আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত

আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত
আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত

মেরিকাতে এক ঘন্টায় একজন কর্মীর সর্বনিম্ন বেতন ৭.৩৩ আমেরিকান ডলার। আমেরিকায় একজন কর্মীর সর্বনিম্ন মান্থলি বেতন ১১৬০ আমেরিকান ডলার। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকাতে কিন্তু দ্বিগুণ হারে কর্মীদের বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে উন্নত দেশ হলো আমেরিকা।

অন্যান্য দেশের তুলনায় বর্তমানে আমেরিকাতে অনেক পরিমাণ বেশি বেতন পাওয়া যায় এছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে রয়েছে যারা আমেরিকার থেকেও বেতন বেশি প্রদান করে যেমন এগুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিতভাবে অন্যান্য কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরবো আজকে শুধুমাত্র আমরা আমেরিকার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানাবো।

বর্তমানে আমেরিকাতে যে কোন কাজেরই বেতন কিন্তু আগের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কেননা 2022 সালের দিকেও আমেরিকাতে বেতন ৫. ২৫ এর মত বেতন পার আওয়ার প্রদান করা হতো কিন্তু এখন সেটি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭.৩০ পর্যন্ত। তাই বলা যায় আমেরিকাতে একজন কর্মীর মাসিক বেতন ১১৬০ ইউএসডি।

আমেরিকাতে কাজের বেতন কত

আমেরিকাতে কাজবেতন
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার১৪১ হাজার ডলার
নিউরোলজিস্ট২৬৭ হাজার ডলার
নার্স২০০০ হাজার ডলার
ডেন্টিস১৭৫ হাজার ডলার
কম্পিউটার সিস্টেম ম্যানেজার১৬২ হাজার ডলার
চিপ এক্সিকিউটিভ২৬০ হাজার ডলার
টিচার২৩৪ হাজার ডলার
ইয়োগাটেইনার২১৩ হাজার ডলার
কোচ২০৭ হাজার ডলার

আমেরিকাতে বেতন বেশি এমন কিছু কাজের বিষয়ে আমরা এখানে তালিকা তুলে ধরেছি বর্তমানে আমেরিকাতে এই কাজগুলোতে বেতন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এখানে বেতন বেশি এমন ১০ টি কাজের বিষয়ে আমরা তুলে ধরেছি পর্যায়ক্রমে আরো অন্যান্য কাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আমাদের এই কমেন্টে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ | আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

আমেরিকাতে অন্যান্য কাজের তুলনায় এই কাজগুলোতে বেতন বেশি থাকে তবে নরমালি যারা ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করবে তাদের বেতন কিন্তু ঘন্টায় সাত ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত প্রদান করা হয়ে থাকে ক্ষেত্রে কিন্তু টিপস সহ তারা কাজের বেতন প্রদান করে তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে আমরা বেসিক বেতন বা অন্যান্য বেতন সম্পর্কে জেনে নেই।

আমেরিকাতে বেসিক বেতন কত

আমেরিকাতে একজন কর্মীর বেসিক বেতন ১ হাজার ২২৩ ডলার। মাসিক ভাবে একজন কর্মী এভারেজ বেতন ১ হাজার ২২৩ ডলার ইনকাম করার সুযোগ পাই। এটি এভারেজ বেতন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে তবে কাজের বেতন কিন্তু ভিন্ন রকম এখানে হাই লেভেলের কাজের বেতন এবং লো মানের কাজের বেতন একত্রে করে এই গড় অ্যাভারেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আমেরিকাতে সাধারণত কাজের বেতন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে এক্ষেত্রে নরমাল ওয়ার্কারদের বেতন এবং ডেভলপার বা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। বিশ্বের বেতন বেশি ১০ টি তালিকার মধ্যে আমেরিকা অন্যতম তার মধ্যে যাদের স্ক্রিল এবং ডেভেলপমেন্ট বা আইটি রিলেটেড কাজের সাথে জড়িত তাদের কিন্তু বেতন বেশি প্রদান করা হয় থাকে।

আরো পড়ুনঃ  দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন এবং দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ কতদিন

তাই যারা আমেরিকাতে গিয়ে ভালো কাজে নিয়োজিত হতে চাচ্ছেন এবং ভালো বেতনে কাজ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আইসিটি রিলেটেড কাজগুলোতে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভালো বেতনে চাকরি করার সুযোগ পাবেন তবে আমেরিকাতে একজন যে কোন কর্মীর বেতন কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

আমেরিকাতে সর্বোচ্চ বেতন কত

আমেরিকাতে একজন ইঞ্জিনিয়ার এর এক মাসের সর্বোচ্চ বেতন ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ডলার। এটাই এখন পর্যন্ত সবথেকে বেশি বেতন নির্ধারিত আছে। তাছাড়া ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য দের বেতনও কিন্তু বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে তাই সর্বোচ্চ বেতন হিসাবে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ডলার ধরা হয়েছে।

আমেরিকাতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং টিচারদের বেতন বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে তবে সব থেকে বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের। এদের বেতনই হলো তো দেড় লক্ষ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন কোম্পানি এবং তাদের রুলস অনুযায়ী অভিজ্ঞ কর্মীদের বেতন বেশি প্রদান করতে বাধ্য থাকে।

আজকে আমরা এখানে তুলে ধরেছি আমেরিকাতে সর্বোচ্চ বেতন কত এবং সর্বনিম্ন বেতন কত এই নিয়ে পর্যায়ক্রমে আপনারা আমেরিকার বেতন সম্পর্কে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আমাদের এই ইউএসএ জব সার্কুলার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

আমেরিকায় ইনকাম কেমন

আমেরিকাতে একজন সাধারণ কর্মীর ইনকাম মান্থলি ১২০০ ডলার পর্যন্ত। এ ছাড়া যদি ভালো দক্ষতা অর্জন করে আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে কাজ করা যায় তাহলে কিন্তু এভারেজ বেতন আরো বেশি। তাই এক কথায় বলা যায় আমেরিকায় ইনকাম অনেক ভালো। তবে ভালো ইনকাম নেওয়ার জন্য অবশ্যই দক্ষতা জরুরী এক্ষেত্রে যদি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডেন্টিস্ট এ বিষয়ে পড়ালেখা করে সেখানে কাজে নিয়োজিত হতে পারে তাহলে বেতন বেশি পাওয়া যায়।

অন্যান্য দেশের তুলনাই কিন্তু আমেরিকাতে বেতন বেশি এটা সবাই জানে সেই সাথে জার্মানি পর্তুগালসহ আরো অনেক রাষ্ট্র আছে যেগুলাতে বেতন বেশি তাই বিশ্বের সবথেকে বড় দেশ আমেরিকা এবং সেখানে বেতন কম হবে এমন কোন প্রশ্নই আসে না সেখানে দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেতনও কিন্তু বেশি প্রদান করছে।

আরো পড়ুনঃ  সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো ২০২৩ (বেশি বেতন)

আপনারা অনেকেই জানেন আমেরিকাতে যাওয়ার কিন্তু ভিন্ন রকম এবং খরচ বেশি হয় এ ক্ষেত্রে কিন্তু দক্ষ জনবল তৈরি করার জন্য তাদের বেতন বেশি প্রদান করে থাকে এক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কিন্তু তারা আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয় সেই সাথে বেতন বেশি প্রদান করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকে।

আমেরিকায় কোন কাজে বেতন বেশি

আমেরিকাতে সবথেকে বেতন বেশি কাজ হল সফটওয়্যার ডেভলপারের বর্তমানে এদের বেতন ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ডলার বেতন পাই একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যেক বছরে। তাই বলা যায় সব থেকে এই কাজে বেতন বেশি।

আমেরিকাতে কোন কাজের বেতন কম

আমেরিকাতে সবথেকে কাজের বেতন কম হলো নরমাল ওয়ার্কার দিয়ে এক্ষেত্রে যারা ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার অথবা শপিং মল এগুলোতে কাজ করে এখানে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করা যায় এবং কম বেতনের মধ্যেই খুব সহজেই ভালো মানের কাজ পাওয়া যায়। এই কাজগুলোতে করতে তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না দেখে কিন্তু এগুলোর বেতন কম।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *