বাংলাদেশ থেকে গ্রিস কিভাবে যাওয়া যায় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে এখন থেকে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যাওয়া যাবে এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশে গ্রিসের ভিসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। কিভাবে যাবেন এবং নিচে যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে এবং ভিসা নিবন্ধন প্রক্রিয়া কিভাবে করা হয় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।
বিগত বছরগুলো থেকে গ্রিসে যাওয়ার জন্য মূলত অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যাওয়া লাগতো এক্ষেত্রে এখন থেকে সরাসরি বাংলাদেশের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ব্রিজে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে অন্য কোন দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে আর যাওয়া লাগবেনা কিভাবে যাবেন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানুন।
গ্রিস হচ্ছে বর্তমানে ইউরোপীয় একটি দেশ সেখানে কাজের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়তেই আছে এক্ষেত্রে কাজের ভিসা সহ স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এ কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরেছি আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনারা পড়ুন।
ঢাকায় গ্রিসের ভিসা কেন্দ্র
এখন থেকে ঢাকায় ইউরোপের দেশ গ্রিসের যাবতীয় ভিসা প্রসেসিং করা যাচ্ছে। ভ্রমণ ভিসা কাজের ভিসা গ্রিসের ফ্যামিলি ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা সহ যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম ঢাকা গ্রিস ভিসা কেন্দ্রের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ করা যাবে। বর্তমানে গ্রিসের সব ধরনের ক্যাটাগরির বাংলাদেশের নাগরিকারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গ্রিসের যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম ভারতে অবস্থিত গ্রীক দূতাবাস হতে প্রসেসগুলো সম্পন্ন করা হতো এটা একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে এখন ঢাকা থেকেই এই কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করা যাবে।
তিনি আরো জানান ভিএফএস গ্লোবালের অংশীদারীতে এবারে গ্রিসের কূটনীতিক ও কনসিলারের পক্ষ থেকে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিস ভিসা ওয়ার্ল্ড সেন্টার ঢাকায় ডেডিকেটেড ভাবে এই কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
ঢাকায় কোথায় প্রিসের ভিসা কেন্দ্র
ঢাকার বোরাক মেহনুর ( অষ্টম তলায় ) 51/বি, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউএর বিএসএফ গ্লোবাল জয়েন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার এর মাধ্যমে গ্রীসের ভিসা সহ যাবতীয় বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়। অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হলে https://bd-gr.gvcworld.eu/en/online-visa-application এই লিঙ্কে এর মাধ্যমে নিতে হবে।
আধুনিক নতুন ভি এস সি নিয়মিত আবেদনকারীর জন্য ডেডিকেটেড সাবমিশন কাউন্টারের মাধ্যমে পাশাপাশি নির্বিঘ্নে ভিসা অভিজ্ঞতার জন্য ভ্রমণকারীদের ঐসিক প্রিমিয়াম লাউন্স পরিবেশ সেবা ও সজ্জিত থাকবে এখানে। বাংলাদেশ থেকে বিগত চার বছর যাবত কর্মী নিয়োগের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে গ্রীস সরকার।
তাছাড়া কেউ যদি সরাসরি ইন্ডিয়া মাধ্যমে গ্রীসের ভিসা নিতে চাই তাহলে কিন্তু প্রথম অবস্থায় ইন্ডিয়াতে আপনাদের গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে তবে এক্ষেত্রে খরচ কম বেশি পড়তে পারে কেননা ইন্ডিয়া থেকে তাই আপনারা যখন যাবেন ভালো কোন এজেন্সির সহায়তা নিয়ে গেলে অথবা তাদের সাথে আগেই অনলাইনে অথবা অফলাইনে যোগাযোগ করে যদি যেতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো হয়।
বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে গেছে যাওয়ার জন্য ছয় লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। এক্ষেত্রে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে এই বর্তমানে গ্রিসে যাওয়ার ভিসার আবেদন করা যাচ্ছে এক্ষেত্রে সাত লক্ষ টাকার মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে গেছে যাওয়া যাবে। তবে আপনি যদি ইন্ডিয়া বা অন্যান্য দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে কিন্তু খরচ আরো বেশি হবে।
মূলত গ্রীসে যাওয়ার জন্য সকল প্রসেস গুলো বাংলাদেশ থেকে করা যাচ্ছে এর কারণে মূলত কিছুটা কম টাকার মধ্যেই যাওয়া যাচ্ছে তবে নতুন নিয়ম এবং নীতি অনুযায়ী কিছুটা বাড়ানো হয়েছে এক্ষেত্রে সাত দিন পর্যন্ত ভ্রমণ ভিসা এবং আরো বেশি সময়ের জন্য 90 দিন পর্যন্ত আপনারা ভবন ভিসা করে নিতে পারবেন সকল ভিসা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা আরো তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশ থেকে গ্রিসের ভিসা আবেদন
এখন থেকে বাংলাদেশেই ঢাকা ক্যান্টের মাধ্যমে কিসের যাবতীয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা সহ আরো নানা ধরনের ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে এখান থেকে আপনারা খুব সহজে গ্রিসের যাবতীয় অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং আগের তুলনায় খরচও কিছুটা কম হবে।
আপনারা কয়েকভাবে যেতে পারবেন তার মধ্যে আগে মূলত ইন্ডিয়া গ্রিস দূতাবাসের মাধ্যমে যাওয়া লাগত। কিন্তু বর্তমানে এখন ঢাকা ক্যান্টের মাধ্যমেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে যাবতীয় ব্রিজের ভিসা কার্যক্রম এখন বাংলাদেশের ঢাকা থেকে করা যাচ্ছে তবে এক্ষেত্রে দাম কত কিনা প্রয়োজন।
গ্রিসে কিভাবে যাওয়া যায় ২০২৪
২০২৩ সাল থেকে মূলত গ্রিসের যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম বাংলাদেশের ঢাকা থেকে করা যাচ্ছে তবে বর্তমান সময়ে আপনারা ঢাকার মাধ্যমেই গ্রিসের স্টুডেন্ট ভিসা সহ যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে সেগুলো অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে যদি সরাসরি ঢাকা ক্যান্টের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আপনারা আবেদন করতে চান তাহলে অনলাইনে আগে নিবন্ধন করে নিশ্চিত করতে হবে তাহলে আপনারা বর্তমানে ঢাকা থেকেই গ্রিসে যাওয়ার জন্য যাবতীয় প্রসেস গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।
গ্রিসের ভিসা কিভাবে পাবেন ২০২৪
বর্তমানে ঢাকা থেকেই গ্রিসের ভিসা পাবেন। এখন আর ইন্ডিয়া অথবা অন্যান্য গ্রিস দূতাবাসের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ব্রিজ টুরিস্ট ভিসা সহ ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যাবতীয় প্রসেস গুলো ঢাকা কেন্দ্রের মাধ্যমে আপনারা করতে পারবেন। বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সর্বোচ্চ ২৭ দিন থেকে ৪৮ দিন পর্যন্ত সময় নিচ্ছে।
এক্ষেত্রে আপনারা যাবতীয় ভিসা প্রসেস গুলো সম্পন্ন করার পরেই আপনাদেরকে ভাইবার মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট কাজের উপর ডিপেন্ড করেই মূলত সেখানে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত। গ্রিসের যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য খোলা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
গ্রীস ভিসা কেন্দ্র | বিস্তারিত |
গ্রীস ভিসা কেন্দ্র কোথায় | ঢাকার বোরাক মেহনুর |
আবেদন প্রসেস | অনলাইনে |
আবেদন করার মাধ্যম | এখানে ক্লিক করুন |
আবেদন করার খরচ | নোটিশে দেখুন |
গ্রিস কিভাবে যাওয়া যায় ২০২৩
গ্রিসের বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা গ্রিস কেন্দ্র থেকেই আবেদন করে যেকোনো ধরনের ভিসা নিয়ে গ্রিসে যাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অনলাইনের মাধ্যমে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর ইন্ডিয়া গ্রিস দূতাবাস হতে কোন ধরনের ভিসা কার্যক্রমের মতো জটিল প্রসেস করা লাগবে না।
গ্রিসের ভিসা জাতীয় যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য এখন থেকে বাংলাদেশে ঢাকা থেকে করা যাবে তবে আপনাদেরকে অবশ্যই কোন দালালের মাধ্যমে এই প্রসেস গুলো করা যাবে না সরাসরি নিজেই এপার্টমেন্ট নিয়ে কথা বলে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে নির্বাচনের পরে আবারো নতুনভাবে ভিসা কার্যক্রম চালু হয়েছে তাই এখন আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে বাংলাদেশ থেকে অনেক ভালো সমস্ত এজেন্সি রয়েছে তাই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই যেতে পারবেন তবে খরচ কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।