কাতার ভিসা সেন্টার বাংলাদেশ সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন কাতার ভিসা সেন্টার সম্পর্কে। বাংলাদেশে একটি কাতার ভিসা সেন্টার রয়েছে। যেটা আমরা নিচে উল্লেখ করেছি। আপনারা আমাদের এই কনটেন্ট থেকে জানতে পারবেন কাতার যেতে কত টাকা লাগে। কাতার ভিসা সেন্টার বাংলাদেশ। কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে। কাতার ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল তথ্য গুলো সম্পর্কে।
কাতার যেতে কত টাকা লাগে
কাতার যেতে খরচ হয় প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো। খরচের ভিন্নতার কারণ হলো যে কেউ দালাল কেউ এজেন্সি বা কেউ নিজে নিজে সবকিছু করে থাকে এ কারণে। যারা নিজে নিজে সবকিছু করবে প্রথম থেকে শুরু করে তাদের খরচ হবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু যারা এজেন্সি বা দালালদের মাধ্যমে কাতার যাবেন তাদের খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে। তাদের খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
কাতার ভিসা সেন্টার বাংলাদেশ
বাংলাদেশে কাতার ভিসা সেন্টার রয়েছে। যেগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রূপায়ন ট্রেড সেন্টার এটা কাতার ভিসা সেন্টার। আরও অন্যান্য কাতার ভিসা সেন্টার রয়েছে বাংলাদেশে। কাতারের সকল প্রসেস এখন বাংলাদেশ থেকে করা হয়। যেমন, মেডিকেল করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন ইত্যাদি।
বাংলাদেশে অবস্থিত কাতার ভিসা সেন্টারগুলো বাংলাদেশের মানুষদের জন্য এনে দিয়েছে অন্যরকম এক সম্ভাবনা। কারণ পূর্বের দিনে কাতার যেতে হলে বাংলাদেশের মানুষগুলোকে ভারতের মাধ্যমে যেতে হতো। বাংলাদেশে অবস্থিত ভিসা সেন্টারগুলোর মাধ্যমে কাতার যাওয়াটা এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে।
কাতার যেতে কত বছর লাগে ২০২৩
কাতার যেতে বয়সের প্রয়োজন হয় ১৮ বছর। ১৮ বছর এর নিচে কেউ কাজের জন্য অন্য দেশে যেতে পারে না। অন্য দেশে যাবার ক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে একটি দেশের নাগরিক হতে হবে। আর আপনার যদি পূর্ণ বয়স না হয় তাহলে আপনি ওই দেশের নাগরিক না। যে কারণে ১৮ বছরে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া যায় সুতরাং আপনি ১৮ বছর বয়স হওয়ার পরে যে কোন দেশে যেতে পারবেন। কিছু কিছু দেশে একুশ বছর বয়স লাগে। আবার কিছু কিছু দেশে ১৮ বছর বয়স লাগে। যে সকল দেশগুলোতে যেতে হলে একুশ বছর বয়স লাগে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও একুশ বছর পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যেতে পারবেন না।
কাতার ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস
কাতারের ভিসা প্রসেসিং করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি পাঠাতে হবে। পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি পাঠানোর পরে তাদের মন্ত্রণালয় থেকে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আবেদন করা হয়। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আবেদন করার পর আন্ডার প্রসেসিং এ দেখায়। তারপর স্বাস্থ্য মিডিলেকেল কে মেডিকেল করার জন্য ফি জমা দেওয়া হয়। মেডিকেল হওয়ার পরে তারপরে আউট সেট কান্ট্রি প্রসেসিং দেই।
এটার মানে হল বাংলাদেশের মেডিকেলে অনুমোদিত দেওয়া হল। তারপরে তারা এটি নির্দিষ্ট সময় দেয় সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেডিকেল করতে হয়। যখন সবগুলো কমপ্লিট হবে তখন অ্যাপ্রুভ দেখাবে তাদের ওয়েবসাইটে। তারপরে ভিসা বের হবে। তারপরে আপনাকে ট্রেনিং করতে হবে। তিন দিন ট্রেনিং করার প্রয়োজন হয়।
তারপরে আপনার পাসপোর্ট এর মূল কপি প্রয়োজন হবে, ম্যানপাওয়ার কার্ডের প্রয়োজন হবে, ভিসার কপি, করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট, বিমানের টিকিট, হোটেল কোয়ারেন্টাইন এর কপি সবকিছু নিয়ে আপনি সবকিছু সঠিক থাকলে তাহলে আপনি ফ্লাই করতে পারবেন।
সরকারিভাবে কাতার যাওয়ার উপায়
আপনি যে সকল বিষয় দক্ষ সেই সকল বিষয়ের উপর সরকারিভাবে কাতার যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। সরকারিভাবে আপনারা নাবিক এর কাজে যেতে পারবেন। টেকনিশিয়ান কাজে অভিজ্ঞতা থাকলে এই কাজ নিয়ে আপনি সরকারীভাবে কাতার যেতে পারবেন। ড্রাইভিং বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকলে ড্রাইভিং ক্যাটাগরিতে আপনি সরকারীভাবে কাতারে যেতে পারবেন। মূলত বেশ কয়েক রকম পদ্ধতিতে আপনারা সরকারিভাবে কাতার যেতে পারবেন যদি আপনার দক্ষতা থাকে।
সরকারিভাবে কাতারে কাজের বেতন কত
সরকারিভাবে কাতারে গেলে আপনাদের বেতন হবে প্রায় পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে 16,000 কাতারী রিয়েল। ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি ড্রাইভিং এর কাজের জন্য যান তাহলে আপনি পাঁচ হাজার সাতশত কাতারী রিয়াল পাবেন। আপনি যদি মেরিন সাইন্স এক্সপোর্ট বিষয়ে যে থাকেন তাহলে আপনার মাসিক বেতন হবে প্রায় ১৬ হাজার ৯৫০ কাতারী রিয়েল। কাতারের এক রিয়েল সমান সমান বাংলাদেশের ২৮ টাকা প্রায়।
সরকারিভাবে কাতারে কিভাবে যাবেন
আপনি যদি সরকারি ভাবে কাতারে কাজ করার জন্য যেতে চান তাহলে তাদের ওয়েবসাইটের দিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে। কেননা তারা প্রতিনিয়ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে তাদের সাথে থাকবেন। আপনার পছন্দমত যাবে এপ্লাই করবেন যদি আপনাকে তারা শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয় তাহলে আপনি সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কাতারে যেতে পারবেন।
কাতার ভিসা সেন্টার বাংলাদেশ কোথায় রয়েছে
কাতারের ভিসা সেন্টার বাংলাদেশের ঢাকায় রয়েছে। যেটা প্রতিনিয়ত আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে কাতার যাবার ক্ষেত্রে। রূপায়ন ট্রেড সেন্টার এটি বাংলাদেশের কাতার ভিসা সেন্টারের একটি। এখান থেকে আপনারা কাতার ভিসা করে কাতারে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের কাতার ভিসা সেন্টার অনেকদিন যাবত বন্ধ ছিল। বর্তমান সময়ে কাতার ভিসা সেন্টার খোলা রয়েছে। আপনারা চাইলেই কাতারে যেতে পারবেন।

কাতার দূতাবাস কোথায়
বাংলাদেশের অবস্থিত কাতার দূতাবাস রয়েছে রাজধানী ঢাকায়।’’Embassy of Qatar, 1A Rd No 79, Dhaka 1212’’ উল্লেখিত এই ঠিকানায় রয়েছে কাতার দূতাবাস। দূতাবাসের লোকেশন টা আরো বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। গুগল ম্যাপ থেকে খুব সহজেই আপনি কাতার দূতাবাসের সম্পূর্ণ ডিটেলস দেখতে পারবেন।
কাতার যাওয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
কাতারে যাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থিত যে কোন এজেন্সির কাছ থেকে আপনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এজেন্সির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করেও আপনি কাতারে যেতে পারবেন। তবে কাতারে আপনি কোন ধরনের কাজের ভিসায় যাচ্ছেন সেটার উপরে আপনার বেশ ভালো ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, তাহলে প্রশিক্ষণের কোন প্রয়োজন নেই।
এছাড়াও আপনার নিকটস্থ কোনো ব্যক্তি থাকলে তার কাছ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাতারে যেতে পারেন। তবে সরকারি এজেন্সি গুলোর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যদি কাতারে কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও সেখানে গিয়েও নিজের নানারকম স্কিল ডেভেলপ করেও কাজের সুযোগ মেলানো সম্ভব।