অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা-অস্ট্রেলিয়া ভিসা প্রসেসিং

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা
অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপর লীলাভূমি হল অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ। আপনি যদি কখনো অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে ভ্রমণ না করে থাকেন তাহলে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পূর্ণ হবে না। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ বিশ্বের আশ্চর্যজনক অনেক প্রাকৃতিক নিদর্শন রয়েছে। যে সকল নিদর্শন গুলো আপনাকে অতি প্রখর ভাবে আকৃষ্ট করবে।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা ২০২৩

২০২৩ সালের শুরুর দিকে ভ্রমন পিপাসু মানুষদের নানান দেশে ভ্রমণ করার জন্য অনুমতি চলে এসেছে। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কেও অনেক আপডেট তথ্য এসেছে। ২০২২ সালে যে প্রসেসের মাধ্যমে আপনারা অস্ট্রেলিয়া ভিসা পাচ্ছিলেন, তার কিছুটা আপডেট করা হয়েছে।

তাই আসুন আমাদের এই কনটেন্টটি পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমাদের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয় এবং কত দিন সময় লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর প্রথম ধাপ হল আবেদন। প্রথমে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার জন্য একটি আবেদন করতে হবে। আবেদনটি অবশ্যই সঠিক এবং নির্ভুল হতে হবে। যদি আবেদনের সকল রিকোয়ারমেন্ট সত্য এবং হয় তাহলে আপনাকে যাচাই-বাছাই শেষে খুব শীঘ্রই ভিসা প্রদান করা হবে।

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগতে পারে। কিন্তু আপনার রিকোয়েন্টমেন্ট গুলোর মধ্যে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে যদি আপনি ভিসা পাবার যোগ্য না হন এবং আপনি যদি কোন প্রতারক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আইনের আওতায় আনা।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট এ কিভাবে পাবেন প্রশ্ন করাটা সত্যি বোকামি। কারণ অতীতে অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যতটা কঠিন প্রসেস শেষ করতে হতো বর্তমানে একেবারে সহজেই অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। আপনি যদি মনে করেন দেশের বাহির থেকে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করবেন সেটাও সম্ভব। তাহলে আসুন অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আওয়ার তথ্য জানি।

 

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা
                                                         অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ কত

অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসার জন্য আড়াই লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে। এটি শুধুমাত্র আপনার ভিসা প্রসেসিং খরচ। এরপর অস্ট্রেলিয়া গিয়ে আপনি কতদিন থাকবেন এবং কেমন পরিবেশে থাকবেন সেটার উপর আপনার খরচ নির্ভর করবে।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে একটি IMMIACCOUNT তৈরি করতে হবে। এর পূর্ণরূপ হল ডিপার্টমেন্ট অস্ট্রেলিয়ান অফ হোম অ্যাফেয়ার্স সেল অফিশিয়াল পোর্টাল। এখান থেকে এই অস্ট্রেলিয়ার যাবতীয় ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

এই অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে হলে শুধুমাত্র আপনার ফোন নাম্বার , আপনার নাম এবং ফ্যামিলি নাম লাগবে। এরপর একাউন্ট খুলতে যদি কোন সমস্যা হয় আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমরা আপনাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • কমপক্ষে ছয় মাসের একটি পাসপোর্ট।
  • অতি সাম্প্রতিক তোলা ছবি। ছবিটা অবশ্যই স্পষ্ট এবং রঙিন হতে হবে।
  • অস্ট্রেলিয়া গিয়ে সেখানে নিজে আর্থিকভাবে টিকিয়ে রাখতে পারবেন কিনা এরকম প্রমাণ পত্র
  • ট্রাভেল হেলথ ইন্সুরেন্স
  • আপনি যে ভ্রমণ শেষে আবার দেশে ফিরে আসবেন তার কিছু প্রমাণ পত্র
  • একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট। কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা লেনদেন থাকতে হবে।
  • হোটেল বুকিং এর কপি এবং এয়ার টিকেট থাকতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসার জন্য অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র তাদেরকে বোঝাতে হবে আপনি একজন সত্যিকারের টুরিস্ট তাহলে সাধারণ ডকুমেন্টস গুলোর মাধ্যমে আপনি অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

প্রিয় বন্ধুরা আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টটি তে আপনি ৩০ লক্ষ টাকা লেনদেন করেছেন এরকম একটি রেকর্ড দেখাতে হবে। কারণ আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর উপর নির্ভর করে একটি এজেন্সি বুঝবে যে আপনি সত্যিকারের টুরিস্ট নাকি কোন প্রতারক। যদি আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে তাদের মনে হয় আপনি একজন টুরিস্ট তাহলে অবশ্যই আপনাকে খুব শীঘ্রই টুরিস্ট ভিসা প্রদান করবে।

আরো পড়ুনঃ  দুবাই ড্রাইভিং ভিসা | দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

দেশের বাহির থেকে অস্ট্রেলিয়া টুর প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে অনেক নাগরিক মূল্যপ্রাচ্য এবং মেডেলিস্ট কান্ট্রি গুলোতে রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে দেশের বাহির থেকে যদি অস্ট্রেলিয়ার টুর করতে চায় তাহলে কি সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় অবশ্যই আপনি দেশের বাহির থেকে অস্ট্রেলিয়া দূর করতে পারবেন, তবে আপনাকে এজেন্সি থেকে বেশ কিছু রিক্রুটমেন্ট দেওয়া হবে সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন, এবং একটি এজেন্সিকে যদি আপনি বোঝাতে পারেন আপনি সত্যিকারের একজন টুরিস্ট তাহলে অবশ্যই আপনি দেশের বাহির থেকে অস্ট্রেলিয়ার ট্যুর করতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসায় কি কি করা যায়

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে আপনি অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে আপনি যদি মনে করেন অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে বিজনেসের কাজ শেষ করে আসবেন তাহলে আপনার জন্য খুবই সুবিধা জনক। কারণ বিজনেস বিচার চেয়ে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া একটু সহজ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে অবস্থিত সকল পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখতে পারবেন। তবে সময় অবশ্যই আপনার কাছে টুরিস্ট কার্ড থাকতে হবে।

অনেকের অস্ট্রেলিয়া  টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এটি একেবারে অবৈধ এবং অসচেতনতার মূল কারণ। তাই অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কখনোই কাজ করার লোভ করবেন না। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোন ভাবে তাদের কাছে ধরা পড়েন সে ক্ষেত্রে আপনার কঠোর শাস্তি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ  দুবাই গার্মেন্টস ভিসা-দুবাই গার্মেন্টস ভিসা বেতন কত

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসাতে কতদিন থাকতে পারবেন

বাংলাদেশে একজন নাগরিক অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস অবস্থান করতে পারবে। তবে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে ৬ মাস ভ্রমণ করাটা অনেক বেশি হয়ে যায় । তবে আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হন তাহলে কমপক্ষে তিন মাসের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না। কারণ অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ এবং প্রকৃতি আপনাকে এতটাই মায়া ফেলে দিবে যে আপনি আর দেশে আসতেই চাইবেন না।

তবে সবকিছু তো আর মায়ায় আটকানো যায় না, অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আপনি ইচ্ছে করলে ১৫ থেকে ২০ দিনেরও নিতে পারবেন। কারণ অনেকেই আছে যারা অফিস এবং বিজনেসের কাজের জন্য অতিরিক্ত বেশি সময় দিতে পারেন না। যারা  খুব অল্প সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট করতে চান। তাই আপনি যদি চান মাত্র ১৫ থেকে ১ মাস অস্ট্রেলিয়া থেকে আবার দেশে ফিরে আসবেন তাহলে তাও সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ  কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে-কুয়েত যেতে কি কি লাগে

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা সুযোগ সুবিধা

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই । কারণ যারা অস্ট্রেলিয়া একবার ভ্রমণ করেছে তারা বারবার অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিতে চায়। অস্ট্রেলিয়া পরিবেশ এতটাই মনোরম এবং সৌন্দর্যে এখানে মাত্র কয়েক মাস ভ্রমণ করে নিজের অনুমতি প্রকাশ করা যায় না। অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আপনাকে বারবার নিতে ইচ্ছে করবে। অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে আপনাকে অতিরিক্ত কোন রিক্রুটমেন্ট জমা দিতে হয় না। আপনি যে একজন টুরিস্ট এটি যদি এজেন্সি কে বোঝাতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।

অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সতর্কতা

হ্যালো বন্ধুরা আপনি যদি একজন ভ্রমন পিপাসু হয়ে থাকেন এবং ভ্রমণ করার জন্য এবছর যদি আপনি অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ের সতর্ক থাকতেই হবে।

কারণ সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার টুরিস্ট ভিসার জন্য যে নতুন আপডেট করলে এনেছে সেগুলোর অমান্য করলে আপনিও পড়ে যেতে পারেন কঠিন বিপদে। তাই বিশেষ আবেদন করার সময় কোন ধরনের জালিয়াতের চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়া অনেকে রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট ভিসা নেওয়ার জন্য বেশ কিছু দালাল প্রতারক চক্র গুলোর সঙ্গে চুক্তি করে। বিশেষভাবে মনে রাখবেন দালাল ও প্রতারক চক্রের মাধ্যমে আপনি যদি অর্থের চুক্তি করে থাকেন তাহলে আপনি খুবই বাজেভাবে প্রতারিত হবেন। তাই সকল প্রকার দালাল ও প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকবেন। যেকোনো পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩-আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ও খরচ

2 Comments

  1. Md Akash Gazi

    আমি তো স্টুডেন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট অন্য কারো টা দেখালে হবে? অন্য কার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো যাবে?

    • অন্য কারো ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখালে হবে না অবশ্যই আপনার নিজের ব্যাংক একাউন্ট এর স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *