বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের সকল ফ্লাইট কার্যক্রম এখন পর্যন্ত চালু আছে। তবে করণা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকার পরে ২০২১ সালে চালু করার পরে এখন পর্যন্ত চালু আছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত শ্রমিকগণ সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে কাজে যেতে চাচ্ছে তারা কাজের ভিসা করে যেকোনো সময় সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে।
ওমরা হজ করার জন্য এখন সৌদি আরবের বিমান চালু আছে পাশাপাশি কাজের ভিসা সহ অন্যান্য কাজের জন্য সৌদি আরবের ফ্লাইট চালু আছে তাই চাইলে যে কেউ ওমরা করার জন্য যেতে পারবে অথবা কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবে।
সৌদি আরবের ফ্লাইট কবে খুলবে
সৌদি আরবের ফ্লাইট চালু আছে যখন বন্ধ ছিল তখন করোনাকালীন সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক থাকার কারণেই সকল ধরনের ফ্লাইট কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে কঠিন কোনো পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত পুনরায় চালু থাকবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই সৌদি আরবের ফ্লাইট নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া যাচ্ছে যারা ওমরা করার জন্য দেশ থেকে সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছে তারাও যেতে পারবে অথবা যারা কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে চাচ্ছে তারা চাইলে সৌদি আরবে যেতে পারবে বিমান এর মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা-কোন কোম্পানির বেতন বেশি
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের ফ্লাইট
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের সকল ফ্লাইট কার্যক্রম চালু আছে। এই ক্ষেত্রে কাজের ভিসার জন্য অথবা ওমরা করার জন্য অথবা ফরজ হজ পালন করার জন্য সকল ভিসা এবং ফ্লাইট কার্যক্রম চালু আছে। গোটা বিশ্বেই এখন সব ধরনের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে তবে করোনা মহামারী এখন পর্যন্ত নির্মূল করা সম্ভব না হলেও সমস্ত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ফ্লাইট কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে আপনি যখন বিমান টিকিট কাটবেন তার আগে কিন্তু আপনাকে করণা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছেন তার একটি প্রমাণ হিসেবে আপনাকে ম্যাসেজ অথবা আপনার সার্টিফিকেট দিয়ে দেখাতে হবে। তারপরেই আপনি আপনার বিমান টিকিট কেটে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য নিশ্চিত হতে পারবেন।
সৌদি আরবের বিমান চলাচলের খবর
সৌদি আরবের বিমান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। সৌদি আরব থেকে এখন সকল দেশের ফ্লাইট কার্যক্রম আগের মতই পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে করণা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার বিষয়ে দেখভাল করা হচ্ছে। তাই করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে অন্য কোন দেশে যেতে পারবেন না অথবা সৌদি আরবে ঢুকতে পারবেন না।
করণা ভ্যাকসিন থাকলে তারপরে আপনি সৌদি আরব থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। তাই বলা যাচ্ছে যে সৌদি আরব থেকে সকল রুটের বিমান চলাচল আগেই মতোই চলাচল করছে। এক্ষেত্রে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোতে যেতে পারবেন কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই।
করণা মহামারীর পর থেকে সৌদি আরবের বিমান বিমান ভাড়া আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছেব। সৌদি আরব থেকে যে কোন দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন বিমান ভাড়া অনুযায়ী যাত্রীরা যাতায়াত করছে। বর্তমানে জ্বালানির দাম আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরবের বিমান ভাড়া সংক্রান্ত জানতে হলে সৌদি আরবের অফিশিয়াল বিমান সেবা ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ড্রাইভিং 2022 নতুন ভিসা
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব ৪,৫৮৪ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য আমরা কয়েকটি মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি তার মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হলো বিমান ব্যবস্থার মাধ্যমে। আগের সময়ে এই ৪,৫৮৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেও সেখানে হজের উদ্দেশ্যে মানুষ পাড়ি জমিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত ঘন্টা লাগে
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে সময় লাগে ৬ ঘন্টা। এক্ষেত্রে যাত্রাপথে যদি কোন রকমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে তাহলে ৮/১০ সময় বেশি লাগতে পারে। কেননা যাত্রাপথে অন্যান্য জায়গায় যদি বিমান ল্যান্ড করাই তাহলে কিছু সময় বেশি লাগার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরব রেস্টুরেন্ট ভিসা ২০২২ আবেদন প্রক্রিয়া
সৌদি আরবের ফ্লাইট কি বন্ধ
না, শুধুমাত্র করণা মহামারীর কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে খুলে দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ করা হয়নি। তাই আশা করা যাচ্ছে কোন ধরনের সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরবের ফ্লাইট কার্যক্রম বন্ধ হবে না। তাই চাইলে যে কেউ সৌদি আরবের বিমান টিকিট কেটে খুব সহজেই সৌদি আরবে যেতে পারবে এবং উমরা এবং কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে যেয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।