ভারতের চন্দ্রাযান-৩ ২৩ আগস্ট ৬ টা ৪ মিনিটে অবতরণ করেছে। এটি এই মুহূর্তের ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযানের একটি যাত্রা এবারের যাত্রাটি একেবারে সম্পূর্ণভাবে সাকসেসফুলি চাঁদে অবতরণ করাতে পেরেছে। এটি নিয়ে আগের তুলনায় বিশেষভাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে চাঁদে গবেষণার জন্য এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত করেছে। ভারতের চন্দ্রাযান-৩ চাঁদে পানির উপস্থিতি আছে কিনা এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্যই মূলত এই অভিযান।
কিছুদিন আগেও রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা করার পরেই চাঁদের বুকে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। এর পরের রাশিয়ার সেই অভিযান এখন পুরোপুরিভাবেই বন্ধ আছে। একই সাথে অভিযান চালিয়ে ভারত সফল হয়েছে। এর আগেও রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, এবং নাসার সংস্থা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও চাঁদের উদ্দেশ্যে অভিযান চালিয়েছে।
ভারতের চন্দ্রাযান-৩ মূলত চাঁদে পর্যাপ্ত পানির উপস্থিতি আছে কিনা এই বিষয়ে গবেষণা চালাবে এবং সেখানে মানুষের বসতি এলাকা করা যাবে কিনা এবং খনিজ সম্পদ কতটুকু আছে এবং কিভাবে সেগুলো ব্যবহার করা যায় এই বিষয়ে অভিযান চালানো সম্ভব হবে বলে জানাই ভারতের চন্দ্রাযান-৩ কমিটি।
চাঁদে ভারতের চন্দ্রাযান-৩ পানির অস্তিত্ব খোঁজ করবে
তারা ধারণা করছে চাঁদে পর্যাপ্ত পানির উপস্থিতি আছে এবং সেখানে মানুষের বসবাসযোগ্য এলাকায় গড়ে তোলা যাবে বলে তারা ধারণা করছে। মূলত ১৯৬০ দশকের গোড়ার দিক থেকেই অ্যাপোলো অভিযানের আগ থেকে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে অনেকটাই ধারণা করেছিল এবং পরবর্তীতে ভারত এ বিষয়ে আরো এ বিষয়ে গবেষণা চালানোর জন্যই মূলত ভারতের চন্দ্রাযান-৩ অভিযান চালাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা যাদের বুক থেকে প্রাচীন প্রাণীর উৎস সম্পর্কে আগ্রহী অনেক আগে থেকেই এগুলো তাদের আগ্নেয়গিরি এবং ধুমকেতু এবং গ্রহাণুর মাধ্যমে পৃথিবীতে আসা যে সমস্ত পদার্থ এবং মহাসাগরের উৎস থেকে সম্পূর্ণভাবে ধারণা নেওয়ার জন্যই ভারতের চন্দ্রাযান-৩ অভিযান চালাচ্ছে।
যদি চাঁদে পর্যাপ্ত পানি থাকে তাহলে চন্দ্র অভিযানের মাধ্যমে তুলতে পারে এই বিষয়ে মূলত অভিযানটি চালানো হচ্ছে সেই সাথে চাঁদের মানুষের পানি পান করার জন্য এবং মেশিন ঠান্ডা রাখার জন্যই কাজে ব্যবহার করার জন্য প্রথমে পানির উৎস খুজে বের করার চেষ্টা করবে।
ভারতের চন্দ্র অভিযান | বিস্তারিত |
চাঁদে ল্যান্ড করে | ২৩ আগস্ট ছয়টা চার মিনিটে |
উদ্দেশ্য | পানি এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ |
অভিযানের কতদিন | আগামী কয়েক বছর যাবত এই অভিযান চলবে |
অভিযানের নাম | ভারতের চন্দ্রযান-৩ |
পানিগুলোকে ভেঙ্গে জ্বালানি কাজে এবং হাইড্রোজেন ও নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্যই মূলত ব্যবহার করার চেষ্টা করবে সে সাথে চাঁদে খননকার্য অভিযানের জন্য এবং মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য কাজে আসবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের চন্দ্রাযান-৩ কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ
চাঁদের বুকে অবতরণ করা অনেকটাই বিপদজনক একটি ব্যাপার এর আগেও শতবার চেষ্টা করেও অনেকেই ব্যর্থ হয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার জন্য। শেষবার রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন দেশের নবচারীরা তাদের এই অঞ্চলে অবতরণের চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ মেরুতে প্রচুর গর্ত এবং অনেক খাদ রয়েছে।
কিন্তু ভারতের চন্দ্রাযান-৩ তাদের এই পৃষ্ঠে নামার কারণে সঠিকভাবে গবেষণা কাজটি চালাতে পারবে এবং পানির উৎস সহ অন্যান্য আরো মূল্যবান ধাতুর সন্ধান করার চেষ্টা করবে ভারতের চন্দ্রাযান-৩ আজকে ছয়টা চার মিনিটে চাঁদের এই দক্ষিণ মেরুতেই অবস্থান করেছে।
অদূর ভবিষ্যতে চীন যুক্তরাষ্ট্র সহ আরো উভয় দেশী মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান চালানোর কথা রয়েছে তাই বলাই যাচ্ছে যে ছাদের দক্ষিণ মেরুতে পানিসহ অন্যান্য আরো খনিজ পদার্থ আছে বলেই তারা এই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে।