কর্মীদের জন্য সবথেকে সুন্দরতম দেশ হলো সৌদি আরব তাই আজকে আমরা কথা বলব সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এবং কোন ভিসাতে সব থেকে ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব এবং সুযোগ সুবিধা বেশি এই নিয়ে বিস্তারিত। আপনারা যারা সৌদি আরবে যেতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই জানেন না সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এবং কোন ভিসাতে সুযোগ সুবিধা বেশি।
বিশ্বের সব দেশের তুলনায় বর্তমানে সৌদি আরবে বেশি সংখ্যক কর্মী বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে নিয়োজিত আছে বিভিন্ন কাজে। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই জানে না সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য আমাদের সবথেকে কোন ভিসাটি ভালো হবে এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি এবং ভালো বেতন পাওয়া যাবে তাই আজকে আমরা কয়েকজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে আপনাদেরকে মতামত জানাচ্ছি।
প্রত্যেক বছর সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই যায় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রবাসীরা বিভিন্ন কঠিন কাজের অভিজ্ঞতাও শিকার করে। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই ভালো কোন কাজগুলো এবং সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এ বিষয়ে অনেকেই জানাতে চাই না তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের আলোচনা।
সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো ২০২৩
সৌদি আরবে অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য যে কোন ভিসায় ভালো। তবে নির্দিষ্ট কাজের দক্ষ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ইমেল আইদি ভিসা সবথেকে ভালো। অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা আছে যে সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা সবথেকে ভালো ভিসা কিন্তু এটি একটি বারের ভুল ধারণা। কেননা সৌদি আরবে কোন ধরনের ফ্রি ভিসা নামক ভিসা চালু হয়নি। মূলত এটি নির্ভর করে আপনি যেই কোম্পানির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই কোম্পানিটি যদি অচল হয় অথবা না চলে তাকেই মূলত ফ্রি ভিসা বলা হয়।
যদি ওই অচল কোম্পানিতে আপনি ঢুকে পড়েন তাহলে সেখান থেকে আপনি অন্যান্য কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন সৌদি আরবে গিয়ে কিন্তু এই ভিসার মাধ্যমে আপনার বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মধ্যে ভর্তি হতে পারে তবে এক্ষেত্রে বলা যায় যে সৌদি আরবে আপনি যদি ফ্রি ভিসা নামক কোনো ভিসা পেয়ে থাকেন তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার ওই কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেছে এক্ষেত্রে আপনি অন্যত্রে কাজ করার সুযোগ করে নিতে পারবেন।
নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা থাকলে আপনি আপেল আইডি ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন এক্ষেত্রে কোম্পানির ভিসায় ও অন্যান্য কাজের বেতন এবং ইকামত খরচ সহ বিভিন্ন খরচ অনেকটাই কমে যেতে পারে।
সৌদি আরব সবথেকে ভালো ভিসা
সৌদি আরবে সবথেকে ভালো ভিসা | ভিসার দাম |
আমেল আইদি ভিসা | ৩ লক্ষ টাকা |
আমেল মঞ্জিল ভিসা | ৩ লক্ষ ৫০ হাজার |
চাওয়াক খাস ভিসা | ৩ লক্ষ ৫০ হাজার |
মাজরা ভিসা | তিন থেকে চার লক্ষ |
সৌদি কোম্পানি ভিসা | ৪ লক্ষ টাকা |
সৌদি আরবে কোন ভিসা সুবিধা বেশি
আপনি যদি সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসা যেতে পারেন তাহলে সেখানে ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ সুবিধা বেশি পাবেন এবং ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন তা ছাড়া আমেল আইদি ভিসা সহ আরো কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে এই ভিসা গুলোতে যদি আপনারা সৌদি আরবে যেতে পারেন তাহলে ভালো পরিমাণ সুযোগ সুবিধা এবং ভালো পরিমাণ বেতনে কাজ করার সুযোগ পাবেনআমেল আইদি ভিসা
সৌদি আরবে কিন্তু ড্রাইভিং ভিসা সহ আরো অনেক ভিসা পাওয়া যায় যেমন রেস্টুরেন্ট ভিসাতে কাজ করতে পারলেও কিন্তু আপনার সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন এবং ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং ওই সমস্ত কোম্পানিগুলোতে যাতায়াতের খরচসহ আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা বহন করে থাকে।
আমেল মঞ্জিল ভিসা ২০২৩
এই ভিসার কাজ হল বাসা বাড়িতে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকায় ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিভিন্ন মালিকের বাড়িতে দারোয়ান অথবা ক্লিনার হিসেবে কাজ করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আমেল মঞ্জিল ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে বিভিন্ন মালিকের বাড়িতে যদি কাজে নিয়োজিত থাকতে পারেন তাহলে মাসে ১৫০০ রিয়াল থেকে আরও বেশি পরিমাণ টাকা বৈধভাবে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে ইকামত খরচ প্রত্যেক বছর আপনাদেরকে প্রদান করতে হবে সে সাথে প্রত্যেক বছর ভিসা কিন্তু রিনিউ খরচ দেওয়া লাগে। তবে এক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে যদি চান তাহলে সুযোগ সুবিধা সহ আরো অনেক ফ্যাসিলিটিস পাবেন তবে চেষ্টা করবেন সর্বদা ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার।
মাজরার ভিসা কেমন
আপনারা যদি মাঝরাতে চাই সৌদি আরবে যান তাহলে সেখানে যেতে হলে খরচ পড়বে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা এক্ষেত্রে বাসা বাড়িতে এবং বাগানের কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজেও নিয়োজিত থাকা লাগে এক্ষেত্রে আপনাদেরকে তেমন কোন অভিজ্ঞ হতে হবে না এখানে নিয়োগ দেওয়ার পরে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে আপনাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করে নেওয়া হয়।
সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসা
চাওয়াক খাছ ভিসা এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে হলে খরচ পড়তে পারে আড়াই লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তবে এক্ষেত্রে বেতন আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই উক্ত কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে আপনাদেরকে যেতে হবে এক্ষেত্রে আপনারা সর্বোচ্চ ১০০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন।
আমেল আইদি ভিসা
আমেল আইদি ভিসাই যেতে হলে খরচ পড়বে প্রায়ই তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মতো তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা বেতন তুলতে পারবেন ১০০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত। এই ভিসাতে মূলত কফিলের অনুমতি অনুযায়ী বাইরের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে সৌদি আরবে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক রয়েছে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট বেতন অনুযায়ী কাজে নিয়োগ দেবে এবং সেই অনুযায়ী আপনাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় কাজে যেতে হবে।
তবে মনে রাখবেন এই কাজে বেতন আনুমানিক বেশি পাওয়া যায় তবে এই কাজ নিয়ে অনেকটাই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী ভালো কোন মালিকের অধীনে যদি আপনারা কাজ পেয়ে যান তাহলে ভালো পরিমাণ বেতন তোলার সম্ভাবনা থাকবে এক্ষেত্রে আপনার মাসিক বিপর্যয়ের ভিত্তি মূলত নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর এক্ষেত্রে আপনি কত দিন মাসে কাজে নিয়োজিত থাকছেন এবং কি কাজে নিয়োজিত থাকছেন তার ওপর।
সৌদি আরবে কোন ভিসায় বেতন বেশি ২০২৩
সৌদি আরবের সবথেকে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন বেশি। সৌদি আরবে একজন কর্মীর ড্রাইভিং ভিসা তে মাসে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ থাকে। সৌদি আরবে মূলত কয়েকভাবে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ করা যায় এক্ষেত্রে ফুড ডেলিভারি সহ আরো বিভিন্ন কাজে ড্রাইভিং ভিসা তে কাজ করতে পারবেন।
বর্তমানে যারা ড্রাইভিং ভিসাতে সৌদি আরবের কাজে আছে তাদের বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে আরো বেশি পরিমাণে মাসিক ভাবে বেতন তুলে থাকে। তাই সে হিসেবে বলা যায় সৌদি আরবের ড্রাইভিং সবথেকে বেতন বেশি এ ক্ষেত্রে আপনারা যে কেউ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে ড্রাইভিং কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন।
২০২৩ সালে ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার জন্য তেমন কোনো কঠিন কাজ নয় এক্ষেত্রে আপনারা শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেই সৌদি আরবে গিয়ে ড্রাইভিং কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন তাই চেষ্টা করুন সৌদি আরবে গিয়ে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ করা এক্ষেত্রে ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি | বিস্তারিত |
সুযোগ সুবিধা | যাতায়াত খরচ |
বেতন | ১৫০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল |
ভিসা খরচ | ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা |
সৌদি আরবের কোন কোম্পানি ভিসা ভালো
সৌদি আরবের সব থেকে ভালো কোম্পানি হলো আল ইয়া মামা কোম্পানি এ কোম্পানিতে কর্মীদের কাজ করলে বেতন মাসিকভাবে প্রদান করা হয় প্রায় ২৫০০ রিয়াল থেকে ৩৫০০ রিয়াল পর্যন্ত। শুধুমাত্র নরমাল কর্মীদের ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে আরো অভিজ্ঞ কর্মীদের ক্ষেত্রে বেতন আরো বেশি পরিমাণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
তবে বাংলাদেশ থেকে বা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যারা সেখানে নরমাল কর্মী হিসেবে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু বেতন এমনি প্রদান করা হয় এক্ষেত্রে যদি আরো ভালো ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু বেতন আরো বেশি পাওয়া যায় এবং সুযোগ-সুবিধা সহ আরো অনেক ধরনের ফ্যাসিলিটিস পাওয়া যায়।
মূলত বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে যাতায়াতের সুবিধাসহ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আর অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করায় থাকে। তবে এক্ষেত্রে যারা অভিজ্ঞ তাদের ক্ষেত্রে আরও বেতন বেশি প্রদান করা হয় আরো যাতায়াত খরচ সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে তবে এক্ষেত্রে এই কোম্পানিটি সৌদি আরবের মধ্যে সবথেকে একটি ভালো কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত।