সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩(খরচ, আবেদন)

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩(খরচ, আবেদন)
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩(খরচ, আবেদন)
Contents show

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে কিভাবে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাবেন এবং যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ পড়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এখানে আলোচনা করব। সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩ এ কি কি প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট লাগে এবং সেখানে যাওয়ার পরে কি কি কাজ করতে পারবেন এবং সুইজারল্যান্ডে কাজের বেতন কত সেগুলো জানতে পারবেন।

সুইজারল্যান্ড এ বছরের বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই জানেনা কোন পদ্ধতিতে আপনারা কাজের বিচার সংগ্রহ করবেন এবং এ সমস্ত এজেন্সি গুলো কোথায় অবস্থিত এবং তাদের মাধ্যমে যাওয়া উচিত তার সকল বিষয়গুলোই জানানো হয়েছে। মূলত সুইজারল্যান্ড যাওয়ার প্রসেস আগের তুলনায় কিন্তু অনেকটাই সহজ। তবে সঠিক মাধ্যম আপনাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে তারপরে আপনারা যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন

বিগত বছরগুলো থেকে সুইজারল্যান্ডে অনেক মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছে এবং ভালো ভালো কাজের নিয়োজিত আছে এক্ষেত্রে কি কি কাজে এবং কিভাবে তারা কাজ করছে এবং ব্যবস্থা কিভাবে করেছে সেই বিষয়গুলো নিয়েও এখানে জানাবো তবে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক কোন ভিসার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড যাওয়া উচিত এবং কেনই বা সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন।

সুইজারল্যান্ডে কেন যাবেন

সুইজারল্যান্ড হলো পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে সুন্দরতম দেশ এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক উন্নত একটি দেশ। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে সুইজারল্যান্ডে একবার হলেও যাওয়ার। তবে এই সুযোগ যদি আপনি করে নিতে পারেন তাহলে কেমন হয়। কিন্তু সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সবার পক্ষেই সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে যদি আপনারা সুযোগ অনুযায়ী কাজের ভিসা অথবা বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে যদি যেতে পারেন তাহলে সবথেকে ভালো হয়।

সুইজারল্যান্ড অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক উন্নত একটি দেশ এখানে মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হওয়ার কারণে এখানে অনেকেই কাজের ভিসা সহ অন্যান্য অনেক ভিসা নিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে। এবং এখানে যদি আপনি দীর্ঘদিন যাবত কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে সুইজারল্যান্ডে নাগরিকত্ব হওয়ার জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন।

অন্যান্য দেশের তুলনায় সুইজারল্যান্ডে কিন্তু কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ এক্ষেত্রে আপনাকে তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই এখানে কাজ করতে পারবেন। তবে কিভাবে আপনারা এই কাজের ভিসা সংগ্রহ করবেন এবং কিভাবে যাবেন তা মূলত আজকে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়েই আপনাদের মাঝে তুলে ধরব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৩

২০২৩ সালে সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এখন থেকে খুব সহজেই আপনারা সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে অথবা বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের এজেন্সি গুলোর সাথে যোগাযোগ করে তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিগত বছর থেকেই মূলত এই পদ্ধতিতেই সুইজারল্যান্ডে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ করেছে এবং সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণকালীন সময়ে তারা একটি বৈঠক করেছে যাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ড। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ড এর মধ্যে আরও সম্পর্ক দীর্ঘ করার লক্ষ্যে মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে তারা আরো যোগাযোগ উন্নত করতে চাই।

বর্তমান সময়ে সুইজারল্যান্ডে কিন্তু অনেকেই কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে আছে এক্ষেত্রে যাওয়ার খরচ সহ আরো অনেক পদ্ধতি আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত। তাই আজকে মূলত আপনাদেরকে জানাবো সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে এবং 2023 সালের পদ্ধতি গুলো কি কি সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদেরকে মূলত জানাবো।

সুইজারল্যান্ডের আপনারা কয়েক ভাবে কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সরাসরি যদি আপনারা সুইজারল্যান্ডের কাজের বিচার না পান তাহলে অন্য কোন পদ্ধতিতে আপনারা সুইজারল্যান্ডের কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন তাহলে চলুন এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। তার আগে জেনে নেওয়া যাক সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার দাম কত।

সুইজারল্যান্ডের ভিসার দাম কত ২০২৩

২০২৩ সালে যদি সুইজারল্যান্ড এর ভিসা নিতে চান তাহলে দাম পড়বে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভিসার দাম নির্ধারিত হয় আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ে সুইজারল্যান্ড যেতে চান তাহলে কিন্তু দাম পড়বে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মত। আর আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দাম পড়বে।

সুইজারল্যান্ড এর ভিসার দাম মূলত নির্ধারিত হয় আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন ক্ষেত্রে আপনারা যদি টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে কিন্তু আপনারা সুইজারল্যান্ডের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে আপনারা এই পদ্ধতিতে গেলে কিন্তু সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিতে পারবেন না এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা লাগবে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কিভাবে করা যায়।

সুইজারল্যান্ডের ভিসার দাম মূলত নির্ভর করে আপনি কি কাজে যাচ্ছেন এবং আপনি কোন মাধ্যমগুলোতে যাচ্ছেন সরকারিভাবে যদি যেতে পারেন তাহলে একেবারে কম খরচের মধ্যেই আপনারা যেতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনাদের সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জেনে নিতে হবে তাহলে চলুন সেভাবে আপনারা কি কম দামের মধ্যেই সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিতে পারবেন জেনে নেওয়া যাক।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

সুইজারল্যান্ডের কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে বাংলাদেশের সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি গুলো রয়েছে তাদের মাধ্যমে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন এক্ষেত্রে বছরের বিভিন্ন সময় তারা সুইজারল্যান্ডের কাজের ভিসা প্রদান করে থাকে। যে সমস্ত সরকারি এজেন্সি রয়েছে তা প্রত্যেকটি এজেন্সি সুইজারল্যান্ডের অনেক কোম্পানির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বছরের বিভিন্ন সময় তারা কাজের ভিসার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে পাঠায়।

তাছাড়া অনেকেই আছে সুইজারল্যান্ডে কাজ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অথবা বিভিন্ন ধরনের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানিতে গিয়ে যোগাযোগ করে তারা পরবর্তীতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে কনভার্ট করে নাই। এই পদ্ধতি গুলো একটু কঠিন হলেও কিন্তু আপনাকে অনেক টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগে এ ক্ষেত্রে আপনাদেরকে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত ভাবে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি।

মূলত সুইজারল্যান্ডে আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি সেখানে থাকে তাহলে সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়া আপনার কাছে অনেকটাই সহজ হবে। এক্ষেত্রে পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে যদি আপনারা ভিসার জন্য বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে নিন তাহলে কিন্তু আপনাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ হবে কেননা আপনার পরিচিত ব্যক্তি যদি ওই কোম্পানির মাধ্যমে একটা ভিসার ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই যাওয়া যায়।

সুইজারল্যান্ডে অনেক পরিচিত ব্যক্তি থাকলে তাদের মাধ্যমে আপনারা ওই কোম্পানির অধীনে একটি আবেদন করে আপনাকে দেশ থেকে নিয়ে যেতে পারবে এক্ষেত্রে একেবারে পরিচিত ব্যক্তি হওয়া লাগে আবার অনেক অপরিচিত আছে যারা কিনা আপনাকে টাকার বিনিময়ে এই ভিসা ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকে।

সুইজারল্যান্ডে যে কোন ব্যক্তির মাধ্যমে যদি ভিসার জন্য টাকা আদান-প্রদান করতে চান কখনো আগে টাকা আদান-প্রদান করবেন না এক্ষেত্রে আপনার পরিচিত ব্যক্তি হলেও এই বিষয়টা থেকে অনেকটাই পরে টাকা আদান প্রদান করার চেষ্টা করবেন কেননা অনেক অপরিচিত বা পরিচিত ব্যক্তিরা কিন্তু আপনার সাথে প্রতারণামূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে যেতে পারে।

তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই সুইজারল্যান্ডের কাজের ভিসা হাতে পাওয়ার পরে এবং অনলাইন থেকে অথবা এজেন্সি থেকে ভালোমতো যাচাই-বাছাই করে তারপরে টাকা প্রদান করার তা না হলে কিন্তু আপনি বড় অংকের টাকা নষ্ট করতে পারেন তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার খবর ২০২৩

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার খবর হল বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম চালু আছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে সফরর করার পরে পুনরায় আবার কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে আপনারা যেতে পারবেন বর্তমানে সরকারিভাবে বিএমইটি অথবা বুয়েসেলের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুযায়ী কিন্তু আবেদন সম্পন্ন করলে আপনারা সুইজারল্যান্ড এর কাজের ভিসা পাবেন।

তাই বলা যায় এই বর্তমান সরকার সফর করার পরে সুইজারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দিয়েছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কর্মীসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে উন্নতি করার জন্য সুইজারল্যান্ড আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা সংগ্রহ করার জন্য এবং খরচ সহ বিস্তারিতভাবে নিচে আমরা তুলে ধরেছি।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন

বর্তমানে সুইজারল্যান্ড এর কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এক্ষেত্রে সরকার নিবন্ধিত প্রত্যেকটি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা আবেদন সম্পন্ন করে রাখতে পারবেন। এই আবেদন প্রক্রিয়া মূলত নির্ভর করে বছরের বিভিন্ন সময়ে যে সমস্ত নিয়োগ আসে সেই নিয়োগের ওপর। আপনি যদি আগেই সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে নিয়োগ আসামাত্রই আপনাদেরকে অবগত করা হয়।

তাই আপনারা যদি সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিতে চান তাহলে অবশ্যই সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করে রাখবেন আবেদন করার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গুলো ফলো করতে পারেন নিচে আমরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক সহ বিস্তারিত তথ্য আরো তুলে ধরব।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র থাকা প্রয়োজন কি কি যোগ্যতা লাগবে এবং প্রয়োজনে কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন তার নিচে আমরা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরলাম।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা বেতন কত

সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসায় বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। সুইজারল্যান্ডে মূলত আপনি কি ধরনের কাজে নিয়োজিত আছেন তার ওপর বেতন নির্ভর করে আপনি যদি সাধারণত কর্মী হিসেবে সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যান তাহলে কিন্তু বেতন দেড় লক্ষ টাকা থেকে 2 লক্ষ টাকার মধ্যে হবে।

অথবা আপনি যদি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে 2 লক্ষ টাকার উপরে বেতন পাবেন তবে মনে রাখবেন ওই সমস্ত কোম্পানিতে কাজ করার জন্য কিন্তু অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দক্ষতা গুলো অবশ্যই থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশী এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যখন আপনারা যাবেন তখন কিন্তু এই বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে নিবেন আপনার বেতন কত এবং কি কি দক্ষতা লাগবে এবং আপনার কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট গুলো কি কি থাকা লাগে তাই এ বিষয়গুলো আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত।

সুইজারল্যান্ডের বেতন মূলত নির্ভর করে অভিজ্ঞতার ওপর এক্ষেত্রে আপনার যদি অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞতা দেখেই আপনার কিন্তু কাজ করতে হবে সেই সাথে অবশ্যই জেনে রাখবেন সেখানে যাওয়ার জন্য কিন্তু অবশ্যই ইংলিশ দক্ষতাটা থাকা লাগে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা থাকতে হবে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনি যখন কাজের ভিসা নিবেন তখন কিন্তু আপনাকে দক্ষতা হিসাবে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং আরও অন্যান্য বিষয়গুলো দেখানোর জন্যই মূলত কাগজপত্রগুলো অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে লাগে।

  • ৬ মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • ইংলিশ ভাষার উপর দক্ষতা তার প্রমাণ
  • পূর্বে কোথাও কাজ করে থাকলে তার প্রমাণ
  • নির্দিষ্ট কাজের উপর প্রশিক্ষণের সনদ
  • চেয়ারম্যান কর্তিক সত্যায়িত সনদ
  • ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি

এ সমস্ত কাগজপত্রগুলোতে যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে এবং আপনি পরবর্তীতে আবার ঠিক করার পরেই কিন্তু সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই অবশ্যই কোন ধরনের নামের ভুল এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যদি ডুপ্লিকেট থাকে তাহলে আবেদন না করাই ভালো।

সুইজারল্যান্ডে কি কি কাজ করা যায়

আপনি যদি সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন বর্তমানে বাংলাদেশেররা অনেকেই অনেক ধরনের কাজ করছে এ ক্ষেত্রে তারা কি কি কাজ করছে এবং কি কি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তা আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলাম।

সুইজারল্যান্ডের মূলত ড্রাইভিং, কৃষি কাজ, ফুড প্যাকেজিং, ডেভলপার, কনস্ট্রাকশন, ক্লিনিং ম্যান, কেয়ারিং ম্যান, সহ আরো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে এই সমস্ত কাজগুলো নিয়ে আপনারা সুইজারল্যান্ড কাজ করতে পারবেন। এই কাজগুলোতে বেতন আনুমানিকভাবে বেশি সাধারণত কর্মী হিসেবে গেলে আপনাদেরকে এই কাজই করা লাগবে।

বর্তমানে যারা কাজ করছে তারা মূলত এই কাজগুলোতে নিয়োজিত আছে এবং বেতন আনুমানিকভাবে বেশি পাওয়া যাচ্ছে সেই সাথে রেস্টুরেন্ট সহ আরো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে সেফ এর কাজ এই কাজগুলোতে বেশি মাত্রাই বাংলাদেশের মানুষ জন সেখানে গিয়ে করে থাকে তাছাড়া অনেকে বিজনেসের জন্য অনেক ধরনের বিজনেস করে থাকে।

বাঙালিরা মূলত অনেক ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকে সেখানে হোটেল ব্যবসাসহ আরো অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে দোকান এবং শপিংমল এ সমস্ত জায়গায় কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে কাজ করে থাকে তাই আপনারা যদি মনে করেন সুইজারল্যান্ডে গিয়ে কাজ বাদ দিয়ে কিভাবে বসে থাকা লাগবে তা কিন্তু সঠিক নয় এখানে অনেক কাজ এভেলেবল আছে।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০১৩

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসাপ্রথম পাতা
হোটেল কর্মীসুইজারল্যান্ড
কর্মী সংখ্যা১২ জন
অভিজ্ঞতাতিন বছরের
বেতন১ লাখ ৭০ হাজার
আবেদনের মাধ্যমবুয়েসেল
সুইজারল্যান্ড নিয়োগ তথ্যবিস্তারিত
বছরের বিভিন্ন সময় সুইজারল্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যারা রেস্টুরেন্ট কাজে অভিজ্ঞ তারা চাইলে আবেদন করতে পারেন এক্ষেত্রে অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা কিনা সুইজারল্যান্ডে গিয়ে তারা এ সমস্ত কাজগুলো করে থাকে সে সাথে শপিংমলসহ আরো অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে যেগুলোতে আপনারা গিয়ে কাজ করতে পারবেন।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় দক্ষতা

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা থাকতে হবে এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা পাশাপাশি অবশ্যই আই এল টি এস করা লাগবে তাহলে আপনি সুইজারল্যান্ড এর বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে আপনারা যেতে পারবেন। সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে আরো প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা থাকার প্রয়োজন আছে এ ক্ষেত্রে কি কি দক্ষতা থাকার প্রয়োজন নিশ্চয়ই বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

ইংলিশ ভাষার উপর অবশ্যই দক্ষতা অবলম্বন করতে হবে সেই সাথে আপনি সেই কাজে যাচ্ছেন অথবা যেই কোম্পানির কাজে যাচ্ছেন তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাদেরকে অভিজ্ঞ হতে হবে দেখা যাচ্ছে আপনি সেখানে রেস্টুরেন্ট কর্মী হিসেবে কাজ করছেন তাহলে আপনাকে এমন কোন অভিজ্ঞতা দেখানো লাগবে না কিন্তু টাইপিং সহ অন্যান্য কাজগুলোতে কাজ করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় দক্ষতা জরুরি।

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য আগে থেকেই ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করা সেইসাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় দক্ষতা গুলো ভালোমতো শিখে নেওয়া এক্ষেত্রে আপনাদেরকে ইংলিশ ভাষাসহ আই এল টি এস এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে তারপরে আপনি সুইজারল্যান্ডে যেতে পারবেন।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা সুযোগ সুবিধা

আপনি যদি সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে নানা রকমের সুযোগ সুবিধা পাবেন। আপনি যদি কোম্পানির মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে অনেক কোম্পানি আছে যারা কিনা আপনাকে যাতায়াত খরচসহ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারে আবার মূলত আপনি যদি নিজেই সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে যান তাহলে কিন্তু এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন না।

মূলত সুইজারল্যান্ডে অনেক পরিমাণ বেতন প্রদান করা হয় এক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে আপনাকে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নাও দিতে পারে। যে বেতন দেওয়া হয় তা অধিক পরিমাণ বেতন হওয়ার কারণে মূলত তারা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কম দিয়ে থাকে।

তবে আপনারা চাইলে কিন্তু সুইজারল্যান্ডে পার্মানেন্ট হওয়ার জন্য বা অথবা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত ঐ সমস্ত কোম্পানিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া এক্ষেত্রে আপনাদেরকে পরবর্তীতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এই সুযোগ-সুবিধা টা সব থেকে বড় সুযোগ পাওয়া যায় বলে মনে করা যাচ্ছে।

তাই প্রথম অবস্থায় আপনাদেরকে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হওয়া পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আপনারা সুইজারল্যান্ডে পার্মানেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং বেতনও কিন্তু আনুমানিকভাবে বেশি পাওয়া যায় এক্ষেত্রে কত টাকা বেতন পাওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরছি।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার দাম

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার দাম হল ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা তবে সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসার দাম কিন্তু নির্ভর করে মূলত আপনি কি ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন।

সুইজারল্যান্ড কাজের বেতন কত টাকা

সুইজারল্যান্ডে যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে যান তাহলে আপনি সেখানে বেতন পাবেন এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে আরো বেশি পরিমাণে যারা ভাল কাজ নিয়ে সুইজারল্যান্ডে আছে তারা মূলত দুই লক্ষ এবং এর বেশি পরিমাণেও বেতন তুলে।

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন

আপনি যদি সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিতে হবে তারপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে তারপরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনাকে অবগত করবে।

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *