আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩-আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ও খরচ

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩ নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে এই কনটেন্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। যেমন, আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার খরচ কত, আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং, আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ, আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে, আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় আরো অন্যান্য তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩

আপনারা সকলেই জানেন আমেরিকা একটি উন্নত রাষ্ট্র। আমেরিকা কে অনেকেই স্বপ্নের দেশ মনে করে থাকেন। আপনি আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ২০২৩ সালে যেতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসা দিয়ে আপনারা ২০২৩ সালের কম খরচে আমেরিকা ভিজিট করতে পারবেন। আমেরিকাতে অনেক স্থান রয়েছে যেগুলোতে প্রতিবছর নতুন নতুন ভিজিটর এসে থাকেন সেই স্থানগুলোতে।

বর্তমান সময়ে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো দেশের যে কোন তথ্য খুব সহজে জানতে পাবেন। তেমনি আপনারা অনেকেই আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে জানতে চান। মূলত তাদের জন্যই আজকের আমাদের এই কন্টেন্ট সাজানো হয়েছে। আপনারা এখান থেকে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা খরচ কত

আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে খরচ হয় প্রায় ২৫০ আমেরিকান ডলার। আমেরিকান ভিসা খরচ ১৫০ আমেরিকান ডলার থেকে শুরু করে ২৫০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকেন বা তার কিছু বেশি। এটা শুধুমাত্র ভিসা খরচ। আপনি যদি আমেরিকাতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার মোট খরচ হবে প্রায় তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। আমেরিকার টুরিস্ট ই ভিসার জন্য খরচ হবে প্রায় ২০৬ ডলারের মত।

যারা সাধারণ অধিবাসী তাদের ভিসার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ ডলার। ভিসা খরচ আমরা নিম্নে টেবিলের মাধ্যমে আলোচনা করলাম এখান থেকে আপনারা বিস্তারিত তথ্য দেখে নিতে পারবেন। এখানে আলাদাভাবে প্রত্যেকটা টুরিস্ট ভিসার জন্য খরচ দেখতে পাবেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা খরচ
ভিসা টাইপভিসা খরচ
বিজনেস/টুরিস্ট b১৬০ ডলার
ট্রানজিট c-1১৬০ ডলার
স্টুডেন্ট f১৬০ ডলার
স্টুডেন্ট ভোকেশনাল m১৬০ ডলার
এক্সচেঞ্জ ভিজিটরস j১৬০ ডলার
ভিকটিম অফ ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি u১৬০ ডলার
অ্যাটলেক্স/ আর্টিস্ট p১৬০ ডলার

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগতে পারে প্রায় তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত। এই ভিসার মেয়াদকাল হয়ে থাকে প্রায় ৬ বছর। ৬ বছর পর আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তখন আপনি আবার চাইলে পরবর্তীতে রিনিউ করে নিতে পারবেন। আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা রিনিউ করতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ থেকে দশ দিন। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় তাছাড়া আপনি ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে পারবেন না।

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য যাবতীয় ডকুমেন্টস আমরা আমাদের কন্টেন্টের আলোচনা করব। সেই সাথে আপনারা কোন এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করবেন সেই সংক্রান্ত তথ্য গুলো আজকে জানতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  দুবাই ভিসা চেক করার সহজ নিয়মে ( এক ক্লিকেই )

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি ভ্রমণ প্রিয় একটি মানুষ। আরো আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে যে আপনি আমেরিকাতে গিয়ে আবার আমেরিকা থেকে ফিরে আসতে পারবেন। ইন্টারভিউতে আপনাকে আরো জিজ্ঞেস করতে পারে আপনি কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন কেন যাচ্ছেন ইত্যাদি সম্পর্কে। তারা আপনার সমস্ত বায়োডাটা চেক করবে।

আমেরিকার বিরুদ্ধে আপনার কোন পোস্ট বা কোন কিছু পেলে আপনি আমেরিকাতে যেতে পারবেন না। বৈধ পন্থায় আপনি আমেরিকা যেতে পারবেন তবে যদি অবৈধ পন্থা অবলম্বন করতে চান তাহলে আপনি কখনো আমেরিকা যেতে পারবেন না। ইন্টারভিউ মূলত যে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে যাচ্ছে তাকে যাচাই-বাছাই করে নেয়।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেতে কত দিন লাগে

আমেরিকা টুরিস্ট হিসেবে তে সর্বোচ্চ সময় লাগে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত। তিন সপ্তাহ থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে। এই সময়ের মধ্যে আপনার আবেদন যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। টুরিস্ট ভিসায় ক্ষেত্রে অন্যান্য ভিসার মত বেশি সময় এর প্রয়োজন হয় না। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আমেরিকাতে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যেগুলো ছাড়া আপনি কখনোই আমেরিকাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আমেরিকা একটি উন্নত রাষ্ট্র যে কারণে এই দেশের সিকিউরিটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। অবৈধ পথে কেউ আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে যাতে সর্বনিম্ন ছয় মাস বা তার বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
  • সদ্য তোলা ছবির প্রয়োজন হবে।
  • এনআইডি কার্ড।
  • মেডিক্যাল রিপোর্ট।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • করোনার টিকা কার্ড।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
আরো পড়ুনঃ  কানাডা কাজের ভিসা ২০২৩, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আপনারা এজেন্সের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। অথবা আপনারা অনলাইনে নিজে নিজে আবেদন করে ও আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন। টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এবং অন্যান্য তথ্য প্রয়োজন হতে পারে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই বৈধ পন্থা অবলম্বন করে সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে আপনি আবেদন করার পর তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন। এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনি যে কোন এজেন্সির মাধ্যম দিয়ে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইন এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ে সব কিছু করা সম্ভব। সুতরাং আপনি যদি অনলাইনে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজে নিজেই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপরে আপনি আপনার ডকুমেন্ট এবং যোগ্যতা দিয়ে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশি কিছু এজেন্সি আছে তাদের মাধ্যমেও আপনারা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এই ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে।

আরো পড়ুনঃ  আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যে সকল যোগ্যতার প্রয়োজন হয় তা আমরা আপনাদের সঙ্গে নিজে আলোচনা করলাম। এখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন আমেরিকা টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে।

  • যে উদ্দেশ্যে আপনি আমেরিকা যাবেন তা কতদিনের জন্য কিসের জন্য তা প্রমাণ করতে হবে।
  • আপনি কতদিন এর জন্য টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে।
  • আপনি যতদিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন ততদিন আপনার খরচ বহন করার মত সামর্থের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
  • ইংলিশ বিষয়ে সামান্য পরিমাণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি একেবারে ইংলিশ না বোঝেন তাহলে আপনার টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা এজেন্সি

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের যে কোন এজেন্সি থেকে আবেদন করা যাবে। অথবা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ও আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এজেন্সির মাধ্যমে করলে আপনি দ্রুত সময়ে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। আর আপনি যদি নিজে নিজে সবকিছু করে থাকেন তাহলে আপনার কিছু সময় বেশি রাখতে পারে। আপনি আমেরিকান টুরিস্ট ভিসার জন্য এজেন্সি সাহায্য নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  কুয়েত মাজরা ভিসা, কুয়েত খাদেম ভিসা, কুয়েত হোটেল ভিসা

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা আপনারা যে কোন এজেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই পেতে পারেন যদি আপনি টুরিস্ট ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস এবং যোগ্যতার পর্যন্ত তা আপনার থাকে। অথবা আপনি নিজে নিজে অনলাইনের মাধ্যমে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার যদি আবেদন প্রক্রিয়া সঠিক থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। আমেরিকায় একটি উন্নত রাষ্ট্র যে কারণে সকলে এই দেশে প্রবেশ করতে পারে না। প্রবেশ করার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা
                                          আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা

দেশের বাহির থেকে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা

দেশ এবং দেশের বাহির থেকেও আমেরিকা আপনি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারেন। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে যে কোনো দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার জন্য আপনার যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে অথবা যে সকল যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তার সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং আপনি আপনার বৈধ সকল তথ্য দিয়ে আবেদন করে আপনি দেশের বাইরে থেকেও আমেরিকা টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  অস্ট্রেলিয়ান ব্লগারকে উত্ত্যক্ত করা কে সেই চাচা জেনে নিন

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সতর্কতা

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত। যে কোন বিষয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। তা না হলে আমরা অনেক সময় বড় কোন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। মনে করেন আপনি একটি এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

ভিসা চেক না করেই। যদি সেই এজেন্সিটি অবৈধ হয় তাহলে আপনি বড় কোন রকমের সমস্যা সম্মুখীন হবেন। তাই আমাদের সকল ক্ষেত্রেই সতর্ক থাকা জরুরী। নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে যাবার ক্ষেত্রে তো আরো গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাছাড়া বিদেশের মাটিতে আমরা বড় কোন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি।

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ | আমেরিকা কাজের ভিসার দাম কত

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *