এই পিলের কার্যকরী ক্ষমতা পরবর্তী পিরিয়ড পর্যন্ত ধরা হয়ে থাকে। ফেমিকন পিল চলাকালীন অবস্থায় যেকোনো সময় শারীরিক সম্পর্ক করলে প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নাই। যদি রাত্রে পিল সেবন করা হয় তাহলে যে কোন সময় সহবাস করলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। প্রেমিকার পিল মূলত একাধারে একমাস যাবত পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত এই পিল খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।
ফেমিকন পিল যদি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময় থেকে এর কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এক মাসের মধ্যে যখন আপনি দুই থেকে চার দিনের মতো ফেমিকন পিল বন্ধ করে দিবেন তারপরে কিন্তু তার কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এই কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার পরেই কিন্তু যদি কেউ শারীরিক সম্পর্ক করে তাহলে কিন্তু প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেমিকন পিলের বাদামী পিল খাওয়ার পর থেকেই মাসিক শুরু হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বাদামি পিল খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। মূলত বাদামি পিল সাতদিন খাওয়ার পরেই এর পূর্ণাঙ্গ ডোজ কমপ্লিট হয়ে যায়। তাই বলা যায় যে বাদামি পিল না খাওয়া পর্যন্ত এর কার্যকরী ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। যদি এই সময়ের মধ্যে মাসিক শুরু না হয় তাহলে কিন্তু প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অবগত হতে হবে।
পিলের নাম | ফেমিকন পিল |
কার্যকরী সময় | ১ মাস |
পিলের দাম | ৩৬ টাকা=/ |
খাওয়ার সময় | রাতে |
কত দিন খেতে হয় | এক মাস |
সাইড ইফেক্ট | আছে |
ফেমিকন পিল খাওয়া অবস্থায় কোন ধরনের জটিল কোন সমস্যা দিলে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আজকে মূলত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে ফেমিকন পিলের কার্যকরী ক্ষমতা কত ঘন্টা। মূলত এক মাস যাবত খেতে হয় এক্ষেত্রে যদি আপনারা দিনের যেকোনো সময় অথবা রাত্রে যেকোনো সময় শারীরিক সম্পর্ক করেন তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা হবে না তবে নিয়মিত ভাবে এই পিল সেবন করতে হবে।
পিল সেবন করা বাদ দিলেই কিন্তু এর কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তাই এর নির্ধারিত ঘন্টা হিসেবে ধরা হয় না। যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু কোন ধরনের সমস্যা হবে না এক্ষেত্রে যতবারই শারীরিক সম্পর্ক হোক না কেন কোন সমস্যা নেই তবে এক মাস যাবত টানা কিন্তু এই পিল সেবন করতেই থাকতে হবে।
ফেমিকন পিল সেবন করা বাদ দিলেই এর কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তারপরে যদি আপনি প্রেগন্যান্ট হতে চান তাহলে এই পিল খাওয়া বাদ দিলেই পরবর্তী শারীরিক সম্পর্ক করলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নতুন অবস্থায় যদি এই পিল কেউ সেবন করে থাকেন এবং নিয়মিত সেবন করতে থাকেন তাহলে কার্যকরী ক্ষমতা নিয়ে কোন ধরনের টেনশন থাকবে না।
ফেমিকন পিল মূলত অস্থায়ী জন্মবিরতিকরণ একটি পদ্ধতি। ফেমিকন স্বল্পমাত্রায়ের পিল খাওয়ার নিয়ম হলো মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী মাসিক পর্যন্ত পুরা ডোজ কমপ্লিট করে খেতে হয়। এর মধ্যে যদি শারীরিক সম্পর্ক করা হয় তাহলে ওই নারীর গর্ভবতী হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। এপ্রিল চলাকালীন অবস্থায় সংগ্রহে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী ক্ষমতা নিয়ে কোন টেনশন নেই এ ক্ষেত্রে যতদিন পরিমাণ খাওয়া চলমান থাকবে এক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নির্দ্বিধায় করা যাবে।
ক্ষেত্রে যদি শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও পিল খাওয়া চলমান থাকা অবস্থায় যদি ভুলে দুই একদিন না খাওয়া হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনি একদিন অথবা দুই দিন মিস হলে দুইটি করে একসঙ্গে খেয়ে নিতে হবে সেই সাথে সেই দিনের পিল সেবন করে ফেলবেন। এক্ষেত্রে পরবর্তী মাস থেকে যদি মাসিক না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তৎকালীনভাবে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে।