জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩ নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি জর্ডান যেতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই কনটেন্ট আপনার জন্য। এখান থেকে আপনারা জর্ডান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। যেমন, জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা, জর্ডান গার্মেন্টস ভিসার বেতন কত, জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে পাবেন, কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
জর্ডান একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জর্ডানের ভূমি মূলত উশোর মরুভূমি ময় এর মত। এখানে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ অন্যান্য দেশে তুলনায় কম। জর্ডান মুসলমান খ্রিস্টান এবং ইহুদীদের জন্য তিন ধর্মের জন্যই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। জর্ডানে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। যে কারণে অনেকেই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ও জর্ডানে ঘুরতে যেয়ে থাকেন।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে বা কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই জর্ডানের বিভিন্ন রকম কাজ করার জন্য যেয়ে থাকেন। আপনি যদি গার্মেন্টস সম্পর্কে ভালো জেনে থাকেন অথবা গার্মেন্টস এর কাজ ভালো করে থাকেন তাহলে আপনি গার্মেন্টস এ কাজ করার জন্য জর্ডানে যেতে পারেন। গার্মেন্টস কাজের জন্য জর্ডান সরকার এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশটির অনেক পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে থাকেন। তবে জর্ডানে পুরুষদের চেয়ে নারীদের চাহিদা অনেক বেশি। সেখানে মহিলা কর্মী অনেক পরিমান বেশি নিয়ে থাকেন গার্মেন্টস সেক্টরে।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩
জর্ডানে গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে আপনারা বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেন। জর্ডানে গার্মেন্টস এর কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যে কারণে বিপুল সংগ্রহ মানুষ জর্ডানে গিয়ে গার্মেন্টসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন সেক্টরের কাজ করে থাকেন। তবে জর্ডানে গার্মেন্ট সেক্টরে পুরুষদের কাজের চেয়ে বা পুরুষদের চাহিদার তুলনায় মহিলাদের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।
যে কারণে অনেক মহিলা বাংলাদেশ থেকে জর্ডানের গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করতে যান। আপনি যদি গার্মেন্ট সেক্টরে অতবেশী দক্ষ নাও হয়ে থাকেন তবে আপনি সেখানে গিয়ে খুব সহজেই কাজ শিখে নিতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন। জর্ডানে অনেক গার্মেন্টস রয়েছে যে সকল গার্মেন্টস গুলোতে কাজ করার জন্য জর্ডান কোম্পানির বা জর্ডান সরকার প্রতিবছর অনেক মানুষ অন্যান্য সকল দেশ থেকে কাজ করার জন্য নিয়ে থাকেন।
জর্ডান গার্মেন্টস কাজের বেতন কত
জর্ডানে গার্মেন্টস কাজের বেতন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার বা তার বেশি। বিভিন্ন ক্যাটাগরি বা বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। তবে জর্ডানে গার্মেন্টস এর কাজ করে একজন শ্রমিক সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ২০ হাজার টাকা। জর্ডানে পুরুষদের চাহিদা কম তবে পুরুষদের বেতন মহিলাদের চেয়ে একটু বেশি হয়ে থাকে।
জর্ডানে গার্মেন্টস কাজের জন্য মহিলাদের চাহিদা অনেক বেশি। কিছু কিছু সময় জর্ডানের কোম্পানিগুলো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেখানে শুধুমাত্র মহিলারাই চাকরি করতে পারবে বা কাজ করতে পারবে। পুরুষদের কোন চাহিদায় নেই জর্ডানে। একজন মহিলার জর্ডানে গার্মেন্টসের কাজ করতে গিয়ে প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বা তার বেশি।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে পাবেন
জর্ডানের গার্মেন্টস ভিসা আপনারা বুয়েসেল বা এজেন্সের মাধ্যমে পেতে পারেন। অনেকেই জানেন না বুয়েসেল কোথায় অবস্থিত। ঢাকার মিরপুরে টেকনিক্যাল মোড়ে অবস্থিত। যারা বাংলাদেশ থেকে জর্ডানে কাজ করার জন্য যেতে চান তারা বুয়েসেল-এর মাধ্যমে যেতে পারেন।

জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
আপনি যদি জর্ডানে গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে আপনি চেষ্টা করলে জর্ডানে যেতে পারবেন। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে গার্মেন্টসের জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা বুয়েসেলের সাহায্য নিয়ে জর্ডানে আসতে পারবেন। জর্ডানের যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে।
আপনি ঢাকায় মিরপুর যেই বোয়েসেল রয়েছে সেটার মাধ্যমে আপনি ইন্টারভিউ দিয়ে জর্ডানে যেতে পারবেন। ইন্টারভিউ এর সময় অবশ্যই আপনাকে আপনার আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে যেতে হবে আপনি যে গার্মেন্টসে কাজ করেন তার প্রমাণ পত্র হিসেবেও ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসার দাম কত
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসার দাম হয়ে থাকে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। আবার ১২২০ টাকা দিয়ে জর্ডানে গার্মেন্টস ভিসায় যেতে পারবেন। আপনারা অনেকেই শুনে হয়তো অবাক হচ্ছে এত কম খরচে কিভাবে জর্ডান যাবেন। আসলে জর্ডান যেতে কোন টাকা খরচ হয় না। জর্ডান সরকার সবকিছু করেই আপনাকে নিয়ে যাবে। শুধুমাত্র আপনার মেডিকেল খরচ আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট খরচ এর প্রয়োজন হবে। এর বাইরে আপনার একটি টাকাও খরচ হবে না।
জর্ডান গার্মেন্ট ভিসা বন্ধ নাকি খোলা
২০২৩ সালে জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা চালু রয়েছে। বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে জর্ডানের প্রবেশ করতে পারেন গার্মেন্টস সেক্টরের কাজ করার জন্য। তবে অবশ্যই আপনাকে গার্মেন্টস বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে তাছাড়া আপনি জর্ডানে কাজ করার জন্য যেতে পারবেন না। জর্ডানে গার্মেন্টস ভিসা চালু রয়েছে।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসায় যেতে হলে আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। এই ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি জর্ডানে যেতে পারবেন না। জর্ডানে গার্মেন্টস ভিসায় যেতে হলে যে সকল ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয় তার নিচে উল্লেখ করা হলো।
- প্রথমত আপনার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে এবং পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- পাসপোর্টে অবশ্যই ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- এনআইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে এবং মেডিকেল রিপোর্টের প্রয়োজন হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
- করোনার টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
- আপনি গার্মেন্টস সেক্টরে যাবেন সেহেতু আপনি গার্মেন্টস এর কাজ জানেন কিনা এর প্রমাণস্বরূপ ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে।
সরকারিভাবে জর্ডান গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগ
সরকারিভাবে জর্ডানে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে যোগ্য এবং দক্ষ হতে হবে। আপনি যেহেতু জর্ডানে গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করার জন্য যাচ্ছেন সুতরাং আপনাকে অবশ্যই গার্মেন্টস এর কাজ জানতে হবে। জর্ডান যেতে খরচ হয়ে থাকে প্রায় বারোশো টাকার মতো। সম্পূর্ণটাই জর্ডান কোম্পানিগুলো খরচ বহন করে থাকেন। সরকারিভাবে আপনি যদি জর্ডানে যান তাহলে আপনি বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন। আর সরকারিভাবে না হলে আপনি বুয়েসেলের মাধ্যমে জর্ডানে গার্মেন্টস সেক্টরেকাজ করার জন্য যেতে পারেন।
জর্ডান গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
জর্ডানে অনেক গার্মেন্টস রয়েছে। যে কারণেই আমরা জর্ডানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গুলোতে ঢুকে দেখতে পাই গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। জর্ডানে যেহেতু বেশি গার্মেন্টস রয়েছে সুতরাং সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে তারা দুইটা ক্যাটাগরিতে মানুষ নিয়ে থাকেন।
গার্মেন্টস কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা সব সময় মহিলাদের নির্বাচন বা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আমরা কিছু কিছু কোম্পানির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেখতে পাই সেখানে শুধুমাত্র মহিলারাই কাজ করতে পারবে। এই থেকে আমরা বুঝতে পারি যে জর্ডানের মহিলাদের চাহিদা অনেক বেশি।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসায় যাওয়ার এজেন্সি
জর্ডানের গার্মেন্টস ভিসা ই যাওয়ার এজেন্সির সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জর্ডানে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এজেন্সি সাহায্য নিতে হবে। এজেন্সির সাহায্য ছাড়া ও জর্ডানে যাওয়া সম্ভব তবে সে ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে। ঢাকা মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে বুয়েসেল রয়েছে। বুয়েসেলের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ থেকে জর্ডানের গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে যেতে পারেন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে জর্ডানের বিপুল পরিমাণ মানুষ কাজ করার জন্য যাচ্ছেন। পুরুষদের চেয়ে বেশি মহিলারা আগ্রহী হয়ে থাকে জর্ডানে কাজ করার জন্য। সে ক্ষেত্রে তারা অনেক রকম সুযোগ সুবিধা ও পেয়ে যায়। আপনারা অবশ্যই যাবার পূর্বে যে এজেন্সি এর মাধ্যমে জর্ডানে যাবেন সেই এজেন্সি সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নেবেন তারপরে সেই এজেন্সির মাধ্যমে আপনি জর্ডানে যাবেন।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসাতে যেতে কত টাকা লাগে
জর্ডান যেতে কোন প্রকার টাকা খরচ হয় না। শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং মেডিকেল রিপোর্টের জন্য যত টাকা খরচ হয় সেটাই মূলত জর্ডান যেতে খরচ হয়ে থাকে। মেডিকেল এর জন্য ১০০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য ২৫০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। এই মোট ১২৫০ টাকা খরচ হয় জর্ডান গার্মেন্টস ভিসায় যেতে।
জর্ডান গার্মেন্টস কাজে সুযোগ সুবিধা
জর্ডানে গার্মেন্টস কাজের অনেক রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে বা বিভিন্ন দেশ থেকে জর্ডানের কাজ করার জন্য যেতে চান তারা জর্ডানে গার্মেন্টস ভিসায় কাজ করার জন্য যেতে পারেন। জর্ডানে গিয়ে গার্মেন্টসের কাজ করলে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন,
- যাতায়াত খরচ।
- থাকা খাওয়ার খরচ।
- চিকিৎসা খরচ।
আরো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন কোম্পানির উপর নির্ভর করে ও সুযোগ সুবিধা কম বেশি হতে পারে। জর্ডানে গার্মেন্টসের কাজে পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। মহিলাদের দীর্ঘ সময় কাজ করার ধৈর্য থাকে যে কারণে তাদের চাহিদা গার্মেন্টসে অনেক বেশি।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে সতর্কতা
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে আমাদের সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক সময় অনেকেই অনেক রকম দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক টাকা লস করে থাকেন। আমরা যদি পূর্ব থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে তাহলে আমরা এরকম সমস্যার সম্মুখীন হবো না। আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে যাবেন অথবা যে লোকের মাধ্যমে যাবেন তার সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত খোঁজ খবর রাখতে হবে। যেন কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি তাকে সনাক্ত করতে পারেন।
অনেকেই রয়েছেন যারা অবৈধ ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে যে থাকেন কিন্তু পরবর্তীতে তারা অবশ্যই কোন না কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়। সুতরাং কারো মাথায় যদি অবৈধ ভিসা নিয়ে বিদেশে যাবার চিন্তা থাকে তাহলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হবে। অবৈধ ভিসা নিয়ে বিদেশে যাবার পরে আপনাকে শাস্তি স্বরূপ জেল দিতে পারে অথবা আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি যে টাকা গুলো খরচ করেছেন সব টাকাগুলোই লস হবে। সুতরাং যাবার পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং বৈধ এজেন্সি থেকে জর্ডানে যাবেন।
ভালো
too good
জডানে আমি যাইতে চাই