ওমান ফ্রি ভিসা – ওমান দোকান ভিসা

ওমান ফ্রি ভিসা
ওমান ফ্রি ভিসা

ওমান ফ্রি ভিসা ওমান দোকান ভিসা সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারবেন ওমান ফ্রি ভিসার দাম কত, ওমান ফ্রি ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন। ওমান ভিসায় কি কি পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরব। এখানে আপনারা ওমান সম্পর্কে মূল্যবান কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন। চলুন জেনে আসে ওমান ফ্রি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ওমানের ফ্রি ভিসার দাম কত

বর্তমানে ওমান ফ্রি ভিসা বলে কিছু নেই। যারা ওমানের ফ্রি ভিসার মাধ্যমে যে থাকছেন তারা বৈধ কোন এজেন্সের মাধ্যমে যাচ্ছেন না তাই তারা যাওয়ার পরে পরবর্তী সময়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না এবং কোন কাজ করতে পারছেন না। তাই আমাদের ফ্রি ভিসা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। আদৌ ফ্রি ভিসা আছে কিনা সে সম্পর্কে।

বর্তমান সময়ে আপনি যদি ওমানে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে টাকার এমাউন্ট কম বেশি হয়ে থাকে। কাজের ক্ষেত্রে তিন লক্ষ টাকা লাগে, আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ওখানে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হয় ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ভিসার দাম কম বেশি হয়।

ওমান ফ্রি ভিসা কিভাবে পাবেন

ওমান ফ্রি ভিসা হচ্ছে ওমানের কোন কোম্পানির যে কোন প্রতিষ্ঠানের একটি লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। ওমানে মালিকানা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওমান ফ্রি ভিসা স্পন্সর করেন বিভিন্ন সময়ে আর এই সকল কাজগুলো হয়ে থাকে এজেন্টদের মাধ্যমে। তখন এজেন্টরা যে লোকটিকে কাজ করার জন্য ওমানের নিয়ে যাবে তার পূর্বে তারা মালিককে জিজ্ঞেস করে তারা সেই কোম্পানিতে কাজ করবে নাকি বাইরে কাজ করবে।

আরো পড়ুনঃ  ওমান টুরিস্ট ভিসা ২০২৩-ওমান টুরিস্ট ভিসা কত টাকা

যদি মালিক বলে বাইরে কাজ করবে তাহলে আপনি ফ্রি ভিসার মাধ্যমে প্রমাণ দেবেন আপনার কোন মালিকানা থাকবে না। আর যদি আপনি গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির বা অন্য কোন কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে আপনি মালিকানা ভিসায় ওমান যাওয়া হবে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ফ্রি ভিসা এবং মালিকানা ভিসা সম্পর্কে।

ওমান ফ্রি ভিসা পাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ওমান ফ্রি ভিসা যেহেতু কোন কোম্পানি দিয়ে থাকে তাই এই ভিসা নিয়ে আপনাকে ওমান যেতে হলে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে। যে সকল ডকমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে তার নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • সদ্য তোলা ছবির প্রয়োজন হবে।
  • এনআইডি কার্ড।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • করোনার টিকা কার্ড।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • জন্ম সনদ।
  • জাতীয়তা
আরো পড়ুনঃ  আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ২০২৩-আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ও খরচ

ওমান ফ্রি ভিসায় কি কি পাওয়া যায়

আসলে বর্তমান সময়ে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ ওমানে যাচ্ছেন। তাহলে আমরা বুঝতে পারছি যে ওমানে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওমানে ফ্রি ভিসা নিয়ে যান তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে কাজ পাবেন এর কোন নিশ্চয়তা নেই। বিভিন্ন এজেন্সিও দালাল চক্র এই ফ্রি ভিসা দিয়ে থাকেন।

কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের পূর্বে যারা ফ্রি ভিসার মাধ্যমে ওমানে গেছেন তারা কোন কাজ পাচ্ছেন না। তারা ও মানে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে গিয়ে পদে পদে হয়রানি এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই অবশ্যই আপনাদের যাবার পূর্বে এই সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। ফ্রি ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন তবে কাজ পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক বড় রকমের ক্ষতি সাধন হবে।

ওমান ফ্রি ভিসা প্রসেসিং

ওমানে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ভিসায় অনেকেই যেয়ে থাকেন। তবে আপনারা চেষ্টা করবেন ওমানে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে না যাওয়া। কেন আপনারা ফ্রি ভিসার মাধ্যমে যাবেন না সে সম্পর্কে আমরা পুরো কনটেন্ট জুড়ে আলোচনা করেছি। ওমান ফ্রি ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। যেমন, আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে, আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে ইত্যাদি। যে সকল ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি ওমান যেতে পারবেন না।

ওমান ফ্রি ভিসা কি পাওয়া যায়

ওমানে ফ্রি ভিসা বলে কোন ভিসা নেই। এজেন্সি এবং দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ফ্রি ভিসার মাধ্যমে ওমানে যান। তবে সেখানে গিয়ে তারা প্রতারণার মধ্যে পড়ে। ওমান ফ্রি ভিসা একটি দালাল চক্রের বানানো কথা। ফ্রি ভিসাটা বের করা হয় যে কোন একটা দোকানের উপর বা হোটেলের ওপর এক কথায় যেকোনো একটি লাইসেন্সের উপর বের করা হয়।

আরো পড়ুনঃ  সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা-সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা

সেই লাইসেন্সের মাধ্যমে দালাল চক্ররা আপনাকে একটি ভিসা তৈরি করে দেবে এবং আপনি যদি সেই ভিসায় ওমান যান তাহলে আপনি সেই স্থানে বা আপনাকে যে লাইসেন্স এর মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই কোম্পানি বা সেই দোকানে কাজ পাবেন না। অন্য স্থানে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে।

তখন আপনারা প্রথম অবস্থায় গিয়ে সেখানে কোন কাজ পাবেন না যে কারণে আপনারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তবে আপনার যদি কোন আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যম দিয়ে কোন কাজ সংগ্রহ করে নিতে পারেন তাহলে আপনার কোন রকম সমস্যা হবে না।

ওমান ফ্রি ভিসা নিয়ে সতর্কতা

ওমান ফ্রি ভিসা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। ফ্রি ভিসাতে অবৈধ এজেন্সি গুলো ও কাজ করে থাকে। যে কারণে আমাদের যাবার পূর্বে খুব ভালোভাবে জানা উচিত আপনি কিভাবে বোঝাচ্ছেন কার মাধ্যমে যাচ্ছেন ইত্যাদি। অতঃপর আপনার ভিসা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফ্রি ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। ফ্রি ভিসার জন্য আপনাকে অনেকে অনেক রকমের লোভ দেখাতে পারে তবে সেই লোভে পা না দেওয়াই ভালো।

ফ্রি ভিসাই করো মালিকানা থাকেনা এটা সবচেয়ে বড় সমস্যা। যেহেতু আপনার মালিকানা থাকছে না সুতরাং আপনি সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট কোন কাজ পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ পাওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে। সুতরাং আমাদের যাবার পড়বে সকলের জানা উচিত যে ভিসায় যে দেশে যায় না কেন যাবার পূর্বে সেই বিষয়গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা।

ওমান ফ্রি ভিসা
ওমান ফ্রি ভিসা

ওমান দোকান ভিসার দাম

ওমান দোকান ভিসার দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো হয়ে থাকে। আপনি যে কোনো কাজের ভিসায় ওমান গেলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার আশেপাশে। দোকান দোকান মাধ্যমে গিয়ে আপনারা দোকানে কাজ করতে পারবেন। দোকান ভিসায় গিয়ে আপনারা ওমানের কোন একটি দোকানে কাজ করবেন। দোকান ভিসা নিয়ে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ  ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন, ইতালি স্পন্সর ভিসা কি

ওমান দোকান ভিসার বেতন কত

ওমানে যদি আপনি দোকান ভিসায় যান তাহলে আপনি প্রতি মাসে দোকানের কাজ করে আয় করতে পারবেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। অন্যান্য কাজের তুলনায় দোকানের কাজ অনেক আরামদায়ক। তবে দোকানের কাজের সময় অনেক বেশি যেমন আপনাকে ৮ টা থেকে ডিউটি শুরু করে রাত ১১ টা পর্যন্ত করতে হবে। দোকান এ যারা কাজ করেন তাদের কোন ছুটি থাকে না এটা একটি বড় রকমের সমস্যা।

ওমান দোকান ভিসা কিভাবে পাবেন

বিভিন্ন এজেন্সি অথবা দালালরা ওমান দোকান ভিসা দিয়ে থাকেন। এই ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আপনারা সরাসরি কোন একটি দোকানে কাজ পেয়ে যাবেন। অথবা আপনার যদি কোন আত্মীয় ওমানে থাকে তাকে যদি বলা হয় দোকানে কর্মী লাগবে। তাহলে সে মালিকের সাহায্য নিয়ে আপনাকে দোকান ভিসায় নিয়ে যেতে পারবে। এভাবে আপনারা ওমান দোকান ভিসা পাবেন।

আরো পড়ুনঃ  প্রবাসী কর্মী বীমা সংক্রান্ত নোটিশ ২০২৩

ওমান দোকান ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ওমানে দোকান ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে। শুধু দোকান ভিসা না বাইরের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে। যে সকল ডকুমেন্টগুলোর প্রয়োজন হতে পারে উল্লেখ করা হলো।

  • আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • এনআইডি কার্ড।
  • সদ্য তোলা ছবির প্রয়োজন হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • করোনার টিকা কার্ড।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • জন্ম সনদ এর প্রয়োজন হবে।
  • আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।

ওমান দোকান ভিসায় কি কি করা যায়

ওমান দোকান ভিসায় গিয়ে আপনারা দোকানে কাজ করতে পারবেন। সেখানে কাজ করে আপনারা বেতন পাবেন প্রায় ২৫ হাজার টাকার মত বা তার একটু বেশি। আপনি যদি দোকান ভিসায় ওমান যান তাহলে আপনার কাজগুলো হবে দোকান দেখাশোনা করা দোকান এর মাল বিক্রয় করা এবং দোকান রিলেটেড যে সকল কাজ গুলো থাকে সব।

আরো পড়ুনঃ  বাহারাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি ( সহজ ২০ টি কাজ )

ওমান নতুন ভিসা

বর্তমান সময়ে আপনি যদি ওমান যেতে চান তাহলে আপনার খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। কারণ আগের তুলনাই দেশ এখন উন্নত হয়েছে। আপনি বাংলাদেশ থেকে সবকিছু করে ওমান যেতে পারবেন। আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে ভিসা লাগানো আরো সহজ হয়েছে। ২০২৩ সালে অনেকেই বিভিন্ন কাজ করার জন্য ওমান যাবেন। ওমান যেতে হলে যা কিছু প্রয়োজন তা আপনি বাংলাদেশ থেকে সবকিছু সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

ওমান দোকান ভিসা নিয়ে সতর্কতা

ওমান দোকান ভিসা দিয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কথায় আছে ভাবিও করিও কাজ করিয়া ভাবিও না। তেমনি আমাদের কাজ করার পূর্বে ভাবা উচিত। ওমানে দোকান ভিসায় গিয়ে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন না। দোকান ভিসায় গিয়ে আপনি দোকানে কাজ করবেন সেখানে আপনার কাজের সময়টা অনেক লম্বা হবে।

ভিসা দিয়ে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত। তা না হলে আমরা বড় কোন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। আপনি যে এজেন্সের মাধ্যমে গেলেন সেই এজেন্সি আপনাকে অবৈধ পাসপোর্ট অথবা অবৈধ ভিসা প্রদান করল। সেটা নিয়ে আপনি ওমানে প্রবেশ করলেন কোনভাবে। পরবর্তী সময়ে আপনি অনেক বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই যাওয়ার পূর্বে আপনারা জেনে নেবেন কিভাবে যাচ্ছেন কার মাধ্যমে যাচ্ছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত।

কাতার ক্লিনার ভিসা ২০২৩-কাতার ক্লিনার ভিসার বেতন

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *