আজকে আমরা কথা বলবো দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং খরচ সহ কিভাবে করবেন এবং কোথায় করবেন এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। দুবাই ভিজিট করার উদ্দেশ্যে অনেকেই আমরা ভিসা প্রসেস করে থাকি। তবে অনেকেই সঠিক উপায় এবং কত টাকা খরচ হয় এ সম্পর্কে ধারণা রাখে না তাই এখানে আমরা আজকে এই বিষয় নিয়ে আপনাদেরকে একটি ধারণা দিব।
যারা দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে চান এক্ষেত্রে আপনার খরচসহ কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো আপনাকে ফলো করতে হবে তা না হলে আপনি ভিজিট ভিসা পাবেন না। তাই কিভাবে করবেন এবং কোথায় করবেন সেটা জেনে নিয়ে তারপরে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং কতদিন পর্যন্ত সময় লাগবে এবং কাগজপত্র গুলো কি তা তুলে ধরেছে।
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং সময় কতদিন লাগে
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মত। সাধারণত ভিজিট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৩০ দিন থেকে৯০ দিন পর্যন্ত। তবে এর মধ্যে যদি আপনি দুবাইয়ের ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় কারণ উল্লেখ করে পুনরায় সে দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পরে পরবর্তীতে আপনাকে জানানো হবে আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে কি যাবে না।
দুবাই ভিজিট ভিসা নেওয়ার জন্য আপনাকে দুবাই দূতাবাসের মাধ্যমে ঢাকা হতে পারে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র অথবা আপনি কি উদ্দেশ্যে দুবাই যাচ্ছেন সেই বিষয়টি আপনাকে জানাতে হবে এবং আপনার কাছে যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো চাওয়া হবে সে কাগজপত্রগুলো দিতে পারলেই আপনি দুবাইয়ের ভিসিট ভিসা সম্পন্ন করতে পারবেন।
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং খরচ
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং খরচ পড়বে ১৫ হাজার টাকা। তবে বেসরকারি অন্যান্য এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনারা যেতে চান তাহলে খরচ কিন্তু আরো বেশি পড়তে পারে তবে যারা বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যায় তাদের খরচ বেশি হওয়ার কারণে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বেশি দেওয়া হয়। তাই অবশ্যই আপনারা যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন কি কি সুযোগ সুবিধা বেশি দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য এজেন্সিগুলো তে কি কি সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে জেনে তার পরেই দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা প্রসেসিং খরচ প্রদান করবেন।
আপনারা চাইলে কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন এই ক্ষেত্রে আপনারা ধারণা পেয়ে যাবেন যে কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি সুযোগ সুবিধাগুলো পাবেন। এবং আপনাদেরকে কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং কত টাকা পর্যন্ত সমস্ত কাগজপত্র উঠাতে খরচ প্রদান করা লাগবে সেই বিষয়টি ভালোমতো আপনার এজেন্সির মাধ্যমে অথবা আপনার যারা ভিসা প্রসেসিং এর কাজে নিয়োজিত আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়টি ভালোমতো জেনে নিতে পারবেন।
দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং কতদিন লাগে
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনার কাজে যাবে অথবা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাবেন তাদের ক্ষেত্রে এ ভিসা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন আছে সেগুলো দেওয়ার পরেই ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনারা ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন আছে এবং দুবাইয়ের যে কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আপনাকে ইনভাইটেশন লেটার থাকা লাগবে তারপরে আপনি দুবাইয়ের ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ করতে পারবেন তবে সে দেশ থেকে যদি কোন স্কলারশিপ এর মাধ্যমে পেয়ে যান তাহলে খুব সহজেই খুব তাড়াতাড়ি আপনি দুবাইয়ের স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে পারবেন।
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং
দুবাইয়ে কাজের ভিসা তৈরি করার জন্য আপনাকে মিনিমাম ২ থেকে ৩ মাসের মত সময় দেয়া লাগতে পারে। কাজের ভিসার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার পরে আপনাকে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরে আপনি দুবাইয়ের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে জেনে রাখবেন যে কাজের ভিসার জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় যে সমস্ত তথ্যগুলো চাওয়া হয় তার সবগুলোই পূরণ করতে হবে এবং আপনার প্রয়োজনীয় যে সমস্ত দক্ষতাগুলো এবং স্কিল অর্জুনের সার্টিফিকেট দেখাতে বলা হবে তার সবগুলো যদি না দেখাতে পারেন তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ নাও হতে পারে।
তাই অবশ্যই আপনার রিকোয়ারমেন্ট গুলো আগে সম্পন্ন করতে হবে তারপরে আপনি দুবাইয়ের ভিসার জন্য অথবা দুবাইয়ের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আপনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তবে আপনি যেই এজেন্সির মাধ্যমে দুবাইয়ের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করাতে চাচ্ছেন সেই এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যোগাযোগ করে ভালোমতো জেনে নিতে পারবেন।
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এ সমস্ত কাগজপত্র যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে কিন্তু আপনার ভিসা প্রসেসিং অসম্পূর্ণ থেকে যাবে অথবা আপনার ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই অবশ্যই সতর্ক তার স্বরূপ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- 6 মাস মেয়াদি পাসপোর্ট
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত
- দুবাই দূতাবাস হতে সত্যায়িত কাগজপত্র
- অন্য কোন দেশে ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে তার ফটোকপি
উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো নিয়ে আপনারা দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংযোজন করার পরে তারা ভাইবার মাধ্যমে আপনাকে ডাকতে পারে অথবা আপনাকে ভেরিফিকেশনের জন্য কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে তাই অবশ্যই আপনার যে ফোন নাম্বার দিবেন সে ফোন নাম্বার সর্বদা খোলা রাখার চেষ্টা করবেন তা না হলে আপনাকে ফোন করে যদি না পাই তাহলে আপনার ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারে।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ২০২৩
নতুন বছর থেকে পুনরায় দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে খুব সহজে যেতে পারবে বাংলাদেশ থেকে। তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে যারা দুবাইয়ে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাবে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পরবর্তীতে দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে পার্মানেন্টলি থেকে না জানতে পারে এজন্য আপনাকে তিন মাসের মধ্যে দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য বলা হবে পরবর্তীতে যদি আপনি যোগাযোগ না করেন তাহলে পুনরায় আপনাকে দুবাইয়ের পুলিশ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারে। তবে যারা ভিজিট ভিসা নেবেন তাদের দূতাবাসে যোগাযোগের জন্য আপনাদেরকে সময় দেওয়া হবে সেই সময়ের মধ্যে এসে যোগাযোগ করতে হবে।
তবে আরো নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে সেই সমস্ত নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে তা না হলে আপনার দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা কি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন দুবাইয়ের ভিসা নিয়ে যারা দুবাই তে প্রবেশ করবেন তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো সঙ্গে সঙ্গে মানার চেষ্টা করবেন এবং সেইসাথে কোন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত না হন তাহলে আপনার পরবর্তী ভিসা মেয়াদ বাড়ানো হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন দুবাইয়ের পুলিশের নিয়ম গুলো ফলো করার।
দুবাই ভিজিট ভিসা তথ্য | হোম পেজে |
দুবাই ভিজিট ভিসা | যে কোন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে পাবেন |
দুবাই ভিজিট ভিসা দাম | ১৫০০০ টাকা |
দুবাই ভিজিট ভিসার মেয়াদ | সর্বোচ্চ তিন মাস |
দুবাই ভিসা এজেন্সি | দুবাই দূতাবাস, সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি |