মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা সার্ভিস চালু করেছে মালয়েশিয়া সরকার। মূলত মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্যই প্রিমিয়াম ভিসা সার্ভিস চালু করেছে। ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর থেকেই ভিসা আবেদন করা যাচ্ছে। প্রিমিয়াম ভিসা সার্ভিস নোটিশে বলা হয়েছে যে যারা যোগ্য তারা যেকোনো বয়সের ব্যক্তি এই প্রিমিয়াম ভিসা আবেদন করতে পারবে তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে তা সম্পূর্ণ হতে হবে।
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা সার্ভিস অন্যান্য দেশের মতো এই সিস্টেম চালু করেছে যেমন সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড পর্তুগাল গোল্ডেন ভিসা উদ্দেশ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ রয়েছে। সেই তুলনায় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্যই মূলত মালয়েশিয়া সরকার প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছে। একি সেপ্টেম্বর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নয় এমন দেশ ছাড়া সমস্ত ব্যক্তিরা উন্মুক্ত ভাবেই ভিসা আবেদন করতে পারবে।
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা কি
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা মূলত মালয়েশিয়াতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্যই একটি ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছে যার নাম মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা। অন্যান্য দেশের বিজনেসম্যান, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, টিচার এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষ জন মালয়েশিয়াতে বসবাস করার অথবা বিজনেস করার সুযোগ তৈরি করতে পারবে। তবে মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা নিতে হলে প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো সম্পন্ন হতে হবে প্রয়োজনীয় কি কি রিকোয়ারমেন্ট তা নিচে তুলে ধরা হলো।
মালয়েশিয়া ভিসা মূলত ২০ বছরের জন্য প্রযোজ্য প্রতিবছর একবার করে নবায়ন করা যাবে এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংযোজন করতে পারবে পরবর্তীতে এই সুযোগ সুবিধা রয়েছে মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা সার্ভিস।
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা কিভাবে পাবেন
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে মাসিক ইনকাম ৪ লক্ষ ৮০ হাজার রিঙ্গিত থাকতে হবে হাজার থাকতে হবে। মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টে কমপক্ষে ওয়ান মিলিয়ন টাকা থাকতে হবে। সম্পত্তি কিনা ও চিকিৎসা কিংবা শিক্ষাগত খরচের জন্য এক বছর পরে ৫০ পার্সেন্ট তুলে নিতে পারবে। তবে আবেদনকারীকে এককালীন ২ লাক রিংগিত অংশগ্রহণ ফি জমা দিতে হবে।
কারা আবেদন করতে পারবে মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা
যেকোনো বয়সের ব্যক্তি মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে তবে এক্ষেত্রে যাদের ব্যাংকে ১ মিলিয়ন টাকা আছে। এবং আবেদনকারীকে মালয়েশিয়া পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী অনুমোদিত হলে তার পরেই সে মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা পাবে। এটি সরাসরি মালয়শিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হবে।
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবীমা থাকতে হবে। এবং টিআইবির সুবিধার অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সম্পত্তিকে না এবং অধ্যায়ন করা বিনিয়োগ করা এবং ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি প্রদান করা হবে এই প্রিমিয়াম ভিসার মাধ্যমে। ভিআইপি অংশগ্রহণকারী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা সুবিধা
ভিআইপি অংশগ্রহণকারী হওয়ার জন্য প্রিমিয়াম ভিসাধারী ব্যক্তি আবেদন করতে পারবে। মালয়েশিয়াতে বিজনেস এবং জমি কেনা কাটা সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ পাবে। স্ত্রী-সন্তান পিতামাতা এবং শ্বশুর শাউড়ি গৃহকর্মীকে অভিবাসন আইন সাপেক্ষে নির্ভরশীল হিসেবে অনুমতি প্রদান করা হবে। ২০ বছর পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ পতি পাঁচ বছর পর পর পুলিশের স্ক্রিনিং এবং চিকিৎসা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও পুনরায় রিনিউ করার সুযোগ রয়েছে তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মালয়েশিয়া প্রিমিয়াম ভিসা ব্যক্তি যদি মারা যায় তাহলে ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্যরা বসবাস করার সুযোগ পাবে।
প্রথম অবস্থায় পিবিআইয়ের বিশ্বব্যাপী তাদের আকর্ষণ করার জন্য ১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের ২০০ মিলিয়ন স্থায়ীভাবে আমানত অবদান রাখবে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং ব্যক্তিগত তথ্য যেকোনো সময় আপডেট করতে পারবে।