ওমান কাজের ভিসা ২০২৩-ওমান ভিসার দাম কত

ওমান কাজের ভিসা
ওমান কাজের ভিসা

ওমান কাজের ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। এখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন ওমান কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যেমন, ওমান কাজের ভিসা প্রসেসিং। ওমার ভিসার দাম কত। সরকারিভাবে ওমান যাওয়ার উপায়। ওমান কাজের ভিসার আবেদন আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আপনারা আজকে আমাদের এই কন্টেন্ট থেকে জানতে পারবেন। আপনারা যারা ওমানে কাজ করার জন্য যেতে চান তারা যে সকল বিষয়গুলো জানতে চান সকল বিষয়গুলো আজকে আমরা এই কন্টেন্টে তুলে ধরব।

ওমান কাজের ভিসা ২০২৩

ওমান কাজের ভিসা ২০২৩ সালে অনেকেই বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে ওমানে কাজ করতে যাবেন। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজ করার জন্য ওমানে যেয়ে থাকেন। সেখানে গিয়ে বাঙালিরা অনেক রকম কাজ করে থাকেন। তাই অনেকেই ওমানের কাজের ভিসা নিয়ে অনেকেই জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওমানে অনেক রকম ভিসার মাধ্যম দিয়ে যাওয়া যায়।

যেমন, আপনি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ওমান যেতে পারবেন, বিজনেস ভিসার মাধ্যম দিয়ে আপনি যেকোনো দেশ থেকে ওমানে যেতে পারবেন। আরো অন্যান্য ক্যাটাগরি রয়েছে যে সকল ক্যাটাগরি দিয়ে আপনি ওমানে প্রবেশ করতে পারবেন। ওমানে কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো।

ওমান ভিসার দাম কত

ওমান ভিসার দাম হয়ে থাকে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকার পরিমান কম বেশি হতে পারে। আপনি যে কোনো এজেন্সির মাধ্যম দিয়ে যদি ওমানে যেতে চান তাহলে আপনার ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আর আপনি যদি কোনো দালাল এর মাধ্যম দিয়ে ওমানে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি লাগতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ভিসার মূল্য পড়ে যাবে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

আরো পড়ুনঃ  ওমান টুরিস্ট ভিসা ২০২৩-ওমান টুরিস্ট ভিসা কত টাকা

সরকারিভাবে ওমান যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে বাংলাদেশ বা ভারত থেকে অথবা অন্যান্য দেশ থেকে ওমান যাওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সরকারিভাবে যদি আপনি অন্য কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতার অবশ্যই প্রয়োজন হবে। সরকারিভাবে তারাই যেতে পারে যারা দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ। সবাই সরকারীভাবে ওমান যেতে পারবে না কেননা সবার সেই যোগ্যতা থাকে না। তবে সরকারিভাবে যদি কেউ ওমান যায় তাহলে সে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।

তবে এই ক্ষেত্রে ওমানে যাওয়ার জন্য অথবা অন্যান্য দেশের যাওয়ার জন্য কিন্তু ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় চাইলে আপনারা এ সমস্ত কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপরে ওমানে সরকারিভাবে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ওমান কাজের ভিসা আবেদন

ওমান কাজের ভিসা আবেদন আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজে করতে পারবেন। অথবা আপনারা কম্পিউটার দোকান থেকে ভিসা আবেদন করে নিতে পারেন। এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে কোন দেশে যেতে পারবেন। তেমনি এজেন্সি সাহায্য নিয়ে আপনারা ওমানের কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে বাইরে যাই তারা সকলেই এজেন্সির মাধ্যমে অথবা দালালদের মাধ্যমে যেয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ  আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত

দালালদের মাধ্যমে গেলে একটু রিস্ক এবং বেশি টাকা খরচ হয়। এজেন্সির মাধ্যমে গেলে নিশ্চিন্তে যাওয়া যায়। তবে অনেক অবৈধ এজেন্সি রয়েছে যাবার পূর্বে সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ খবর নিয়ে তারপরে ভিসা আবেদন এর জন্য চেষ্টা করবেন। ভিসা আবেদন যেহেতু নিজে নিজে অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব সুতরাং আপনি নিজেও এটি খুব ভালোভাবে করতে পারেন ।।

 

                              ওমান কাজের ভিসা

ওমান কাজের বেতন কত

ওমানে কাজের বেতন প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ হাজার প্রথম অবস্থায় হয়ে থাকে। কাজের অভিজ্ঞতা এর উপর নির্ভর করে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। অথবা কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে বেতন কম বেশি হয়। একজন শ্রমিক যদি সঠিকভাবে কাজ করে থাকেন তাহলে তিনি প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন ওমানে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা

ওমান যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম খরচ হয় সুতরাং অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে বেতন একটু কম হয়ে থাকে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন রকম বেতর হয়ে থাকে। তবে খুবই কম বেশি বা খুবই বেশি পার্থক্য হয়ে থাকে না। নতুনদের ওমান কাজের ভেতর হয়ে থাকে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশের টাকায়। তবে আস্তে আস্তে কাজের বেতন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ওমানে ২০ টি কাজের বেতন

ওমানে গিয়ে অনেকে অনেক রকমের কাজ করে থাকেন। আমরা অনেকেই জানিনা কোন কাজের বেতন কত দেওয়া হয়। চলুন জেনে আসি ওমানে কোন কাজের বেতন কত টাকা সে সম্পর্কে। নিচে টেবিলের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলো ওমানে কোন কাজের বেতন কত।

ওমানে বিভিন্ন কাজের বেতন
ড্রাইভিং৩০ থেকে ৫০ হাজার
হেলপার৩০ থেকে ৪৫ হাজার
ট্রান্সপোর্ট৩০ থেকে ৫০ হাজার
মজরা২৫ থেকে ৪৫ হাজার
সেফ২৫ থেকে ৫০ হাজার
হোটেল৩০ থেকে ৫০ হাজার
ইলেকট্রিশিয়ান৩০ থেকে ৮০ হাজার
টাইলস৩০ থেকে ৫০ হাজার
রেস্টুরেন্ট৩০ থেকে ৫৫ হাজার
ইঞ্জিনিয়ার৪০ থেকে ৮০ হাজার
প্লাম্বার৩০ থেকে ৫০ হাজার
ইলেকট্রিশিয়ান৪০ থেকে ৭০ হাজার
লেবার৩০ থেকে ৫০ হাজার
মেকানিক্যাল৩০ থেকে ৭৫ হাজার
আরো পড়ুনঃ  ওমান ভিসা চেক অনলাইন- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ওমান ভিসা চেক

ওমান কাজের ভিসা প্রসেসিং

ওমান কাজের ভিসা প্রসেসিং করার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। ওমান কাজের ভিসা প্রসেস করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বৈধ সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে এবং সেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনাদের প্রসেসিং করতে পারবেন। ওমান কাজের ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আপনার আবেদন ফরম এর প্রয়োজন হবে। আরো অন্যান্য ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে যা আমরা আমাদের কনটেন্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ওমান যেতে কি কি প্রয়োজন

ওমান যেতে হলে ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডকুমেন্টস বা যোগ্যতা ছাড়া কোন দেশে যাওয়া সম্ভব না। ওমান যেতে হলে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে। ওমান যদি কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তার নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • ওমান যেতে হলে আপনার এটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  • ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • করোনার টিকা কার্ডের প্রয়োজন হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • অবশ্য আপনার বয়স ১৮ বছর এর বেশি হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ  কাতার ড্রাইভিং ভিসা ২০২৩ | কাতার ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

ওমান কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে

ওমান কাজে ভেসে পেতে সময় লাগে দুই থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত। কিছু কিছু সময় দুই সপ্তাহের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায় আবার কিছু কিছু সময় ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যায় ভিসা পেতে। যদি আপনার সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকে এবং সকল ডকুমেন্টস বৈধ হয় তাহলে আপনি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।

ওমানে সহজ ২০ কাজের লিস্ট

ওমানে গিয়ে অনেকে অনেক রকমের কাজ করে থাকেন। হয়তো ওমানে অনেকেই ২০২৩ সালে যাবেন বলে ভাবছেন কিন্তু আপনারা জানেন না সেখানে গিয়ে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন। তাই আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ওমানের সহজ ২০ টি কাজের লিস্ট নিয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওমানের সহজ ২০ টি কাজের লিস্ট।

ওমানে সহজ ২০ কাজের লিস্ট
ইলেকট্রিশিয়ান
প্লাম্বার
ফোরম্যান
ইঞ্জিনিয়ার
টাইলস্
ক্লিনার
লেবার
মেকানিক্যাল
কন্সট্রাকশন
ড্রাইভিং
হেলপার
ট্রান্সপোর্ট
মজরা
সেফ
রেস্টুরেন্ট
হোটেল

ওমান যাওয়ার এজেন্সি কোথায়

ওমান যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এজেন্সি রয়েছে। যে এজেন্সি গুলো বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে লোক পারাপার করে থাকেন। ওমান যাওয়ার এজেন্সি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কুর্মিটোলা ঢাকা ২২২ বাংলাদেশ। এখানে অফিসের সময়সূচি শুক্রবার, রবিবার ও সোমবার দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা ত্রিশ পর্যন্ত। বাকি দিনগুলোতে দুপুর ৩:৩০ থেকে রাত ১১:৩০ পর্যন্ত অফিস টাইম থাকে।
  • এয়ার গ্যালাক্সি লিমিটেড শেখ মুজিবুর রোড সি চট্টগ্রাম ৪১০০ বাংলাদেশ। এখানে অফিস চলার সময়সূচী সকাল 9 টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রতিদিন।
  • শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল বিল্ডিং চট্টগ্রাম বাংলাদেশ। এখানে অফিস চলে শনিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সকাল পাঁচটা হতে দুপুর একটা পর্যন্ত।
আরো পড়ুনঃ  ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা ২০২৩ | ভিয়েতনাম গার্মেন্টস ভিসা প্রসেসিং

ওমানে কাজ খোঁজার উপায়

ওমান কাজ আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে খুঁজে নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব। তেমনি আপনি বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসে ওমান এর কাজ খুঁজে দিতে পারবেন। তারা যে সকল ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মত কাজ খুঁজে সেখানে আপনার যোগ্যতা এবং ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করতে পারেন। মূলত আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই ওমান এর কাজ খুঁজতে পারবেন।

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ( সহজ ২০ টি কাজ )

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *