ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩ | ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা প্রসেসিং

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা
ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে আপনাদেরকে সঠিক আর্টিকেল লিখে তথ্যগত দিক থেকে সহযোগিতা করে থাকে। প্রতিবারের মতো আজকেও আমরা একটি বিশেষ আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। আজকে আমাদের আর্টিকেলের বিষয় হলো ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মধ্যে আপনি ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা প্রসেসিং

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা প্রসেসিং করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য আপনার নিকটস্থ যেকোনো একটি সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অনেকে রয়েছে যারা এজেন্সিতে যাওয়ার মত কোন সময় পান না তাদের ক্ষেত্রে অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে বেশি এগিয়ে গিয়েছে। আপনি যদি মনে করেন ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা সম্পন্ন করবেন তাহলে সেটাও সম্ভব।

আপনাকে প্রথমে আপনার নিকট একটি কম্পিউটার অপারেটর থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় লক্ষ্য নিয়েও রাখতে হবে যে আপনার আবেদনের মধ্যে যেন বিন্দুমাত্র কোন ভুল না থাকে। কেননা আপনি আবেদন করার সময় যদি কোন ধরনের ভুল থেকে থাকে তাহলে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে, সেই সাথে আপনি আবেদন করার সময় যে ফি প্রদান করতে হয় সেটি আর ফেরত পাবেন না। তাই অবশ্যই যে কোন ধরনের আবেদন করার সময় সঠিকভাবে আবেদন করার চেষ্টা করবেন।

আবেদন প্রক্রিয়ার শেষ হবার পর আপনার আবেদনটির রেক্রুটমেন্টগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। ১০ থেকে ১৫ দিন রিকোয়ারমেন্ট যাচাই-বাছাই করার পর আপনাকে একটি চিঠি দেওয়া হবে। এবং সেই চিঠিতে আপনার ভিসার সর্বশেষ আপডেট দেওয়া থাকবে।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩

প্রিয় পাঠক ভিয়েতনাম দেশটি হলো পুরো বিশ্বের মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরের সর্বপ্রথমে রয়েছে। তাই আপনি যদি মনে করেন গার্মেন্টস সেক্টরে গিয়ে বিদেশে কোন কাজ করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য ভিয়েতনাম একটি উপযুক্ত স্থান। এবং আজকে আমাদের এই কনটেন্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা পেতে হলে আপনাকে কোন ধরনের প্রসেস সম্পন্ন করতে হবে।

এছাড়াও ২০২৩ সালে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসাতে যে পরিবর্তনগুলো এসেছে সেগুলো সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য জানতে পারবেন। সে সাথে আরো জানতে পারবেন ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসাতে কোন কাজগুলো সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে সেখানে বেতন কত এবং ভিয়েতনাম গার্মেন্টসে বাঙ্গালীদের জন্য কোন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। তবে সকল তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই কন্টেন্টের গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা বেতন কত

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা বেতন মূলত ৪০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনার বেতন নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর। সে সাথে আপনি কোন সেক্টরে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটাও কিন্তু লক্ষ্য নিয়ে বিষয়। মনে করেন আপনি যদি অপারেটর হিসেবে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে একজন স্টোর কিপার এর থেকে অবশ্যই বেশি বেতন পাবেন।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে পাবেন

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা আপনি খুব সহজে বাংলাদেশের যেকোনো একটি এজেন্সি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বেসরকারি এজেন্সি গুলো থেকে নেওয়াটা একটু জটিলতা বিষয় রয়েছে। যদি বেসরকারি এজেন্সি গুলোতে পরিচিত মানুষ থাকে সেক্ষেত্রে সেখানে যেতে পারেন। তবে আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে বুয়েছেন নিবন্ধিত এজেন্সি গুলো থেকে ভিসা সংগ্রহ করবেন।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় একেবারে সাধারণ। অন্যান্য দেশের আবেদন যেভাবে করতে হয় ঠিক  একইভাবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা আবেদন করতে হয়। তবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টসে আবেদনের সময় কিছু বিষয়ের উপর সতর্ক থাকতে হবে। যেমন আবেদনের ডকুমেন্টগুলো কখনোই বাংলায় হওয়া যাবে না। আবেদন করার সময় আপনার পাসপোর্টে অবশ্যই নূন্যতম ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। এছাড়াও আবেদনটি হতে হবে একেবারেই নির্ভুল ।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসার দাম কত

অন্যান্য দেশের মতো ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা পেতে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হয় না। তবে স্বাভাবিকভাবে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে খুব সহজেই আপনি ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি দালাল এবং প্রতারক চক্র গুলোর সঙ্গে চুক্তি করে থাকেন সে ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

ভিয়েতনাম গার্মেন্ট ভিসা বন্ধ নাকি খোলা

বর্তমানে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা খোলা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ভিয়েতনাম সরকার বেশি কিছু দিন বন্ধ করে রেখেছিলেন। তবে বর্তমানে সুখবর হলো খুব সহজেই এখন ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে যে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন সনদ সংগ্রহ করতেই হবে।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা
                                                                    ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ভিয়েতনাম এর মত দেশে যদি আপনি গার্মেন্টস ভিসা পেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কাগজপত্র নাম আমরা নিচে তুলে ধরেছি।

  • ছয় মত মেয়াদ সম্পূর্ণ একটি বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড
  • আপনি কোন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ তাহলে করতে হবে
  • এজেন্সি থেকে প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট
  • কোভিড ১৯ সার্টিফিকেট

সরকারিভাবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগ

সরকারিভাবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগ বছরের প্রতিটা সময় হয় না। কোন বিশেষ প্রয়োজনে যখন ভিয়েতনাম সরকার আমাদের সরকারকে শ্রমিক নেওয়ার কথা বলে থাকে সেই সময়ে সরকারিভাবে শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে উল্লেখ খুঁজে বর্তমানে ভিয়েতনাম গার্মেন্টসে ভিসায় কোন শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই। তবে অনেকেই বলে থাকে যে কোন সময় আপনি সরকারিভাবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা যেতে পারবেন। এ সকল দালাল ও প্রতারক চক্র গুলো থেকে দূরে থাকবেন।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসায় যাওয়ার এজেন্সি

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে অনেকগুলো এজেন্সি রয়েছে। তবে আপনি যদি এ সকল বিষয়ে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি কোন ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বোয়েসেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন সেখান থেকে আপনি খুব সহজে এবং নিরাপদভাবে এর ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে বেসরকারি এজেন্সি গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে বেসরকারি এজেন্সিগুলোর থেকে সরকারি এজেন্সি গুলো থেকে ভিসা সংগ্রহ করলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিটা অনেকটা কম থাকে।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসাতে যেতে কত টাকা লাগে

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা যেতে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে একেবারেই স্বল্প টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন তাহলে এজেন্সি থেকে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে যেতে পারবেন।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস কাজে সুযোগ সুবিধা

গার্মেন্টস শিল্প টি বর্তমানে বিশ্বের এক অন্যরকম পরিবর্তনের দিয়েছে। এবং পুরো বিশ্বের মধ্যে শিল্পোনার দিক থেকে প্রথম অবস্থায় রয়েছে ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামি আপনি যদি গার্মেন্টস কাজের সুযোগ পান সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করতে হবে। কারণ এখানে আপনি উন্নত প্রযুক্তির সাথে কাজ করার পাশাপাশি নিজের স্কেল গুলো আরো ডেভলপ করে নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শক্তি এবং ধৈর্য শক্তি থাকা বাধ্যতামূলক।

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে সতর্কতা

ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা যাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যারা ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা যায় তাদের মধ্যে অনেক যুবক রয়েছে যারা অসচেতনতার অভাবে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারিত হয়ে আসছে। এবং এসকল দালাল চক্রগুলোর মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে অনেক যুবকের স্বপ্নগুলো বিলীন হয়ে পড়ছে। তাই অবশ্যই আপনি যদি ভিয়েতনাম গার্মেন্টসের সংগ্রহ করতে চান সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে চেষ্টা করবেন। যদি কোনভাবে সরকারিভাবে ভিসা পেতে ব্যর্থ হন সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে কোন একটি এজেন্সি থেকে ভিসা সংগ্রহ করবেন এতে করে আপনার প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিটা একটু কম থাকবে।

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ( সহজ ২০ টি কাজ )

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *