বন্ধুরা আজকে আমরা কথা বলব ঘুমের ওষুধের নাম এবং দাম নিয়ে। তাছাড়াও এখানে আজকে আমরা আলোচনা করব সুদের ক্ষতিকর দিক এবং ভালো দিক। এবং জানা যাবে কম্পারের ঘুমের ওষুধ কোনগুলো এবং বেশি পাওয়ারের ঘুমের ওষুধ কোনগুলো। তাই আজকে আমাদের সাথে থেকে সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
বন্ধুরা আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না ঘুমের ওষুধ এর খারাপ দিক এবং ভালো দিক উভয় রয়েছে। তাই আজকে আমরা মূলত এই দুইটি বিষয় নিয়েই আপনাদেরকে জানাবো যাতে আপনাদের উপকার আসে। এবং ঘুমের ওষুধের যে খারাপ দিক রয়েছে সেটার কারণে কি কি সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়েও আজকে আমরা এখানে আলোকপাত করেছি।
নরমাল ঘুমের ওষুধে কি কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধগুলো তে কি কি সুবিধা এবং ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন। ঘুমের ওষুধ কখন খেতে হয়। এবং কিভাবে খাওয়া উচিত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
ঘুমের ওষুধের উপকারিতা
ঘুমের ওষুধ আপনাকে কিছুটা ঘুম পেতে সাহায্য করবে। মানুষের বিভিন্ন কষ্ট দুঃখ ব্যথা বেদনা সবকিছু ভুলে থাকার জন্য কেউ যদি ঘুমের ওষুধ খায় তাহলে সে কিছু সময়ের জন্য এই সমস্ত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে পারবে। যাদের অনিদ্রা জনিত সমস্যা থাকে তাদের ঘুমাতে সাহায্য করে ঘুমের ওষুধ। তাই ঘুমের ওষুধের অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে।
যখন আপনার ঘুমে ক্রমাগত সমস্যা হচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন অনেক দেরি হচ্ছে ঘুমাতে তাহলে কিন্তু আপনি ঘুমের ওষুধ খেতে পারেন। তবে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। হঠাৎ যদি কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় এবং আপনি খুবই যন্ত্রণা পাচ্ছেন তাহলে নরমাল যে সমস্ত ঘুমের ওষুধ আছে সেগুলা খেতে পারেন।
তবে যে কোন ঘুমের ওষুধ কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে তবে এই বিষয় আপনাদেরকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। এজন্য বেশি পরিমাণ ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা সব থেকে ভালো। পরবর্তীতে আলোচনা করব ঘুমের ওষুধের ক্ষতিকর দিক।
ঘুমের ওষুধ বেশি খেলে কি হয়
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। বেশি পরিমাণ ঘুমের ওষুধ কেউ খেয়ে ফেললে হার্ট ও ব্রেনের রক্তনালীর রক্ত চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয়। কেউ যদি বেশি মাত্রই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে তাহলে কিন্তু প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত মাত্রই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেললে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সহ কমাই চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ নিয়মিত সেবন করলে কিডনি রোগের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, খিচুনির মতো অস্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে মেজাজ খিটখিটে হয়।
ঘুমের ওষুধের উপকারিতা
- অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন মেজাজ খিটখিটে হয়
- ঘুমের ওষুধ বেশি খেলে মানুষের হার্ট ও ব্রেইনে রক্তনালী বন্ধ করে দেয়
- অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
- অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- বেশি পরিমাণ ঘুমের ওষুধ খেলে কোমাই চলে যাই
- কে বেশি ঘুমের ওষুধ খেলে কি নীরোগের সমস্যা হয়
- নিম্র রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেয়
- ঘুমের ওষুধ খেলে হ্যালুসিলেশন সমস্যা দেখা দেয়
- ঘুমের ওষুধ বেশি খেলে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি
অনেকেই আছে যারা কিনা সামান্য কোন মনোমালিন্যের কারণে অনেকেই আছে যারা কিনা ঘুমের ওষুধ বেশি পরিমাণে সেবন করে থাকে এদের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় মৃত্যু ঘটাতে পারে। কেননা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে মানুষের হার্ট ব্লক হয়ে যায়।
ঘুমের ওষুধ নিয়ে সতর্কতা
তাই অবশ্যই নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। একেকজনের একেক রকমের সমস্যা থাকে তাই অবশ্যই যেকোনো সমস্যার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ সেবন করা উচিত। হুটহাট যে কোন বিষয়ের জন্য কখনোই নিজে থেকেই ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না।
নরমাল ঘুমের ওষুধের নাম
নরমাল ঘুমের ওষুধের নাম ডায়াজিপাম (Diazepam Diazepam)। ফার্মেসীগুলোতে এটি নরমাল ঘুমের ওষুধ হিসেবে বিক্রি করে থাকে। এই ওষুধটি মূলত বেঞ্জোডায়াজেপিন গোত্রের একটি ওষুধ। এই ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম হল হফম্যান লারস।
বাজারে ওষুধটি একেবারে নরমাল ওষুধ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তবে এই ওষুধটি সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাদেরকে সেবন করতে হবে। তাছাড়া আপনার কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে এ বিষয়টি ডাক্তার কে খুলে বলবেন অথবা ফার্মেসী দোকানদারকে খুলে বলে আপনারা ঘুমের ওষুধ নিতে পারবেন।
পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধের নাম
সব থেকে পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধের নাম Clonazepam mouth dissolving tablet কোম্পানি নাম Ona MD, Lonazep MD, Clonaride MD ইত্যাদি । দয়াকরে এই পাওয়ার ফুল ঘুমের ওষুধটি কখনোই অপব্যবহার করবেন না। পাওয়ারফুল এই ঘুমের ওষুধটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং এর ব্যবহারবিধির সম্পর্কে জেনে তারপরে ব্যবহার করা উচিত।
যে কোন ঘুমের ওষুধ সেবন করার আগে তার ব্যবহার বিধি এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে সেবন করা উচিত তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধ গুলো দিয়ে অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে ফেলে থাকে মানুষকে। তাই এগুলো থেকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি এবং তৎক্ষণিকভাবে কেউ যদি এই পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধগুলো সেবন করে তাহলে অবশ্যই তৎকালীনভাবে মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে।
ঘুমের ওষুধের নামের তালিকা
Anxio |
Anxopam |
Bromazep |
Lexnil |
Broze |
Bopam |
Norry |
Laxyl |
Lexopil |
Tarbo |
Tenapam |
Zepam |
Tenil |
এই তালিকা ছাড়াও বাজারে আরও ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায় তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেকটা ঘুমের ওষুধের জন্য কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবহার আছে। ঘুমের ওষুধের তালিকার মধ্যে যেই ঘুমের ওষুধ গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এই তালিকার বাহিরে কিন্তু আরো ভালো মানের ওষুধ পাওয়া যায়।
আপনি আপনার ডাক্তারের মাধ্যমে ভালোমতো জেনে নিতে পারবেন আপনার জন্য কোন ওষুধটি সবথেকে ভালো হবে এবং কোনটি খেলে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম হবে এবং কোন ধরনের ঝুঁকি থাকবে না। কেননা ঘুমের ওষুধ সেবন করলে কিন্তু নানা রকমের সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়। তাই আপনার যেই ঘুমের ওষুধটি খাওয়া হচ্ছে সেই ঘুমের ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভালো মতো জেনে নিবেন।
ঘুমের ওষুধের নাম ও দাম
ঘুমের ওষুধের নাম | দাম |
Anxio | ৫ টাকা |
Anxopam | ৪ টাকা |
Bromazep | ৫ টাকা |
Lexnil | ৫ টাকা |
Broze | ৪টাকা |
Bopam | ৫ টাকা |
Norry | ৪ টাকা |
Laxyl | ৪ টাকা |
Lexopil | ৫ টাকা |
Tarbo | ৪ টাকা |
Tenapam | ৫ টাকা |
Zepam | ৫ টাকা |
Tenil | ৪ টাকা |
আমরা এখানে ঘুমের ওষুধের নাম এবং ঘুমের ওষুধের দাম উল্লেখ করেছি। এছাড়াও বাজারে আপনারা আরো অনেক কোয়ালিটির ঘুমের ওষুধ পাবেন যেখানে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফার্মেসীতে এই ঘুমের ওষুধ গুলো বিক্রি করে থাকে তা আমরা তুলে ধরেছি এবং এই দামের মধ্যে আপনারা ঘুমের ওষুধ গুলো কিনতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যে ওষুধটি খান সেই ওষুধ ডাক্তার কত পাওয়ারের দিয়েছে এবং কত টাকা সেটা কিন্তু সেখানে উল্লেখ থাকে না। তবে ফার্মেসী অনুযায়ী আপনারা কয়েকটি যাচাই-বাছাই করে তারপরেই ঘুমের ওষুধ গুলো নিতে পারেন এক্ষেত্রে দাম কিন্তু প্রায় একই রকম নির্ধারিত থাকে।
কম পাওয়ারের ঘুমের ওষুধের নাম
কমপাওয়ারের ঘুমের ওষুধের মধ্যে অন্যতম ঘুমের ওষুধ হলো Diazepam Diazepam এটি। এটি ঘুমানোর জন্য যদি আপনি সেবন করে থাকেন তাহলে তেমন কোনো কঠিন শারীরিক ইফেক্ট দেখা দেয় না। তবে এই ওষুধটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। যেকোনো ঘুমের ওষুধ কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং ডাক্তারের নির্দিষ্ট কাগজ অনুযায়ী ফার্মেসী ওষুধ প্রদান করে।
কম পাওয়ার হোক আর বেশি পাওয়ার হোক যে কোন ঘুমের ওষুধই কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এই সমস্ত ওষুধগুলো খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। অনেকেই ঘুম না হওয়ার জন্য হুট করে ঘুমেরওষুধ খেয়ে ফেলেন। এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে তা না হলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনার ঘুমের ওষুধ ছাড়া ঘুম আসবে না।
আর যখনই আপনি এই কাজটি নিয়মিত করতে যাবেন তখন কিন্তু আপনার শরীরে সাইড ইফেক্ট দেখা দিবে। তাই ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই চেষ্টা করবেন বেশি পরিমাণ পানি খাওয়ার এবং কোন রকমের চিন্তা মুক্ত থাকার। এভাবে যদি আপনারা চেষ্টা করতে থাকেন দেখবেন একসময় ঘুম চলে আসবে । তবে অবশ্যই নরমাল হোক আর অথবা তীব্র হোক যে কোন ঘুমের ওষুধ আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
তীব্র ঘুমের ওষুধের নাম
তীব্র ঘুমের জন্য অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে তবে বাজারে এই ওষুধগুলো সবথেকে বেশি চলে যেমন, নকটেন, সিডিল, পারকেলিন, রিলাক্সেন, ইজিয়াম, ডারমিকাম, তবে এই ওষুধগুলো একটার বেশি কখনোই খাওয়া যাবেনা এবং সব থেকে চেষ্টা করবেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধগুলো সেবন করা।
অনেক সময় ব্যথার কারণে অথবা অনেক বড় কোন যন্ত্রণার কারণে রোগীর ঘুমানো প্রয়োজন হয় তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এই ওষুধ গুলোই সাজেস্ট করে থাকে। তবে এটার কিন্তু সাইড ইফেক্ট অবশ্যই রয়েছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তীব্র ঘুমের ওষুধ গুলো সেবন করা উচিত।
ঘুমের ওষুধের নাম ও ছবি
বাজারে অনেক কোম্পানির ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায় তবে স্পেসিফিক ভাবে যে সমস্ত কোম্পানিগুলো বাজারে বেশি চলে এই বিষয়গুলোই আমরা এখানে তুলে ধরেছি। পর্যায়ক্রমে আমাদের এখানে ঘুমের ওষুধের নাম এবং ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। নিচে আমরা ঘুমের ওষুধের নাম এবং ছবি বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরলাম।