আমেরিকা দেশটির নাম শুনলে অনেকের মনে ভেসে ওঠে নতুন নতুন স্বপ্ন। অনেকেই চাই আমেরিকায় পারি জমিয়ে নিজের স্বপ্নগুলোকে জাগ্রত করবে। সত্যিই তাই। এশিয়া মহাদেশের হাজারো তরুণ আমেরিকা মহাদেশে গিয়ে নানা ধরনের কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত হয়ে বিপুল পরিমাণে রেমিটেন্সে দেশে পাঠাচ্ছে। যা দিয়ে দেশ এবং পরিবার সমৃদ্ধ হচ্ছে। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং নিয়ে তৈরি করা। আমেরিকার ভিসা প্রসেস করতে চাই, তাদের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন আসে, এ সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকে আমাদের এই কন্টাক্টটি সাজানো হয়েছে, তাহলে আসুন আপনার স্বপ্নের দেশের প্রসেসিং নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং
আমেরিকান ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে যে কথাগুলো সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সেগুলো হলো: কিভাবে আমেরিকা ভিসা আবেদন করতে হয়? আমেরিকা ভিসা আবেদন করতে হলে কোন জিনিসগুলোর বেশি প্রয়োজন? কত টাকা প্রয়োজন হয় আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং করার জন্য? আমেরিকা ভিসা প্রদান করার আগে মেডিকেল করার প্রয়োজন আছে কি? এরকম অনেক রকম প্রশ্ন থাকে একজন মানুষের মনে।
আজকে আমরা আমাদের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের কনটেন্টের মাধ্যমে আজকে আপনারা এ সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আমাদের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন আমার এটাই লটারির মাধ্যমে ভিসা পাওয়া যায় কিনা যদি পাওয়া যায় তাহলে কোন রিকোয়ারমেন্ট গুলো প্রয়োজন হয় কোন প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি আমেরিকা প্রেসার প্রসেস করতে চান তাহলে আপনার জন্য আমাদেরকে এই কনটেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ
আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ কথাটির সঙ্গে আমরা অনেকে পরিচিত। ভিসা প্রদান করার আগে অবশ্যই ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তবে অনেকেই ইন্টারভিউ কথাটিও অনেক বেশি কঠিন করে ভেবে থাকে। ইন্টারভিউ কথাটি অনেক কঠিন করে ভেবে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এটা বলতে বোঝাই সাক্ষাৎকার। অর্থাৎ যারা আপনাকে ভিসা প্রদান করবেন তারা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। তারা আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার পর যদি আপনার ভেতরে কোন অনৈতিক এবং বিকৃত মস্তিষ্কের কোন অঙ্গভঙ্গি দেখে তাহলে আপনাকে অবশ্যই দেওয়া থেকে বিরত রাখবে।
তবে আপনি যদি একজন স্বাভাবিক সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমেরিকা ভিসা প্রদান করবে। তাই ভিসা ইন্টারভিউ নিয়ে এতটা ভীত হওয়ার কিছু নেই। ইন্টারভিউ মঞ্চে অতিরিক্ত কঠিন কোন প্রশ্ন করা হয় না। আপনি কেন আমেরিকাতে যাচ্ছেন আপনার উদ্দেশ্য কি এবং আমেরিকা থেকে এসে কি করতে চান এসকল বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে শুধু তারা এটা বোঝার চেষ্টা করে যে আপনি একজন স্বাভাবিক মানুষ।
আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২৩
আমেরিকাতে যাওয়ার নানাবিধ উপায় রয়েছে তবে ২০২৩ সালে এসে অবৈধ যে উপায়গুলো ছিল সেগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও যারা আমেরিকা যাওয়ার জন্য মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসতো তাদেরকে ধীরে ধীরে আইনের আয়তায় আনা হচ্ছে। তবে অনেকেই মনে করত ২০২৩ সালের প্রথম দিকেই লটারির মাধ্যমে আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ মিলবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন লটারি প্রকাশ করেননি, যদিও আশা করা যায় খুব শীঘ্রই একটি লটারি প্রকাশ করতে পারে। তবে আমেরিকা যেতে হলে বাংলাদেশে অনেক এজেন্সিগুলো রয়েছে সেখান থেকে আসল রিক্রুটমেন্ট জমা দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে আমেরিকা পৌঁছাতে পারবেন।
আমেরিকা ভিসা আবেদন
আমেরিকা ভিসা আবেদন জটিল কোন বিষয় নয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির অভাব ব্যবহারের ফলে ভিসা কার্যক্রম অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে আমেরিকা ভিসা আবেদন করাটা খুবই সহজ বিষয়। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আমেরিকা ভিসা আবেদন করা সম্ভব।
তবে মাথায় রাখতে হবে অনলাইনে আবেদন করার সময় বেশ কিছু কঠিন ধাপ রয়েছে। আপনার যদি অনলাইনে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকে তাহলে অনলাইন থেকে আমেরিকা ভিসা আবেদন না করাটাই উত্তম। এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি বাংলাদেশের যে কোন এজেন্সি থেকে আমেরিকা ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে বেসরকারি এজেন্সিগুলোর আবেদন করার থেকে সরকারি বোয়েসেল নিবন্ধিত এজেন্সি থেকে আবেদন করার অনেক বেশি ভালো
আমেরিকা ভিসা খরচ
বর্তমানে আমেরিকাতে ভিসা খরচ ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। হয়তো আপনার মনে এখন প্রশ্ন আসছে টাকার ব্যবধানটা এত বড় কেন? প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় আমেরিকাতে অনেক ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়। আপনি কোন ক্যাটাগরিতে আমেরিকা ভিসা পেতে চান সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার ভিসা খরচ।
স্বাভাবিকভাবে বলা যায় একজন শ্রমিক ভিসার খরচ যেমনটা হতে পারে তার থেকে বিজনেস ভিসাটা অবশ্যই আলাদা হবে। তবে ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয় আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য।
আমেরিকা ভিসা কত টাকা
আমেরিকান ভিসা আবেদন করার জন্য ১৬,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেগে থাকে। ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে টাকার ব্যবধানটা গড়ে ওঠে। তবে বলা বাহুল্য যে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকা ভিসা খরচ একটু বেশি হলেও এটি দ্রুত এবং ঝামেলা মুক্ত পাওয়া সম্ভব।
আপনারা হয়তো অনেকেই অনেক ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব ভিজিট করে দেখেছেন যে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে আমেরিকা ভিসা আবেদন করা যায়। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা সঠিক দেখেছেন তবে, আপনারা যে নিউজগুলো দেখেছেন সেগুলো ২০২০ ,২১ অথবা ২২ সালের। যেগুলো পূর্বের বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে করা হয়েছিল। তবে সম্প্রীতি ২০২৩ সালে এসে অনেক কিছুই আপডেট করা হয়েছে। তাই বলা বাহুল্য যে বর্তমানে আমেরিকা ভিসা আবেদন করার জন্য ১৬০০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।

আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকা ভিসা পাবার যোগ্যতা সম্পর্কে বলা যায় যে আমেরিকাতে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসা পেতে চান সেটার উপর নির্ভরশীল। কারণ ভিসার যোগ্যতা বলতে বোঝায় এজেন্সি রিকোয়ারমেন্ট। আপনি কোন ধরনের ভিসা নিতে চান সেটার উপর সেই এজেন্সি গুলো আপনাকে কিছু রিকোয়ারমেন্ট প্রদান করবেন। উক্ত রিক্রুটমেন্ট গুলি যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে আপনি আমেরিকা ভিসা পাবেন। এবং আপনার কাছে এসে গুলি থাকাটাই হচ্ছে আমেরিকা ভিসা পাবার যোগ্যতা।
মনে করে একজন মানুষ আমেরিকায় শ্রমিক ভিসা নিতে চাচ্ছে, তাহলে শ্রমিক ভিসার জন্য যে সকল রিকোয়েন্টমেন্ট এজেন্সি থেকে চাওয়া হবে সেগুলোর সাথে কখনোই স্টুডেন্ট ভিসা রিকোয়ারমেন্ট গুলো মিলবে না। তাই পরিশেষে বলা যায় যে কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন সেটার উপরে নির্ভর করবে আপনার ভিসার যোগ্যতা।
আমেরিকা ভিসা লটারি
আমেরিকার ভিসার জন্য প্রতিবছর লটারির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়ে থাকে। যদিও ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত কোন লটারি প্রকাশ করা হয়নি। আমেরিকার লটারির মাধ্যমে নানারকম ভিসা প্রকাশ করা হয়।। তবে শুধুমাত্র শ্রমিক ভিসার ক্ষেত্রে লটারি করা হয়। আমেরিকান ভিসা লটারি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সেই ক্যাটাগরির রিকোয়ারমেন্ট সম্পন্ন পূরণ করতে হবে।
যে কেউ আমেরিকা ভিসা লটারি জন্য আবেদন করতে পারবে না। তবে কোন কাজের উপর বিশেষভাবে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে তারা আমেরিকা ভিসা লটারিতে আবেদন করতে পারে। তবে আমেরিকায় ভিসা লটারির মাধ্যমে অতিরিক্ত মানুষ সুযোগ পায় না। লটারির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সুযোগ দেওয়া হয় দক্ষিণ কোরিয়াতে। যদি লটারির মাধ্যমে বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়ার যেতে হবে।
আমেরিকা ভিসা আবেদন ফরম
আমেরিকা ভিসা আবেদন ফরম আপনারা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে বিশেষভাবে বাংলাদেশ বোয়েসেল কিন্তু সরকারি নিবন্ধিত এজেন্সি গুলো থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ প্রতারণার ঝুঁকি কম থাকে। এছাড়া আমেরিকার ভিসার জন্য আপনারা খুব সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে আমেরিকা ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে।
আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা
ইমিগ্রেশন ভিসা বলতে আমরা সাধারণভাবে যেটা বুঝি সেটা হল আমেরিকায় অবস্থিত কোন নাগরিকের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া। এক কথায় বলতে গেলে আমরা যেটাকে বলি সত্যায়িত করা। অর্থাৎ আপনার ভিসাটি আমেরিকার বংশধর গণনাগরিকের কাছ থেকে সত্যায়িত করার নিয়মকে বোঝায়। কেবলমাত্র আমেরিকা নাগরিকদের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে তা কিন্তু নয়, সব থেকে পাঁচ বছর স্থায়ী কোন প্রবাসীর কাছ থেকেও এবং সত্যায়িত করে নিতে পারবেন। সত্যায়িত শব্দটি দিয়ে আমরা আপনাদেরকে সহজ ভাষায় বোঝালাম। তবে এ বিষয়টিকেই আমেরিকা ইমিগ্রেশন বলে।
আমেরিকা ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কার মত একটি দেশে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ডকুমেন্টস প্রদর্শন করা লাগবে। কারণ বিশ্বের যে দেশগুলোতে সবথেকে সিকিউরিটি শক্তিশালী তাদের মধ্যে অন্যতম হলো আমেরিকা। তাই আমেরিকা ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর তালিকা আমার নিচে তুলে ধরেছি।
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম। আপনি কোন ধরনের ভিসা করতে চাচ্ছেন সেটার উপর একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হয়। অবশ্যই ফর্মটি নির্ভর হতে হবে।
- একটি বৈধ মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট।অনেকে এই মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করে থাকে, এ ধরনের ভুল থেকে সাবধান থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট এর ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকা বাধ্যতামূলক।
- পাসপোর্ট সাইজের বেশ কয়েক কপি ছবি প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই অধিক পুরনো ছবি ব্যবহার করে। এটি একেবারেই অনুচিত। আপনি যে ছবি ব্যবহার করবেন সেটি অবশ্যই তিন মাসের অধিক পুরনো হওয়া যাবে না।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। ভিসা এপ্লিকেশন করার আগে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করে রাখতে হবে।
- আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য মেডিকেল পর্যন্ত একটি বিষয়। তাই অবশ্যই সময় থাকতে মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করে রাখবেন।
- আপনার একটি বৈধ ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
- এছাড়াও আপনি বর্তমানে যে কর্মস্থলে কর্মরত রয়েছে সেখানকার অফিস প্রধান এর কাছ থেকে একটি চিঠি সংগ্রহ করতে হবে।