সৌদি আরবের গার্মেন্টস ভিসা আবেদন, খরচ, বেতন

আজকের মূল আলোচ্য বিষয় হল সৌদি আরবের গার্মেন্টস ভিসা। কিভাবে আপনারা সৌদি আরবে যেতে পারবেন এবং সৌদি আরবে গার্মেন্টসের বেতন কত টাকা হয়ে থাকে। এবং সুযোগ-সুবিধা কি রয়েছে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছে আশা করি সম্পূর্ণ  আর্টিকেলটি পরলে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

বর্তমানে প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণ শ্রমিক কাজ করছে সৌদি আরবে তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকলেও অনেকেই কিন্তু গার্মেন্টস ভিসাতে সৌদি আরবে কাজে নিয়োজিত আছে। এবং বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি গার্মেন্ট সেক্টরে ও নতুন নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাচ্ছে তাই চাইলে যে কেউ বাংলাদেশি গার্মেন্টস গিয়ে সেখানে কাজে নিয়োজিত হতে পারবে।

সৌদি আরবে গার্মেন্টস ভিসাতে যেতে হলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে ট্রেনিং নিয়ে তারপরেই সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে হবে কেননা সৌদি আরবে গার্মেন্টস ভিসা কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পাশাপাশি আপনাকে একটি কাজের দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আবেদনপত্রের সাথে এটাস্ট করে দিতে হবে তারপরেই আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ এদের ক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ শ্রমিক ছাড়া কখনই কিন্তু সৌদি আরবে গার্মেন্টস সেক্টরে কাজে নিয়োজিত হতে পারবে না।

সৌদি আরবের কোনো গার্মেন্টস ভিসা

সৌদি আরবে কাজে নিয়োজিত হলে প্রথম অবস্থায় গার্মেন্টস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতার প্রমাণ স্বরূপ একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে হবে। অনেক সময় তিন বছরের এক্সপেরিয়েন্স অথবা দুই বছরের এক্সপেরিয়েন্স থাকার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে যখন কর্মী শংকর থাকে তখন মিনিমাম ছয় মাসের এক্সপেরিমেন্ট থাকতে হবে এমন ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

তাই আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গার্মেন্টস ভিসাতে গিয়ে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের বিএমআইটি অথবা ভয়েসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সৌদি আরবের গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

অথবা বাংলাদেশের যে সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে এই সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনারা বর্তমানে সৌদি আরবের গার্মেন্টস নিয়োগ আছে কিনা এবং কিভাবে যাওয়া যায় জেনে নিতে পারবেন।

তবে আপনি যদি কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাড়া সরাসরিভাবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে কিন্তু তারা আপনাকে বাংলাদেশ থেকে গাছ সংগ্রহ করে সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে তবে এক্ষেত্রে আপনাদের কে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনি গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ পাচ্ছেন কিনা এবং সেখানে কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন কিনা।

সৌদি আরবের গার্মেন্টস ভিসার দাম কত

আপনি যদি সৌদি আরবে গার্মেন্টস ভিসা পেতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে খরচ পড়বে তিন লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনারা যদি বিভিন্ন বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে তাদের সাথে ভালো মতো কথা বলে নিবেন যে তারা কত টাকা বেতন দিতে পারবে এবং কত ঘন্টা ডিউটি এবং পাশাপাশি অন্যান্য ওভারটাইমের সুযোগ সুবিধা আছে কিনা।

কারণ বর্তমানে যে সমস্ত কোম্পানি গুলো নিয়ে যাচ্ছে তারা সাধারণত কোন ধরনের ফাইনাল ডিসিশন কখনোই আগে জানায় না অথবা তাদের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলে না তাই অবশ্যই কত টাকা বেতন পাবেন এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং সুযোগ সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলো আপনারা জেনে নিবেন।

সৌদি আরবে গার্মেন্ট ভিসার অবস্থা

সৌদি আরবে নতুন নতুন গার্মেন্টস সেক্টর তৈরি হচ্ছে কারণ সৌদি আরবে পোশাক-আশাক সাধারণত মুসলিম কান্ট্রি গুলোর মধ্য থেকেই তৈরি করা হয়ে থাকে তাই সে দেশে বড় বড় পোশাক কারখানার মালিক নতুন নতুন গার্মেন্ট সেক্টর তৈরি করছে সেখানে ব্যাপকভাবে গার্মেন্টসকর্মীদের সংকট দেখা দিচ্ছে তাই বিভিন্ন দেশ থেকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে কাজে নিয়োজিত করছে।

তাই বলা যায় যে বর্তমানে সৌদি আরবে গার্মেন্টস কর্মীদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং সেইসাথে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য সেখানে গিয়ে গার্মেন্ট সেক্টরে কাজে নিয়োজিত হতে পারবে এবং পরিমাণ টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবে তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক আবেদন করার প্রক্রিয়া।

গার্মেন্টস ভিসাতে কিভাবে আবেদন করবেন

সৌদি আরবে গার্মেন্টস এর সাথে আবেদন করতে হলে অবশ্যই পড়বো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তা না হলে 6 মাস মেয়াদী একটু ট্রেনিং সার্টিফিকেট করতে হবে এর জন্য আপনারা বাংলাদেশে অবস্থিত টিটিসি কেন্দ্রগুলো থেকে করে নিতে পারবেন অথবা বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি রয়েছে তারা কিনা ট্রেনিং দিয়ে আপনাকে দক্ষ বানিয়ে তারপরেই সৌদি আরবে গার্মেন্টস ভিসা কাজে নিয়োজিত করতে পারবে।

তাইলে আপনি সরকারিভাবে করতে পারবেন অথবা বেসরকারিভাবে ঐ কাজটি করে নিতে পারবেন তবে সরকারি ভাবে করলে আপনার সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেইসাথে কম খরচের মধ্যেই গার্মেন্টস ট্রেনিং নিতে পারবেন।

আরো পড়ুন: মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন খরচ সহ বিস্তারিত তথ্য

ট্রেনিং সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে বেসরকারি এবং সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে গিয়ে আপনার আবেদন করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হলো। যেমন আপনার গার্মেন্টস কাজের উপর দক্ষতা, এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন, পূর্ব কাজ করেছেন তার প্রমাণ, বেতন রশিদ এর ফটোকপি, যে কোম্পানিতে কাজ করেছেন তার একটি প্রত্যয়ন পত্র।

সৌদি আরবে গার্মেন্টস কাজে বেতন কত

সৌদি আরবে 30 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 55 হাজার টাকা পর্যন্ত তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ওভারটাইম সহ ধরা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে নানা রকমের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে যেমন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং আপনার যাতায়াত খরচ সহ আরো কিছু খরচ বহন করে থাকে পাশাপাশি ঈদের জন্য বোনাস।

তবে এক্ষেত্রে দক্ষতার ভিত্তিতে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে বেতন বৃদ্ধি করা হয় এবং পাশাপাশি আপনি যখন পুরাতন কর্মী হিসেবে বিবেচিত হবেন তখন কিন্তু আপনার বেতন বৃদ্ধি করা হবে এবং সেইসাথে আপনার কাজের দক্ষতার পদোন্নতি ও করা হয়।

তাই কেউ যদি সৌদি আরবে গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে কাজে যেতে চায় তাহলে অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট এবং কাগজপত্র প্রয়োজন তা সম্পূর্ণ ঠিকঠাক ভাবে পূরণ করার পরেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

মন্তব্য

সৌদি আরবের ভিসা কেন্দ্রিক যাবতীয় বিষয়গুলো অবশ্যই দক্ষতার সাথে বাছাই করবেন। কেননা সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে অনেক ধরনের দুই নম্বরি  কার্যকলাপ চালু আছে। যারা অবুঝ কোন ব্যক্তি রয়েছে বা পড়াশোনা একটু কম জানে তাদের ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা অথবা ওমরা ভিসা হাতে ধরিয়ে দিতে পারে এক্ষেত্রে আপনার কাছে কিন্তু কাজের ভিসা সৌদি আরবের গার্মেন্টস ভিসা বলে চালিয়ে দিতে পারে।

তাই আপনি ভিসাটি হাতে পাওয়ার পরে অবশ্যই অনলাইন থেকে চেক করে নিবেন অথবা সৌদি আরবে অবস্থান করে এমন কোন ব্যক্তির মাধ্যমে আপনার ভাষাটি সেভ করে নিতে পারবেন।

যদি এইভাবে আপনি চেক করতে না পারেন তাহলে যেকোনো একটি ভিসা অফিসের মাধ্যমে অথবা বাংলাদেশের সরকারি নিবন্ধিত যে দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বুয়েসেল এবং বিএমইটি এই দুইটার মধ্যে যোগাযোগ করে আপনারা ভিসা চেক করে নিতে পারেন।