সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরবো। আপনি যদি সরকারিভাবে জাপান যেতে চান তাহলে আমাদের এই কনটেন্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা সরকারি ভাবে যাওয়ার উপায় গুলো জানতে পারবেন। এবং সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা এবং দক্ষতা লাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে তার সবগুলো বিষয় নিয়েই মূলত এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের নতুন ভাবে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য বিশেষ কিছু নতুন নিয়ম করা হয়েছে এই নিয়মের আওতাভুক্ত যারা থাকতে পারবে শুধু তারাই সরকারিভাবে জাপানে যেতে পারবে কিভাবে যাবে এবং কত টাকা খরচ হয় তা বিস্তারিত জানুন।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আগের তুলনায় সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার প্রসেস আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ। এসএসসি পাশের পর যে কোন ব্যক্তি ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই জাপানে যেতে পারবে। তবে সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম এবং রুলস রয়েছে যেগুলো অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে এবং শারীরিক যোগ্যতার ব্যাপার আছে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই সংক্রান্ত তথ্য গুলো নিয়ে আজকের মূল আলোচনা।
কেন সরকারিভাবে জাপানে যাবেন
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে সরকারি ভাবে জাপানে যাওয়ার জন্য কোন ধরনের টাকা পয়সা লাগে না এমনকি বিমান ভাড়া সহ কোন ধরনেরই খরচ বহন করা লাগবে না। এবং ভালো পরিমাণে বেতন পাওয়া যায় এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সুযোগ সুবিধা সহ আপনি যখন পাঁচ বছর কাজ শেষ করে দেশে ফেরত আসবে তখন আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। তাছাড়াও পরবর্তীতে আপনি জাপানের বিভিন্ন কোম্পানিতেও নিজ ভিসায় আবার যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন সরকারিভাবে জাপানি গেলে কত ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে সবথেকে বড় বিষয় হলো আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের প্রবলেম এর মধ্যে পড়তে হবে না এমনকি আপনার কোন ধরনের খরচ ও বহন করা লাগবে না। এমনকি প্রশিক্ষণ খরচ থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রসেস করতে যে ধরনের খরচ বহন করা লাগে তার সবই সরকার বহন করবে।
তাই আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু যোগ্যতা এবং দক্ষতা দেখানো লাগবে এক্ষেত্রে আপনার শারীরিক যোগ্যতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কিছুটা থাকা লাগবে। তবে অবশ্যই জাপানে যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু পরিশ্রম করতে হবে যেমন জাপান যাওয়ার জন্য আপনাকে জাপান কালচার সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে তাছাড়া আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো আপনার পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেছি তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার খরচ কত
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থিত যে সমস্ত টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে ( টিটিসি ) এখান থেকে আপনাকে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। আবেদন সংগ্রহ করার জন্য মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ হবে। আবেদন ফরম সংগ্রহ করার পরে আপনাকে পরীক্ষায় অ্যাটেন্ড করতে হবে। পরীক্ষাতে যদি আপনি নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে আপনি জাপান যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র এতোটুকুই খরচ করা লাগে। পরবর্তীতে আপনি যদি নির্বাচিত হয়ে যান তাহলে কোন ধরনের খরচ বহন করা লাগবে না। এমনকি অন্যান্য যে সমস্ত প্রশিক্ষণ গুলো করা লাগে যেমন আইএম জাপান। এ প্রশিক্ষণ টি করার জন্য আপনার কোন ধরনের খরচ বহন করা লাগবে না এটা সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। তাছাড়া অন্যান্য কাগজপত্র সহ ভিসা প্রসেসিং এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ সরকার বহন করে থাকে।
অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগে যে আসলে সরকারি ভাবে গেলে কি ধরনের সুযোগ পাওয়া যায় এবং কত টাকা পর্যন্ত বেতন তোলা যায়। তাই আজকে আমরা এখানেই আপনাদেরকে জানিয়ে দিব আসলে সরকারিভাবে গেলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এবং কত টাকা পর্যন্ত বেতন তোলা যায় তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সরকারিভাবে জাপানে গেলে কত টাকা বেতন পাবেন।
সরকারিভাবে জাপানে গেলে বেতন কত
আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যান তাহলে বেতন ২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাছাড়াও জাপানে কাজের উপর নির্ভর করে কিন্তু বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে জাপানে সর্বনিম্ন দেড় লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা কিংবা তারও বেশি পরিমাণ ও বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে যদি সে কর্মী দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং ভাষা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে তার বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তবে অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে আসলে জাপানের টাকার মান এবং বাংলাদেশের টাকার মান কিছুটা সমান সেক্ষেত্রে বেতন এত বেশি হওয়ার কারণ কি। কেননা বাংলাদেশে বেতন কম প্রদান করা হয়। কিন্তু জাপানে কর্মী সংকট হওয়ার কারণে এবং উন্নত দেশ হওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতন বা কর্মীদের বেতন বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে। কারো মনের মধ্যে যদি প্রশ্ন থাকে যে আসলে বাংলাদেশি টাকা সমান হিসেবে জাপানে বেতন বেশি হওয়ার কারণ কি তাহলে উত্তর হলো জাপানে বেশি বেতন প্রদান করা হয়।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ২০২৪
সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার জন্য টিটিসি কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে আপনাকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি টিটিসি কেন্দ্রের মাধ্যমে ছয় মাস ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আইএম জাপান পরীক্ষা দিয়ে আপনি জাপান যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার শারীরিক যোগ্যতা হিসেবে ছেলেদের জন্য ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি এবং মেয়েদের জন্য ৪ ফিট ১১ ইঞ্চি হতে পারলেই জাপান যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে ৬ মাস ট্রেনিং এর মধ্যে আপনাকে জাপান যাওয়ার জন্য ভাষা শিখতে হবে। এক্ষেত্রে টিটিসির মাধ্যমেই আপনারা জাপান যাওয়ার জন্য ভাষা শিখে পরবর্তীতে জাপান যাওয়ার পরীক্ষায় এটেন্ড করতে পারবেন। সেখানে যদি নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে আপনারা সরকারি ভাবেই জাপানে যেতে পারবেন। ২০২৪ সালের নতুন ভাবে জাপানে যাওয়ার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে নিচে সেগুলো আমরা বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
২০২৪ সালে ব্যাপকভাবে জাপানে যাওয়ার জন্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষতা ব্যক্তিদের গুরুত্ব বেশি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আপনারা যারা দক্ষ এবং শারীরিকভাবে ফিট আছেন তারা চাইলেই জাপানে যাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে পারেন। এবং আপনাদের মনে রাখা উচিত যে জাপানে কিন্তু অন্যান্য ভাষার গুরুত্ব দেওয়া হয় না তাই অবশ্যই জাপান ভাষা ভালো মতো শিখতে হবে তারপরে আপনাদেরকে জাপানে যাওয়ার জন্য আই এম জাপান পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হতে হবে।
“”জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ শেষে IM japan এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা খরচে জাপান যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার””
কখন সরকারিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়
বছরের বিভিন্ন সময় সরকারিভাবে নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। কোথায় কিভাবে এই সার্কুলার গুলো দেখতে পারবেন সেটা জানতে হলে বিএমইটি অথবা বুয়েসেল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। তাছাড়া আপনার বিভাগীয় শহরগুলোতে অথবা জেলা শহরগুলোতে যে সমস্ত টিটিসি কেন্দ্র রয়েছে তা প্রত্যেকটি টিপিসি কেন্দ্রে জাপান যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং জাপান কাজের জন্য নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করা হয়।
ওই সার্কুলার অনুযায়ী সরকারিভাবে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এবং আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার যে সমস্ত দক্ষতাগুলো থাকা লাগে সেই বিষয়গুলো তারা সেখানেই উল্লেখ করে থাকে। তাই আপনি যদি জাপানে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনার নিকটস্থ জেলা পর্যায়ে গুলোতে যোগাযোগ রাখতে পারেন। এখানে আমরা অন্যান্য কন্টেন্টের মধ্যেও কিন্তু বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি যে আসলে জাপানে যাওয়ার জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভাষা শিখতে হবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে সেগুলো জানতে পারবেন।
সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার যোগ্যতা
জাপানে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে অবশ্যই SSC/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। জাপানি ভাষা N5 এবং N4 পাশে থাকতে হবে। শারীরিক যোগ্যতা পুরুষ উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ওজন ৫৫ কেজি থেকে ৬৫ কেজি। মেয়েদের জন্য ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি ওজন শিথিলযোগ্য।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পুষ-আপ এবং সিট আপ করানো হয় সেই সাথে দৌড় এবং সাঁতার এর পরীক্ষা দেওয়া লাগে।
সরকারিভাবে জাপান শারীরিক যোগ্যতা
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য শারীরিক যোগ্যতা হিসেবে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ছেলেদের জন্য আর মেয়েদের জন্য ৪ ফিট ১১ ইঞ্চি হওয়া লাগবে। সেই সাথে ছেলেদের ৩৫ টা পর্যন্ত বুক ডাউন দেওয়ার ক্ষমতা। এবং ২৫ টা সিট আপ দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। শারীরিক ওজন ৫৫ থেকে ৬৫ কেজি পর্যন্ত হতে হবে।
সেই সাথে ওজন উত্তোলনের ক্ষমতা ৬৫ কেজি পর্যন্ত তোলার মতো এবিলিটি থাকতে হবে এবং সাঁতার সহ অন্যান্য শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সেই সাথে চোখ কান নাক গলা দাঁত পরীক্ষা করা হয়।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার এজেন্সি
সরকার নিবন্ধিত বিভিন্ন এজেন্সি গুলোর মাধ্যমেই আপনারা জাপান যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রায় প্রত্যেকটি এজেন্সিগুলোতেই সরকার যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো দিয়ে থাকে তা ঐ সমস্ত রিকোয়ারমেন্টগুলোর মাধ্যমেই এই এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যেতে হয়।
তাই বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সিগুলো রয়েছে এই সমস্ত এজেন্সি গুলার মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে আপনাদের দক্ষতা হিসেবে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় সরকারীভাবে যাওয়ার জন্যই চেষ্টা করা উচিত।
এ ক্ষেত্রে যদি আপনারা জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান বয়স সীমা অতিক্রম যাদের হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্ত এজেন্সি গুলার মাধ্যমে যাওয়া হয়। বাংলাদেশে বিশ্বস্ত অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা সরকার নিবন্ধিত সার্কুলার অনুযায়ী তারা লোক পাঠিয়ে থাকে জাপানি।
সরকারিভাবে জাপানে গেলে কি ধরনের কাজ করা হয়
সরকারিভাবে জাপানে গেলে মূলত কর্মী হিসেবে জাপানে যেতে হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি অথবা এগ্রিকালচার সহ ইলেকট্রিক এবং ড্রাইভিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত কর্মীগুলো যায় তারা সাধারণত ফ্যাক্টরি কাজ এবং কোম্পানির কাজগুলোই করে থাকে।
এক্ষেত্রে বেতন সীমা কিন্তু প্রায়ই সকলেরই একই ধরনের হয়ে থাকে যারা সরকারি ভাবে যায়। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যেতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে শারীরিক ফিড এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারপরে আপনি জাপানের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
আপনি যখন নির্বাচিত হয়ে যাবেন তখন আপনাকে নির্ধারিত একটি কাজের উপর দক্ষতা তৈরি করা হবে অথবা আই এম জাপানের মাধ্যমে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি কাজে প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপরে আপনাকে জাপানে ওই কোম্পানিতে কাজে নিয়োজিত করবে।
জাপান যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন
সরকারি মাধ্যমে যদি আপনি জাপানে যেতে চান এক্ষেত্রে নির্বাচিত হওয়ার পরেই আপনার ভিসার জন্য আইএম জাপান প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি বেসরকারিভাবে জাপানে যেতে চান তাহলে আপনার এজেন্সির মাধ্যমেই ভিসা আবেদন করতে হবে।
জাপানে যাওয়ার জন্য ভিসা পেতে হলে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র এবং কিছু টাকা খরচ করা লাগে এক্ষেত্রে সীমিত পরিমাণে সরকারিভাবে খরচ বহন করতে হয় তবে বেসরকারিভাবে কিন্তু আরও দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়। এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
জাপানে সরকারিভাবে যেতে কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় কোন ধরনের টাকা খরচ করা লাগে না শুধুমাত্র টিটিসিতে ভর্তির জন্য এক হাজার টাকা খরচ দেওয়া লাগে। তাছাড়া পরবর্তীতে যখন আপনি নির্বাচিত হয়ে যাবেন তখন থেকে যাবতীয় প্রশিক্ষণ খরচ এবং জাপানে যাতায়াতের জন্য বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক সমস্ত খরচ আই এম জাপান বহন করবে।
সরকারি মাধ্যম দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অনেক দালাল কিন্তু অনেক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তাই অবশ্যই বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তারপরেই আপনি টাকা তাদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি
- এসএসসি/সমমান পাস সনদপত্রের ফটোকপি
- এইচএসসি/সম্মান পাস সনদপত্রের ফটোকপি
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি ( যদি থাকে)
তবে এই সমস্ত কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে আগে থেকে সংশোধন করে নিতে হবে। তা না হলে জাপান ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আগে থেকেই এই সমস্ত কাগজপত্রগুলো সংশোধন করে নেওয়ার।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার সার্কুলার
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার সার্কুলার বছরের বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে। ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাস থেকে নতুনভাবে সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছে উক্ত সার্কুলারে আই এম জাপানের মাধ্যমে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।
তাই যারা উক্ত বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে আবেদন করে নির্বাচিত হয়ে জাপানে যেতে চান তারা চাইলে নিচের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনারা আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন। নিচে আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরলাম যেখান থেকে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
সরকারিভাবে যাওয়ার আগে জাপানি ভাষা ভাষা শিক্ষা
আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যেতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে ভাষা ভালোমতো শিখতে হবে। তারপরে আপনাকে আই এম জাপান পরীক্ষায় পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হয়ে তারপরে আপনাকে জাপানে যাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই সমস্ত আবেদন সম্পন্ন করার জন্য কোন ধরনের টাকা লাগবে না।
জাপান যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুইটা লেভেল সম্পন্ন করতে হবে। এবং আই এম জাপানের মাধ্যমে ভাইবা বোর্ডে আপনাকে উত্তীর্ণ হয়ে তারপরে আপনাকে জাপানে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে এমন কোন প্রশ্ন করবে যেগুলো আপনাকে সুন্দর মত এন্সার করতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে নিছে আমরা বিস্তারিতভাবে আরো তুলে ধরেছি আজকে ছিল এই পর্যন্তই পরবর্তীতে আমরা অন্যান্য নতুন আপডেট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হব ধন্যবাদ সবাইকে।
আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা-আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং
জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ প্রশিক্ষণ ফি | সরকারিভাবে বিনামূল্যে |
জাপান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কবে শুরু হয় | জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি এর মধ্যে |
জাপান যাওয়ার যোগ্যতা | ছেলেদের ৫ ফুট 4 ইঞ্চি |
শিক্ষাগত যোগ্যতা | এসএসসি পাস/সমমান |
আবেদন শুরু | রানিং |
Amo jabo
আমি কাজ করতে চাই হোটেল ভিসা প্রসেসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাইতে চাই আমি আনেক গরিপ